রবিবার , ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

রূপপুর প্রকল্পের ‘হৃৎপিণ্ড’ বসছে আজ -উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২১
রূপপুর প্রকল্পের ‘হৃৎপিণ্ড’ বসছে আজ -উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

ঈশ্বরদী  প্রতিনিধি ||

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল বা চুল্লি স্থাপন করা হবে আজ। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালুর বা কমিশনিং প্রক্রিয়ায় এ চুল্লি স্থাপন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

বাসস জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১০টায় তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে চুল্লি স্থাপনের কাজ উদ্বোধন করবেন। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত একজন কর্মকর্তা বলেন, এর মাধ্যমে দেশে পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে।

রূপপুর পরমাণু কেন্দ্র চত্বরে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

শুক্রবার সন্ধ্যায় পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ নুরুজ্জামান বিশ্বাসের শহরের বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাতে এসে মন্ত্রী বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প শুধু একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নয়।

এর মাধ্যমে বাঙালি নিউক্লিয়ার জাতি হিসাবে বিশ্বে পরিচিত হবে। তিনি বলেন, এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি দেশে পরিচ্ছন্ন জ্বালানির (ক্লিন এনার্জি) মডেল হিসাবে বিবেচিত হবে, যা থেকে দীর্ঘ মেয়াদে পাওয়া যাবে সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য ও মানসম্মত বিদ্যুৎ।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন রোসাটমের প্রধান নির্বাহী আলেক্সি লিখাচেভ ও এটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট গ্রুপ অব কোম্পানিজের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লকসিন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন।

এছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান, রূপপুর প্রকল্পের পরিচালক ড. শওকত আকবর ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিত থাকবেন।

এ ব্যাপারে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিচালক ড. শওকত আকবর বলেন, রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপনের মাধ্যমে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে রূপপুর প্রকল্পের নির্মাণকাজ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। শিডিউল অনুযায়ী নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

রূপপুর প্রকল্পে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার ভিভিআর-প্রযুক্তির রিঅ্যাক্টরের দুটি ইউনিট তৈরি হবে। শিডিউল অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ইউনিট-১ এবং ২০২৪ সালে ইউনিট-২ চালু হওয়ার কথা রয়েছে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে রাশিয়ার সেরা কর্ম কৌশল চর্চা, বহু বছরের অভিজ্ঞতা এবং বৈজ্ঞানিক চিন্তাকে কাজে লাগানো হয়েছে।

রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ বলেন, বিদ্যুৎ ইউনিটের অ্যাকটিভ ও প্যাসিভ ব্যবস্থার অনন্য সংমিশ্রণ কেন্দ্রের নিরাপদ পরিচালনা নিশ্চিত করবে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পিত মাত্রার নিশ্চয়তা দেবে।

তিনি বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ শিল্পের উন্নয়ন শুধু বাংলাদেশে জ্বালানি সরবরাহের সমস্যার সমাধান করবে না, এ অঞ্চলের উন্নয়নে অবদান রাখবে এবং জনগণের জীবনযাত্রার মানও বৃদ্ধি করবে।