সোমবার , ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

ভাঙ্গুড়ায় দুই কোটি টাকার রাস্তার উপর জমে থাকে পানি ! দায় কার ?

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই, ২০২০

আব্দুর রহিম : পাবনার ভাঙ্গুড়ায় প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত রাস্তার উপর অল্প বৃষ্টিতেই পানি জুমে তৈরি হয় হয়েছে জলাবদ্ধাতা। উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ভাঙ্গুড়া টু নওগাঁ সড়কের নৌবাড়িয়া এলাকায় এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে ঐ স্থানে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে নিচু করে তদোপরি রাস্তার দুই পাশে উচু করে দেওয়া হয়েছে মাটি যে কারণে বৃষ্টির পানি নিচে গড়ে যেতে পারে না। এতে সরকারের কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পে রাস্তাটি স্থায়ীত্ব নিয়ে দেখা দিয়েছে জনমনে নানা প্রশ্ন। এই অবস্থা সৃষ্টিতে দায়ভার কার ? যদিও উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ দুষছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাই রাস্তার সুফল ভোগীদের দাবী অতি দ্রæত রাস্তার উভয় পাশের উঁচু মাটি সরিয়ে দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হোক।

ভাঙ্গুড়া উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে খানমরিচ ইউনিয়নটি উপজেলা সদর থেকে অনেক দূরের একটি প্রত্যন্ত এলাকা। একসময় এই ইউনিয়নের মানুষের ভাঙ্গুড়ার সাথে যোগাযোগ অবস্থা ছিল অত্যন্ত নাজুক। দীর্ঘদিনের এই অবস্থা থেকে খানমরিচ ইউনিয়নের সাথে ভাঙ্গুড়া যোগাযোগ সড়ক তৈরি করতে পাবনা-৩(চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মোঃ মকবুল হোসেন এমপি সরকারের উদ্ধর্তন মহলের সাথে আলোচনা করে ঐতিহ্যবাহী ভাঙ্গুড়া টু নওগাঁ সড়ক নামক একটি প্রকল্প পাশ করতে জোর ভুমিকা রাখেন। এরই মধ্যে এই রাস্তা চলাচলের উপযোগী হয়েছে এবং ঐ এলাকার জনগণ তার সুফল ভোগ করছে।

বুধবার সরেজমিন ভাঙ্গুড়া টু নওগাঁ রাস্তার ১নং ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের নৌবাড়িয়া গ্রামের মধ্যে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার উভয় পাশে মাটি দিয়ে উঁচু করে দেওয়া হয়েছে। যে কারণে নৌবাড়িয়া গ্রামের মধ্যে বিশেষ করে হান্নান মেল্লার বাড়ির সামনের রাস্তাটি একটু বৃষ্টি হলেই কয়েক দিন পর্যন্ত জুমে থাকে পানি । একদিকে অপেক্ষাকৃত রাস্তাটি ঐ স্থানে নিচু করে নির্মাণ অন্য দিকে উভয় পাশে উঁচু করে দেওয়া মাটি এতেই তার দূর্ভোগ । এভাবে কার্পেটিংকৃত রাস্তার পানি জুমে থাকা পানি নিষ্কাশনের কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ে নি।

খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, গত বছর ভাঙ্গুড়া টু নওগাঁ সড়কের মন্ডল মোড় থেকে নৌবাড়িয়া বটতলা পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সংষ্কার কাজ পায় ঠিকাদার মোঃ শহিদুল ইসলাম। এতে ইস্টিমেট ব্যায় প্রায় সোয়া দুই কোটি টাকা ধরা হলেও নির্মাণ করতে ব্যায় হয় প্রায় দুই কোটি টাকা। কাজটি দেখভাল দায়িত্বে ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীন ভাঙ্গুড়া উপজেলা প্রকৌশল অফিস। রাস্তাটি নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে গত বছরের আগস্ট মাসে ।

স্থানীয়দের অভিযোগ ঠিকাদার রাস্তা উন্নয়নে কাজ করার সময় বর্তমানে পানি জুমে থাকে স্থানে নিচু করে নির্মাণ করলেও দেখভালের দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলৗ সইে সময় তেমন কোনো ভুমিকা নেন নি। তদুপরি রাস্তার উভয় পাশে মাটি উচু করে দিয়ে পানি নিষ্কাশনে বাধা দেওয়া হয়েছে। এমন অবস্থা থাকলে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে উন্নয়ন প্রকল্পের সুফল জনগণ বেশী দিন ভোগ করতে পারবে না।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভাঙ্গুড়া টু নওগাঁ সড়কের বিষয়ে কিছু সমস্যা নিয়ে আমরা অবগত আছি। সমস্যার বিষয়ে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনাও হয়েছে। আগামী দুয়েক সপ্তাহের মধ্যে ঐসকল সমস্যা সমাধানে কাজ করা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরের কর্মকর্তার সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করা হবে।