ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি :
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় গনপূর্ত বিভাগের শত কোটি টাকার সম্পত্তি দীর্ঘদিন অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থাকায় প্রতিদিন বেখল হচ্ছে। জানা যায়,উপজেলার সরকারি হাজী জামাল উদ্দিন কলেজের পিছনে গৃহায়ন ও গনপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন গনপূর্ত অধিদপ্তরের মালিকানায় ৩০ বিঘা জমি রয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৯৯ কোটি টাকা।
বিভাগটি এখানে একটি সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে এবং এখানে যে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছে। সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষনের জন্য সেখানে কাউকেই রাখা হয়নি। ফলে গণপুর্ত বিভাগের এই মূল্যবান সম্পত্তি দখল করে অনেকেই ঘর-বাড়ি,খামার কিংবা দোকান-পাট নির্মাণ করেছে।
১৯৭১ সালের যুদ্ধপরবর্তী সময়ে এখানে পিডবিøউডি’র ইটের ভাটা ছিল। ভাটা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও কয়েক লাখ ইট এখানে সংরক্ষিত ছিল। ১৩/১৩ বছর আগে সে ইটগুলোও এখান থেকে গায়েব হয়ে গেছে। তখন থেকে জায়গা দখল প্রক্রিয়াও শুরু হয়।
গনপূর্ত বিভাগের সাইনবোর্ড সংলগ্ন একটি জায়গার উপর স্থানীয় এক ব্যক্তি সম্প্রতি গুড়া ভাঙ্গানোর কল স্থাপনের জন্য ঘর নির্মাণ করেছে। একটি স্থানে গরুর খামার ও কলার বাগান তৈরি করা হয়েছে। অন্যান্য পাশেও জায়গা দখল করে অস্তত ২৫টি ঘর-বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। পিডব্লিউডি’র((পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট) পাবনা অফিসের সাথে যোগাযোগ করেই এসব জায়গা দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ শোনা যাচ্ছে।
গনপূর্ত বিভাগ পাবনা সর্কেলের সহকারী প্রকৌশলী ও ভাঙ্গুড়া উপজেলার ঐ সম্পত্তির তত্তাবধানকারী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্থানীয় কাউকেই কোনো জায়গা লীজ দেওয়া হয়নি। তবে যারা জবর দখল করেছে তাদের তালিকা আমাদের অফিসে রয়েছে। ওখানে সরকারের সমন্বিত পরিকল্পনার আওতায় ভবন নির্মাণের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। তাহলে সম্পত্তির অবৈধ দখল ঠেকাতে এতদিন কার্যকরি পদক্ষেপ দেওয়া হয়নি কেন এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি এড়িয়ে যান।
গনপূর্ত বিভাগের পাবনা সার্কেলের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফয়সাল রহমান বলেন,সম্পত্তি জরিপ ও সীমানা নির্ধারনের জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ভাঙ্গুড়া উপজেলা ভুমি অফিসে আবেদন করা হয়েছে। এরপর অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও সীমানায় কাঁটা তারের বেড়া নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি)বিপাশা হোসাইন জানান গণপুর্ত বিভাগের জমি জরিপ সংক্রান্ত কোনো আবেদন রবিবার(১১ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত তার অফিসে পৌঁছেনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন,সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় গনপূর্ত বিভাগের বিধি সম্মত যে কোনো উদ্যোগের তাৎক্ষণিক সহায়তা প্রদানে প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।।