শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর নির্দেশনা : ওবায়দুল কাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় দিন ১৮ এপ্রিল। হোসেন আলী ভারতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ান আজ ভাঙ্গুড়ায় দুগ্ধজাত ক্ষুদ্র শিল্পের সফল উদ্যোক্তা কলেজ ছাত্র অপু ঘোষ ভাঙ্গুড়ায় নতুন ইউএনও’র যোগদান- জ্ঞানের নিষ্প্রভ বাতিঘর কি আবার আলোকিত হবে ? বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা ভাঙ্গুড়া প্রাণি সম্পদ অফিসের নানা জনপ্রিয় কর্মসুচী !

জেল থেকে বঙ্গমাতাকে লেখা বঙ্গবন্ধুর চিঠি

অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ৯ আগস্ট, ২০২২
  • ৪৭ সময় দর্শন

অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কঠিন সংগ্রাম আর আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন। তিনি শুধু নেতা হিসেবে নয়, ব্যক্তি মানুষ হিসেবে, পিতামাতার অনুগত সন্তান হিসেবে, দায়িত্বশীল স্বামী ও স্নেহবৎসল পিতা হিসেবে এক অসাধারণ আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বও ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে কারাগার থেকে লেখা বঙ্গবন্ধুর চিঠিপত্রেও সেই ব্যক্তিত্বের আলো প্রতিফলিত হয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৯ সালে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবকে চিঠি লিখেছিলেন। চিঠিটি ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস।

চিঠিটি হুবহু তুলে ধরা হলো- 
ঢাকা জেল, ১৬/৪/৫৯
রেণু,
আমার ভালোবাসা নিও। ঈদের পরে আমার সাথে দেখা করতে এসেছো, ছেলেমেয়েদের নিয়ে আসো নাই- কারণ তুমি ঈদ করো নাই, ছেলেমেয়েরাও করে নাই। খুবই অন্যায় করেছো, ছেলেমেয়েরা ঈদে একটু আনন্দ করতে চায়। কারণ সকলেই করে। তুমি বুঝতে পারো ওরা কত দুঃখ পেয়েছে। আব্বা ও মা শুনলে খুবই রাগ করবেন।

আগামী দেখার সময় ওদের সকলকে নিয়ে আসিও। কেন যে চিন্তা করো বুঝি না, আমার কবে মুক্তি হবে তার কোনো ঠিক নাই। তোমার একমাত্র কাজ হবে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শিখান। টাকার দরকার হলে আব্বাকে লিখিও। কিছু কিছু মাসে মাসে দিতে পারবেন। হাচিনাকে (শেখ হাসিনা) মন দিয়ে পড়তে বলিও। কামালের স্বাস্থ্য মোটেই ভাল হচ্ছে না। ওকে নিয়ম মতো খেতে বলিও। জামাল যেন মন দিয়ে পড়ে, আর ছবি আঁকে। এবার একটা ছবি এঁকে যেন নিয়ে আসে, আমি দেখব।

রেহানা খুব দুষ্টু। ওকে কিছুদিন পরে স্কুলে দিয়ে দিও জামালের সাথে। যদি সময় পাও নিজেও একটু লেখাপড়া করিও। একাকী থাকতে একটু কষ্ট প্রথম প্রথম হতো, এখন অভ্যাস হয়ে গেছে। কোনো চিন্তা নাই। বসে বসে বই পড়ি। তোমার শরীরের প্রতি যত্ন নিও।
ইতি
তোমার মুজিব।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd