ভাঙ্গুড়া সংবাদদাতা:
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেন ব্যাংক স্থাপনের পরও সেবা পাচ্ছেন না স্বাস কষ্টের রোগীারা। ফলে তাদের পাঠানো হচ্ছে জেলা সদর অথবা অন্য কোনো হাসপাতালে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন উপজেলার ভুক্তভোগী অধিবাসীরা। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য প্রশাসক ডা: হালিমা খানম।
জানাগেছে,করোনা কালিন সময়ে রোগীদের নির্বিঘœ সেবা দিতে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা পরিষদ একটি অক্সিজেন ব্যাংক স্থাপনের প্রকল্প গ্রহন করে। এজন্য জাইকা (জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি) ‘‘অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যাংক ও হাইফ্লো নজেল ক্যানোলা’’ নামের এই প্রকল্পের অনুকুলে ২৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। উপজেলা স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিইডি) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। গত মার্চ মাসে অক্সিজেন ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। তারপরও রোগীরা এখান থেকে অক্সিজেন সাপোর্ট পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।
পৌরসভার মাষ্টারপাড়া মহল্লার বাসিন্দা অধ্যাপক আব্দুস সালাম বলেন,কয়েকদিন আগে তার অসুস্থ মা’কে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে না পারায় চিকিৎসক তাকে জেলা সদরে রেফার্ড করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা: হালিমা খানম বলেন, ব্যাংকটি স্থাপনের পর সরবরাহ লাইনে ত্রæটি দেখা দেওয়ায় অক্সিজেন সেবা প্রদান ব্যর্থ হচ্ছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত বিশটি বেডের কোনোটাতেই অক্সিজেন মাস্ক সরবরাহ করা হয়নি। ফলে রোগীরা প্রকল্পের সুফল ভোগ করতে পারছেন না।
জাইকার উপজেলা ডেভেলপমেন্ট ফ্যাসিলিটেটর সুদেব কুমার সিং বলেন, ৭৮ লিটারের গ্যাস ভর্তি ১২টি সিলিন্ডার থেকে মেনিফোল্ড মেশিনের সাহায্যে ভিআইপি কেবিনসহ বিশটি বেডে সরাসরি অক্সিজেন সংযোগ দেওয়া হয়েছে। তাই ব্যর্থ হবার কারণ বোধগম্য নয়।
এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী আফ্রোজা খাতুন বলেন,প্রকল্পের সবকিছুই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বুঝে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অক্সিজেন সরবরাহের ত্রæটির বিষয়ে তাকে কিছুই জানানো হয়নি বলেও তিনি জানান। তিনি আরো বলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনভিজ্ঞ অপারেটরের ভুলের কারণে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, এ ব্যাপারে তিনি অবগত নন। তারপরও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অক্সিজেন ব্যাংকের সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে পত্র দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।।