পাবনার শহীদ এম মনসুর আলী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিধি অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতম শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করতে নির্দেশ প্রদান করেছে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়। বিশ^বিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) ফাহিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত গত ১৩ জানুযারিতে শহীদ এম মনসুর আলী কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অধ্যক্ষকে দুটি পৃথক পত্র দেওয়া হয়। কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আব্দুল কাদের বিশ^াসের দাখিলকৃত আবেদন ও মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের রীট পিটিশন ও কনটেম্ট পিটিশনের সূত্র উল্লেখ করে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে বিশ^বিদ্যালয়ের দেওয়া পত্রে (স্মারক নম্বর-৫২৬৭০) বলা হয় যে, অত্র কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ খানের বিরুদ্ধে অবৈধ ও বেআইনীভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বভার গ্রহন এবং পরবর্তিতে একই উপায়ে স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগ উঠার প্রেক্ষিতে এবং তিনি জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের অধিভূক্ত বেসরকারি কলেজের শিক্ষকদের চাকরির শর্তাবলীর রেগুলেশন (সংশোধিত)-২০১৯ এর ধারা লঙ্ঘন করে ৫ বছরের অধিককাল ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করায় নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে তাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করে বিধি অনুযায়ী ৫ জন জ্যেষ্ঠতম শিক্ষকের মধ্য থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করে বিশ^বিদ্যালয়কে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে পুনরায় অনুরোধ করা হলো। অপরদিকে কলেজের অধ্যক্ষ এর নামে একই তারিখে দেওয়া (স্মারক নম্বর-৫২৬৬৯) বিশ^বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কলেজ পরিদর্শক ফাহিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত পত্রে কলেজের পরিদর্শন প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করে তা বিশ^বিদ্যালয়কে অবহিত করা জন্য বলা হয়।
সেই পত্রে বলা হয় যে, আব্দুস সামাদ খান কলেজের বি এম শাখার শিক্ষক হওয়ায় জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের অধিভূক্ত বেসরকারি কলেজের শিক্ষকদের চাকরির শর্তাবলীর রেগুলেশন (সংশোধিত)-২০১৫ বিধি মোতাবেক তার উপাধ্যক্ষ পদে আবেদন করার কাঙ্খিত অভিজ্ঞতা না থাকায় উপাধ্যক্ষ পদে তার নিয়োগ ও যোগদান বিধি বহির্ভূত। ফলে তাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে অপর একজন শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব প্রদান করে অনতিবিলম্বে নিয়মিত অধ্যক্ষ নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। আব্দুস সামাদ খানের উপাধ্যক্ষ পদে বিধি বহির্ভূত নিয়োগ এবং তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের বিধি অনুসরন করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। একইসাথে কলেজটির শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করাসহ কলেজটি পরিচালনার স্বার্থে গভর্নিং বডি এবং যোগ্য সভাপতি ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য মনোনয়ন দেবার কথাও উল্লেখ করা হয় এ পত্রে।
এ সব বিষয় নিয়ে জানতে চাওয়া হলে শহীদ এম মনসুর আলী কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি সোহেল হাসান শাহিন জানান, তারা জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের দেওয়া পত্রটি পেয়েছেন। খুব দ্রæত তারা সভা করে সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন। তিনি আরও বলেন, জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের যে নির্দেশনা তা অচিরেই বাস্তবায়ন করে বিশ^বিদ্যালয়কে অফিশিয়ালী অবহিত করা হবে। আমাদের তো জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের সকল নির্দেশনা মেনে নিতেই হবে।
এর বাইরে যাওয়ার কোনো ধরনের সুযোগ নেই। বিশ^বিদ্যালয় যেভাবে বলবে সেভাবেই এখানে সবকিছু পরিচালনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে। অচিরেই জানবেন, বিশ^বিদ্যালয়ের আদেশ আমরা প্রতিপালন করে তাদের জানিয়ে দিয়েছি।