শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ভাঙ্গুড়ায় ৭ দিন ব্যাপি বই মেলা জমে উঠেছে উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর নির্দেশনা : ওবায়দুল কাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় দিন ১৮ এপ্রিল। হোসেন আলী ভারতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ান আজ ভাঙ্গুড়ায় দুগ্ধজাত ক্ষুদ্র শিল্পের সফল উদ্যোক্তা কলেজ ছাত্র অপু ঘোষ ভাঙ্গুড়ায় নতুন ইউএনও’র যোগদান- জ্ঞানের নিষ্প্রভ বাতিঘর কি আবার আলোকিত হবে ? বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা

‘রাজমিস্ত্রি বলে কি আমাদের মন নেই?’

অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২২
  • ২৬৬ সময় দর্শন

‘হ্যাঁ, আমরা রাজমিস্ত্রি। তাতে কী? রাজমিস্ত্রি বলে কি আমাদের মন থাকতে নেই?’ ভারতের হাওড়া জেলা আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে এ কথাগুলো বলেন বালির নিশ্চিন্দা এলাকা থেকে দুই গৃহবধূকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া দুই রাজমিস্ত্রি শুভজিৎ দাস ও চন্দ্রশেখর মজুমদার।

ওই দুই গৃহবধূর পরিবার থেকে তাদের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ করা হয়েছিল। তবে আদালতের নির্দেশে বর্তমানে তারা জামিনে আছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জিনিউজের খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার হাওড়া জেলা আদালতে এসেছিলেন ওই দুই যুবক। সেখানেই প্রমিকা অনন্যা ও রিয়ার প্রতি মনের কথা ব্যক্ত করেন তারা।

তারা বলেছেন, ভুল বুঝিয়ে দুই গৃহবধূকে নিয়ে পালিয়ে যায়নি। বরং তাদের মন থেকে ভালোবাসেন। তাদের সঙ্গেই সংসার পাততে চান।

রাজমিস্ত্রি শুভজিৎ ও চন্দ্রশেখরের প্রশ্ন— ‘রাজমিস্ত্রি বলে আমরা কি মানুষ নই? আমাদের কি মন নেই, না কি আমাদের ভালোবাসতে নেই?’

অভিযুক্তদের আইনজীবী তারকনাথ বাগানি জানিয়েছেন, অপহরণের মামলা হলেও, পুলিশ ফাইনাল রিপোর্টে কিছু খুঁজে পায়নি। ফলে তাদের জামিন দিয়েছেন।

অপর আইনজীবী শীর্ষেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, কেউ নিজের ইচ্ছেয় কাউকে ভালোবাসতেই পারে। এতে কোনো দোষ নেই। তবে যেহেতু মেয়েগুলো বিবাহিত, তাই আইনি জটিতা রয়েছে। বিবাহবিচ্ছেদের পর তারা বিয়ে করতে পারেন।

প্রসঙ্গত, ১৫ ডিসেম্বর শ্রীরামপুরে শীতের পোশাক কেনাকাটা করার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন কর্মকার পরিবারের দুই বউ। সাত বছরের নাতিকে সঙ্গে নিয়েই বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন বড় বউ অনন্যা কর্মকার ও ছোট বউ রিয়া কর্মকার। তার পর সেদিন বিকাল থেকেই তাদের আর কোনো খোঁজ পায়নি পরিবার। একদিকে মোবাইল সুইচড অফ।

অন্যদিকে বিভিন্ন আত্মীয়স্বজন ও পরিচিতের বাড়ি গিয়েও কোনো খোঁজ মেলেনি। শেষবারের মতো তাদের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন পাওয়া যায় শ্রীরামপুরের রয় এমসি ভাদুড়ি লাহিড়ি স্ট্রিটে। এ পরিস্থিতিতে তদন্তে নেমে একটি ফোন নম্বর উঠে আসে তদন্তকারী অফিসারদের হাতে।

ওই নম্বরের সূত্র ধরেই পুলিশ জানতে পারে যে, মুর্শিদাবাদের সুতির বাসিন্দা দুই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে পালিয়ে গেছেন দুই বউ। মাস ছয়েক আগে নিশ্চিন্দার কর্মকার বাড়ি নতুন করে তৈরি করা হয়। সেই সময় বাড়িতে কাজ করতে এসেছিলেন সুভাষ ও শেখর নামে দুই রাজমিস্ত্রি। তখনই বাড়ির দুই বউয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয় দুজনের। রাজমিস্ত্রিদের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বাড়ির দুই বউয়ের। এর পরই সুতিতে সুভাষের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। কিন্তু ততক্ষণে তারা আবার মুম্বাইতে পালিয়ে গিয়েছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মুম্বাইতে তাদের টাকা-পয়সার অভাব হয়। টাকার জোগানে টান পড়তেই চারজনে আবার এ রাজ্যে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। পুলিশের কাছে খবর ছিল যে, আসানসোলে তারা ট্রেন পরিবর্তন করবেন। সেই মতো আঁটঘাট বেঁধে নামে পুলিশ। অভিযুক্তদের ধরতে আসানসোল স্টেশনে ফাঁদ পাতে পুলিশ। পরিকল্পনা মতোই ধরা পড়ে নাতিসহ দুই রাজমিস্ত্রি ও দুই বউ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd