শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর নির্দেশনা : ওবায়দুল কাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় দিন ১৮ এপ্রিল। হোসেন আলী ভারতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ান আজ ভাঙ্গুড়ায় দুগ্ধজাত ক্ষুদ্র শিল্পের সফল উদ্যোক্তা কলেজ ছাত্র অপু ঘোষ ভাঙ্গুড়ায় নতুন ইউএনও’র যোগদান- জ্ঞানের নিষ্প্রভ বাতিঘর কি আবার আলোকিত হবে ? বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা ভাঙ্গুড়া প্রাণি সম্পদ অফিসের নানা জনপ্রিয় কর্মসুচী !

দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ১৩৯ সময় দর্শন
দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী

(বাসস) :

প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেলেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। কাল শুক্রবার শপথ নেবেন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। বঙ্গভবনে শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় প্রধান বিচারপতির শপথ অনুষ্ঠান হবে বলে  নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন।
নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা যোগ দেবেন।

আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এ বিষয়ে আজ বুধবার ৩০ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, আপিল বিভাগের বিচারক হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন। তার নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি শপথ নেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। ৪৭ মাস প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন শেষে কাল ৩১ ডিসেম্বর অবসরে যাচ্ছেন তিনি। সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি হচ্ছেন দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি।বর্তমান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের বয়স ৬৭ বছর পূর্ণ হচ্ছে ৩১ ডিসেম্বর। সে হিসেবে বছরের শেষ দিনে অবসরে যাচ্ছেন ২২তম প্রধান বিচারপতি। ৩১ ডিসেম্বর শুক্রবার হওয়ায় আজ ৩০ ডিসেম্বর ছিল তার শেষ কর্মদিবস।

সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়ে থাকেন। সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং প্রধান বিচারপতির সহিত পরামর্শ করিয়া রাষ্ট্রপতি অন্যান্য বিচারককে নিয়োগ করিবেন।’

তবে দীর্ঘদিনের রীতি অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের যে বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেবেন, তার বিষয়ে সম্মতি দিয়ে আইন মন্ত্রণালয়কে জানান। সে অনুযায়ী আইন মন্ত্রণালয় গেজেট প্রকাশ করে।

বর্তমানে আপিল বিভাগে পাঁচ বিচারপতির মধ্যে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অবসরে গেলে আপিল বিভাগে থাকছেন বিচারপতি ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

এর মধ্যে বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিলেন রাস্ট্রপতি।
উচ্চ আদালতে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের পূর্বে একজন সফল আইনজীবী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন তিনি। আইনজীবী হিসেবে হাসান ফয়েজ সিদ্দিক খুলনা সিটি কর্পোরেশন, কুষ্টিয়া পৌরসভা, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন সংস্থা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের প্রধান আইন উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ৩০ এপ্রিল ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।আবদুর গফুর মোল্লা ও নূরজাহান বেগম দম্পতির সন্তান হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর জন্ম ১৯৫৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার রমানাথপুর গ্রামে।
তিনি ১৯৭২ সালে কুষ্টিয়া জেলার খোকসা জানিপুর পাইলট হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করেন। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন ১৯৭৪ সালে সাতক্ষীরার সরকারি পিসি কলেজ থেকে। এরপর বিএ পাস করেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে। তিনি এমএ পাস করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে। এলএলবি পাস করেন ধানমন্ডি ল’ কলেজ থেকে।

হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আইনজীবী হিসেবে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত হন ১৯৮১ সালে। জেলা আদালতে প্র্যাকটিস শুরু করেন ১৯৮১ সালের ২১ আগস্ট। ১৯৮৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের সনদ লাভ করেন। আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন ১৯৯৯ সালের ২৭ মে।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২০০১ সালে হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৯ সালের ২৫ মার্চ হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে এবং ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। বিচারপতি হিসেবে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ভারতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। এছাড়াও তিনি সৌদি আরব সফর করেছেন।

তার বড় ভাই বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি থেকে অবসরে গিয়েছেন। আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ইতিহাসে প্রথম দুই ভাই যারা  সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগে আসীনের নজির স্থাপন করেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd