বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ভাঙ্গুড়ায় দুগ্ধজাত ক্ষুদ্র শিল্পের সফল উদ্যোক্তা কলেজ ছাত্র অপু ঘোষ ভাঙ্গুড়ায় নতুন ইউএনও’র যোগদান- জ্ঞানের নিষ্প্রভ বাতিঘর কি আবার আলোকিত হবে ? বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা ভাঙ্গুড়া প্রাণি সম্পদ অফিসের নানা জনপ্রিয় কর্মসুচী ! পাবনা জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক আর নেই ভাঙ্গুড়ায় গোদোহন সহজিকরণে বিনামুল্যে মিল্কিং মেশিন বিতরণ  ভাঙ্গুড়ায় প্রাথমিকে শিক্ষক সমন্বয় বদলি নেই! শ্রেনি বিন্যাসে দরকার বহুতল ভবন

পড়ে গেলেও সংবাদকর্মীর ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যায় হানিফ

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২১
  • ২৬৫ সময় দর্শন
পড়ে গেলেও সংবাদকর্মীর ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যায় হানিফ

অনলাইন ডেস্কঃ

রাজধানীর পান্থপথে ময়লাবাহী গাড়ির চাপায় সংবাদমাধ্যমের কর্মী আহসান কবির খাঁন-এর নির্মম মৃত্যুর ঘটনায় ঘাতক ডাম্প ট্রাকচালক মো. হানিফ ওরফে ফটিককে চাঁদপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর কাওরানবাজার বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং-এর পরিচালক কমান্ডার খব্দকার আল মঈন।

তিনি জানান, সাম্প্রতিক সময়ে গত ২৪ ও ২৫ নভেম্বর রাজধানীতে ময়লাবাহী গাড়ি চাপায় দুজন নিহত হয়েছেন। গত ২৪ নভেম্বর গুলিস্তান এলাকায় নটরডেম কলেজের ছাত্র নাঈম খান ময়লাবাহী গাড়ি চাপায় নিহত হন। এইচএসসি পরীক্ষার্থী এই শিক্ষার্থীর নিহতের ঘটনায় ময়লাবাহী ডাম্প ট্রাকের মূল চালক হারুনকে গত ২৬ নভেম্বর আটক করে র‌্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল।

অপরদিকে পান্থপথের বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের উল্টোদিকে ময়লাবাহী আরেকটি গাড়ির চাপায় নিহত হন সংবাদমাধ্যম কর্মী মো.আহসান কবির খাঁন (৪৬)। তিনি দৈনিক সংবাদে কর্মরত ছিলেন। ইতিপূর্বে তিনি প্রথম আলোসহ বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে কাজ করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আহসান কবির খাঁন গত ২৫ নভেম্বর তার মগবাজারস্থ বাসা থেকে মিরপুরের কর্মস্থলে রাইড শেয়ারিং অ্যাপ এর একটি মোটরসাইকেল করে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিটে সোনারগাঁ মোড় থেকে পান্থপথে যাওয়ার রাস্তার সিগন্যালে অপেক্ষা করছিলেন মোটরসাইকেলের পিছনের আসনের আরোহী আহসান কবির খাঁন।

এ সময় অন্যান্য গাড়ির সঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের একটি ময়লাবাহী ডাম্প ট্রাক সেখানে অপেক্ষা করছিল। সিগন্যাল ছাড়া মাত্রই আহসান কবির খাঁনের মোটরসাইকেল ধাক্কা খেলে তিনি মাটিতে ছিটকে পড়েন। ময়লাবাহী গাড়ির চালক গাড়িটি না থামিয়ে তার ওপর দিয়ে চালিয়ে চলে যায়। এ সময় অন্যান্য মোটরসাইকেল চালক এবং স্থানীয় লোকজন গাড়িটিকে ধাওয়া দিলে ময়লাবাহী ডাম্প ট্রাকটি গ্রীনরোড সিগন্যাল পর্যন্ত গিয়ে চালক এবং তার সহকারী গাড়িটি রেখে পালিয়ে যায়।

পরে উপস্থিত পথচারীরা আহসান কবিরকে ঘটনাস্থল হতে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার নিকট প্রাপ্ত পরিচয়পত্র থেকে তাকে শনাক্ত করা হয়। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাদিরা পারভীন বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-২ এর অভিযানে গত ২৬ নভেম্বর চাঁদপুরের হাইমচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সময় ময়লাবাহী ডাম্প ট্রাক এর চালক মো. হানিফ ওরফে ফটিককে (২৩) গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেপ্তারকৃত হানিফ নিজের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃত হানিফকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‍্যাব জানায়, গত ২৫ নভেম্বর কারওয়ান বাজার থেকে গাবতলীতে ময়লা পরিবহনের কাজে নিয়োজিত ছিল এবং সকালে দুবার ময়লা নিয়ে গিয়েছিল। ময়লা নিয়ে তৃতীয়বার যাওয়ার সময় ময়লাবাহী ট্রাক দিয়ে মোটরসাইকেল আরোহীকে চাপা দেয়। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন তাকে ধাওয়া করলে সে কৌশলে গাড়ি থেকে নেমে লোকাল বাসে করে গাবতলীতে চলে যায়। গাবতলী থেকে ওই দিনই সদরঘাট হয়ে লঞ্চে করে চাঁদপুরের হাইমচরে আত্মগোপন করে।

গ্রেপ্তারকৃত হানিফ আরও জানায়, সে প্রথমে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর গাড়ি মেরামত ওয়ার্কশপে মূল মেকানিকের সহযোগী হিসেবে কাজ করতো। গাড়ি পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন ব্যক্তির সঙ্গে সখ্যতার সুবাদে প্রায় ৬/৭ বছর যাবৎ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ধরনের গাড়ি চালিয়ে আসছে। গত ৩ বছর যাবৎ সে সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ধরনের হালকা ও ভারী যানবাহন চালাতো। সর্বশেষ গত এক বছর যাবৎ সে ময়লাবাহী ডাম্প ট্রাক চালাচ্ছে।

সিটি কর্পোরেশনের তালিকাভুক্ত কর্মচারী/ চালক না হলেও তাকে ময়লাবাহী ভারী ডাম্প ট্রাকটি বরাদ্দ দেওয়া হয়। এজন্য তাকে কোনো নির্দিষ্ট বেতন দেওয়া না হলেও গাড়ির জন্য বরাদ্দকৃত তেল হতে অতিরিক্ত তেল বিক্রিই তার আয়ের উৎস বলে সে জানায়।

ময়লাবাহী ডাম্প ট্রাক একটি ভারী যানবাহন, যা চালানোর জন্য পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন হলেও তার নামে শুধু হালকা যানবাহন চালানোর একটা ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে বলেও জানায় র‍্যাব।

advertisement

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd