টি-টোয়েন্টি সিরিজে একক আধিপত্য দেখিয়েছে পাকিস্তান। টানা তিন ম্যাচ জিতে এবার টেস্ট সিরিজের দিকে চোখ সফরকারীদের। তবে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ভয় না পেলেও টেস্ট ক্রিকেটে স্বাগতিকদের হালকাভাবে নিচ্ছে না পাকিস্তান। অধিনায়ক বাবর আজমের মতে, তরুণ্য নির্ভর দল হলেও এখানকার কন্ডিশনই হতে পারে তাদের বড় চ্যালেঞ্জ। তাই এই সিরিজে সাফল্য পেতে হলে ধৈর্য ধরে রাখতে হবে সতীর্থদের।
টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে চারধাপ এগিয়ে পাকিস্তান। যেখানে বাংলাদেশ নয় নম্বরে, সেখানে পাকিস্তান পাঁচে। দুই দলের পার্থক্যটা সহজেই অনুমেয়। তার ওপর সিনিয়র বেশ কয়েকজন ইনজুরিতে পড়ায় তারুণ্য নির্ভর দল বাংলাদেশ। এতো কিছুর পরও বাংলাদেশকে সহজভাবে নিচ্ছেন না বাবর আজমরা।
ঘরের মাঠে জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে দুই ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ। টেস্টে টাইগারদের পারফরম্যান্সও খুব একটা চোখে পড়ার মতো না। তবুও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শুরু হচ্ছে পাকিস্তান সিরিজ দিয়ে। যদিও ম্যাচের আগে কন্ডিশনকেই বড় চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বাবর বলেন, ‘এখানে পার্থক্য কন্ডিশন। ওদের (বাংলাদেশের) ঘরের মাঠ, নিজেদের কন্ডিশন। ওদেরকে কখনোই হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। কোনো দলকেই আসলে হালকা করে নেওয়ার সুযোগ নেই। ওদের কয়েকজন ক্রিকেটার নেই, দলটা তরুণ। তবে যারা আছে, এই কন্ডিশনেই তো খেলে। কাজটা তাই কঠিনই হবে (আমাদের জন্য)। কন্ডিশন বুঝতে তাই একটু সময় লাগে, বুঝতে হয় কিছুটা।’
বাংলাদেশের মাঠে তাই কন্ডিশনকেই মূল পার্থক্য হিসেবে দেখছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। কন্ডিশন ছাড়া অন্য কোনো চ্যালেঞ্জ দেখছেন না বাবর। তার মতে, ‘যতটা ধৈর্য ধরতে পারবে, ধীরস্থির রাখতে পারবে নিজেদের, সিদ্ধান্ত ঠিকঠাক নিতে পারবে, তাতেই ফল পক্ষে আসবে।’
চট্টগ্রামের উইকেট ঠিকঠাক বুঝে না উঠলেও বাবরের বিশ্বাস বোলাররা সহয়তা পাবে। তিনি বলেন, ‘পিচ দেখে মনে হচ্ছে টিপিকাল বাংলাদেশি উইকেট। কালতে যা দেখলাম, তাতে ঘাস ছিল কিছুটা সেখানে। আজকে আবার গিয়ে চূড়ান্তভাবে দেখব কী অবস্থা। এখানে তো স্পিনারদের সহায়তা মেলে, পেসারদেরও সহায়তা মেলে শুরুতে। আমার মতে তাই, যতটা কন্ডিশন কাজে লাগাতে পারব, আমাদের জন্য ততটা ভালো।’