অনলাইন ডেস্ক//
যুক্তরাজ্যে চীনা দূতাবাস এবং ম্যানচেস্টারের কনসুলেটের বাইরে উইঘুর মুসলিমদের প্রতি বেইজিংয়ের আচরণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভ থেকে জিনজিয়াংয়ে চীন কর্তৃক পরিচালিত বন্দীশালাগুলো (কনসেনট্রেশান ক্যাম্প) বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএনআই।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শত শত মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেয় এবং চীনের উইঘুর মুসলমানদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে। এসময় বিক্ষোভকারীরা ‘গণহত্যা বন্ধ কর!’, ‘চীন,তুমি লুকাতে পারবে না!’ বলে শ্লোগান দিতে থাকেন।
বিক্ষোভকারীদের একজন লন্ডন ভিত্তিক অনলাইন নিউজ আউটলেট মিডল ইস্ট আইকে বলেন, ‘আমরা এখানে উইঘুরদের জন্য দাঁড়িয়েছি। আমরা চাই চীন কনসেনট্রেশন ক্যাম্প বন্ধ করুক, মসজিদ উন্মুক্ত করুক এবং উইঘুর মুসলিম, কাজাক মুসলিম এবং অন্যান্য নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের ইসলাম পালনের মৌলিক স্বাধীনতা প্রদান করুক।’
অপর এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমরা এখানে উইঘুর জনগণের জন্য ন্যায়বিচার দাবি করতে এসেছি। কারণ, তাদের কণ্ঠস্বর নেই, স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কেন আমরা এটি হতে দিয়েছি? অতীতে যখন এটি ঘটেই গেছে, এখন ভবিষ্যতে একে আর বাড়তে দেওয়া উচিত নয়।’
এদিকে, ব্রিটেনের লেবার পার্টির সংসদ সদস্য আফজাল খান বলেন, চীনের কনস্যুলেটের বাইরে বিক্ষোভের জন্য একটি বিশাল সমাবেশ দেখলাম। জিনজিয়াংয়ের ঘটনাটি ক্রমশ গণহত্যার দিকে মোড় নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, উইঘুর মুসলমানদের গণহারে বন্দিশিবিরে পাঠানো, তাদের ধর্মীয় রীতিনীতিতে হস্তক্ষেপ এবং জোরপূর্বক পুনঃশিক্ষণ কর্মকাণ্ডের জন্য বিশ্বব্যাপী সমালোচিত হয়েছে চীনের কমিউনিস্ট সরকার। এ বছরের শুরুর দিকে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র চীনের এই কর্মকাণ্ডকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে ঘোষণা দেয়। এরপর ফেব্রুয়ারিতে কানাডিয়ান এবং ডাচ উভয় পার্লামেন্ট উইঘুর সঙ্কটকে গণহত্যা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। সবশেষ গত এপ্রিলে যুক্তরাজ্যও জিনজিয়াংয়ে চীনের চলমান দমন-পীড়নকে ‘গণহত্যা’ বলে ঘোষণা দেয়।