শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর নির্দেশনা : ওবায়দুল কাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় দিন ১৮ এপ্রিল। হোসেন আলী ভারতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ান আজ ভাঙ্গুড়ায় দুগ্ধজাত ক্ষুদ্র শিল্পের সফল উদ্যোক্তা কলেজ ছাত্র অপু ঘোষ ভাঙ্গুড়ায় নতুন ইউএনও’র যোগদান- জ্ঞানের নিষ্প্রভ বাতিঘর কি আবার আলোকিত হবে ? বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা ভাঙ্গুড়া প্রাণি সম্পদ অফিসের নানা জনপ্রিয় কর্মসুচী !

দেরি হলেই গরম খুন্তির ছ্যাকা, মুখে পুরে দেওয়া হতো গামছা

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২১
  • ৩৮০ সময় দর্শন
দেরি হলেই গরম খুন্তির ছ্যাকা, মুখে পুরে দেওয়া হতো গামছা

সাঁথিয়া  প্রতিনিধি/

দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে অভাবের সংসার নুরজাহানের। স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে সংসার ছাড়েন। অন্যের বাড়িতে কাজ করে বিয়ে দিয়েছেন বড় মেয়েকে। সংসার চালাতে না পেরে বাধ্য হয়ে নয় বছরের মেয়েকে গৃহকর্মী হিসেবে পরিচিত একজনের ঢাকার বাসায় পাঠান। তবে সেখানে গিয়ে গৃহকর্ত্রীর অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ওই শিশু। সামান্য ভুল হলেই তাকে গরম খুন্তির ছ্যাকা দেওয়া হতো। চিৎকারের শব্দ বন্ধ করতে মুখে পুরে দেওয়া হতো গামছা।

নুরজাহান খাতুন পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা। মেয়েকে অকথ্য নির্যাতনের অভিযোগে তিনি সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করেছেন তিনি।

নুরজাহান জানান, সংসারের অভাব দূর না হওয়ায় মেয়েকে সাঁথিয়ার রায়েকমারী গ্রামের মিঠুর ঢাকার বাসায় কাজের জন্য পাঠান। সেখানে মিঠুর স্ত্রী শাপলার অকথ্য নির্যাতনের শিকার হয়েছে সে। শাপলা প্রায়ই তার মেয়েকে মারধর ও গরম খুন্তির ছ্যাকা দিতেন। নয় মাস পরে গতকাল শুক্রবার ঢাকা থেকে সাঁথিয়ায় তার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন অভিযুক্তরা। পরে মেয়ের দুই হাত, পিঠ ও মুখে নির্যাতনের চিহ্ন দেখতে পান।

ভুক্তভোগী শিশু বলে, ‘কোনো কাজ করতে বা নির্দেশ পালন করতে দেরি হলেই মিঠুর স্ত্রী শাপলা মারধর করতেন। চিৎকার করলে মুখে গামছা পুরে দিতেন। আমি বাড়ি আসতে চাইলে তারা নিষেধ করতেন। মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিতেন না। এ ছাড়া বাড়িতে এসে নির্যাতনের কথা কাউকে যেন না বলি এজন্য আমাকে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছেন তারা। মারধরের ঘটনা আড়াল করতে তারা বলে দিয়েছে, আমি যেন বলি সড়ক দুঘর্টনায় আহত হয়েছিলাম।’

শিশুটির মা নুরজাহান বলেন, ‘মিঠুর মা সাঁথিয়ার ক্ষেতুপাড়া আব্দুস সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মায়া খাতুন ভরণপোষণ ও বিয়ে দেওয়ার চুক্তিতে বাসার কাজের জন্য আমার মেয়েকে উত্তরার খিলক্ষেতে তার ছেলের বাসায় পাঠান। মায়া ম্যাডাম প্রতি মাসে ঢাকায় গেলেও অত্যাচারের কথা গোপন রেখেছিলেন। আমি আমার মেয়ের পেটের ভাতের জন্য কাজে পাঠিয়েছিলাম, অত্যাচারের জন্য নয়। মেয়েকে এভাবে নির্যাতনের বিচার চাই।’

এ বিষয়ে মিঠুর মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে মিঠুর মা মায়া খাতুন বলেন, ‘জান্নাতুলকে আমি কাজের জন্য ঢাকা পাঠাই। সেখানে সে সড়ক দুঘর্টনায় আহত হয়।’ এই বলেই ফোন কেটে দেন।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থল ঢাকা হওয়ায় মামলা সেখানেই করতে হবে। আমি জান্নাতুলের পরিবারকে ঢাকায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি।’ ঢাকার খিলক্ষেত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন নুরজাহান।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd