শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর নির্দেশনা : ওবায়দুল কাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় দিন ১৮ এপ্রিল। হোসেন আলী ভারতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ান আজ ভাঙ্গুড়ায় দুগ্ধজাত ক্ষুদ্র শিল্পের সফল উদ্যোক্তা কলেজ ছাত্র অপু ঘোষ ভাঙ্গুড়ায় নতুন ইউএনও’র যোগদান- জ্ঞানের নিষ্প্রভ বাতিঘর কি আবার আলোকিত হবে ? বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা ভাঙ্গুড়া প্রাণি সম্পদ অফিসের নানা জনপ্রিয় কর্মসুচী !

ক্লাসরুমেই অধ্যক্ষের বাস!

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ২০৪ সময় দর্শন
ক্লাসরুমেই অধ্যক্ষের বাস!

নেত্রকোনা প্রতিনিধি/

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা প্রফেসর মো. আবুল হোসেন চৌধুরী বাংলা বিভাগের শ্রেণিকক্ষ দখল করে বসবাস করেছেন। খাওয়া দাওয়া গোসল সবই করেন শ্রেণিকক্ষে। ফলে ওই বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে হয় অন্য একটি ভবনে। এ নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও অধ্যক্ষের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেছেন না।

কলেজের ফটকের অদূরে থাকা অনার্স ভবনের দ্বিতীয় তলায় প্রথম কক্ষটিতে শিক্ষকদের মিলনায়তন। পাশের কক্ষের বাইরে বাংলা বিভাগে সাইনবোর্ড থাকলেও তা বন্ধ। জানালার কাঁচের ফাঁকে দেখা গেছে পর্দা টাঙানো। পর্দা টানলে ভেতরে বিছানাপত্র, টেবিলের ওপর খাবারে বাসন ও বইপত্র ইত্যাদি। যেন ঘুছানো পরিপাটি স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি শয়নকক্ষ।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে ১৩ মার্চ কলেজে বদলি হয়ে আসেন। এরপর থেকে বাংলা বিভাগের একটি শ্রেণিকক্ষে বসবাস করছেন অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল হোসেন চৌধুরী। শ্রেণিকক্ষ অধ্যক্ষের দখলে থাকায় বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে হয় অন্য একটি ভবনে। বিষয়টি নিয়ে শুরু থকেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নানাগুঞ্জন থাকলেও প্রকাশ্য কিছু বলে অধ্যক্ষের বিরাগভাজন হতে চান না কেউই।

কলেজ সূত্র আরও বলছে, ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের মার্চে এ কলেজটি সরকারিকরণ করা হয়। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে এ কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন মো. আবুল হোসেন চৌধুরী। চতুর্থ গ্রেডে বর্তমানে বেতন পাচ্ছেন প্রায় এক লাখ টাকা।

আইসিটি শিক্ষক মো. আল মামুন জানান, শুরু থেকেই স্যার এখানে থাকেন এটা সবারই জানা। এখন ক্লাস শুরু হবে তাই ভাড়া বাসা খোঁজছেন। শিগগির তিনি ভাড়া বাসায় চলে যাবেন শুনেছি।

বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহমুদা আক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি   বলেন, তিন বছর যাবত আবুল হোসেন স্যার ওই কক্ষে থাকছেন। আমাদের বাংলা বিভাগের ক্লাস পাশের ডিগ্রির একটি ভবনের দুটো কক্ষে নেওয়া হয়। এতে ক্লাসে কোন সমস্যা হয় না বলে জানান তিনি।

হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মো. ইমাম হাসান   বলেন, আগের অধ্যক্ষও এই কক্ষে থাকতেন। করোনার পর বাংলা বিভাগের ক্লাস এখনো শুরু হয়নি। তবে অনেকে এটা নিয়ে বিভিন্ন কথা বলে। এ বিষয়টা স্যারকে জানিয়েছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল হোসেন চৌধুরী     বলেন, ওই কক্ষের বাইরে বাংলা বিভাগ লিখা থাকলেও এটা আসলে একটা স্টোর রুম। এটা কোন শ্রেণিকক্ষ নয়। তাই এই কক্ষে বসবাস করছি।

সূত্রঃ দৈনিকশিক্ষাডটকম

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd