গত ২৬ জুলাই ‘ডিডিএননিউজবিডি ডট কম’ অনলাইন পত্রিকায় “ভাঙ্গুড়ায় বেতুয়ান কবরস্থানের ৭ লাখটাকাআত্মসাত: তদন্তেপিবিআই”-শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এতে আমাকে অমুক্তিযোদ্ধা বলে ও গোরস্থানের টাকা আত্মসাতের সাথে জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা সত্য নয়। আমি এই মিথ্যা সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রকৃতপক্ষে, আমি মো: মোসলেম উদ্দিন খান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমি পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার বেতুয়ান গোরস্থান কমিটির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন কালে সম্মানিত সদস্যদের নিয়ে সততা, মেধা এবং শ্রম দিয়ে গোরস্থানের উন্নয়নে কাজ করেছি। সম্প্রতি গ্রামের কিছু খাস জায়গা ভুমিদস্যুরা জোরপূর্বক অবৈধভাবে দখল করার প্রক্রিয়া শুরু করে। আমি এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এর বিরোধিতা করি। তাই প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে ভুমিদস্যুরা আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে উঠে পড়ে লাগে এবং আমার বিরুদ্ধে নানা ভাবে অপ্রচার চালায় ও হয়রানিমুলক মামলা করে।
গোরস্থানের সাবেক সেক্রটারি মরহুম আঃ কাদেরের স্বাক্ষর জাল করে চেক দিয়ে টাকা উত্তোলনের যে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে এর কোন ভিত্তি নাই বলে আমি মনে করি। কারন ব্যাংকের কর্মকর্তাগন যথাযথ ভাবে স্বাক্ষর পর্যবেক্ষণ করেই চেক ছার করে ছিলেন। তারপরও সমস্ত টাকার হিসাব নিকাশ ক্যাশিয়ার ও আমার কাছে আছে। যেহেতু কোর্টে মামলা হয়েছে এবং মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে তাই মামলা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাই না। বিষয়টি আমরা আইনি ভাবেই মোকাবেলা করার প্রস্তুতি নিয়েছি।
আমি সরকারি গেজটভুক্ত ( গেজেট নম্বর – ১৬৮০; এমআই এস নম্বর – ০১৭৬০০০২৮১৮) এবং সম্মানি ভাতাভুক্ত একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা । আমার গেজেট কোন সময়ই বাতিল হয় নাই। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে গ্রুপিংয়ের কারণে কিছু দিনের জন্য আমার ভাতা স্থগিত ছিলো। তবে আমি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে (জামুকা) আপিল করায় জামুকা আমার আপিল নিষ্পত্তি করে আমার সম্মানি ভাতা পুনরায় চালু করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রনালয়ে সুপারিশ করে। মন্ত্রনালয় আমার বকেয়া ভাতাসহ সম্মানি ভাতা পুনরায় চালু করেছে।
অভিযোগকারীদের পক্ষে গোরস্থানের নয়া কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারীর বক্তব্যে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, আমি জাল কাগজপত্র দাখিলের মাধ্যমে অনেকদিন সরকারি অনুদান তুলেছি। পরবর্তীতে অমুক্তিযোদ্ধা প্রমাণ হওয়ায় গেজেট থেকে আমার নাম বাদ পরে এবং ভাতাও বন্ধ হয়ে যায়। তারা বলেছেন, জালিয়াতিকরা আমার স্বভাবে পরিনত হয়েছে। এই ধরনের অবমাননাকর বক্তব্যের মাধ্যমে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে চরম ভাবে অপমান করা হয়েছে, মানহানি করা হয়েছে। আমি তার এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতে মানহানির মামলার প্রস্ততি নিচ্ছি।
প্রতিবেদকের বক্তব্য :
এই সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো বক্তব্য উপস্থাপিত হয়নি। এ সংক্রান্ত মামলার আরজিতে বাদির বক্তব্যই কেবল তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে বিবাদী বা প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদকারীর সাথে ফোনে কথা বলে তার বক্তব্যও উপস্থাপন করা হয়েছে।