বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সর্বজনীন পেনশন স্কিম- ভাঙ্গুড়ায় ৪ মাসে একাউন্ট ওপেন হয়েছে মাত্র ১৪২ ভাঙ্গুড়ায় প্রাণি সম্পদ বিভাগের জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপনী ঘটলো সেবা সপ্তাহের ভাঙ্গুড়ায় ৭ দিন ব্যাপি বই মেলা জমে উঠেছে উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর নির্দেশনা : ওবায়দুল কাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় দিন ১৮ এপ্রিল। হোসেন আলী ভারতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ান আজ ভাঙ্গুড়ায় দুগ্ধজাত ক্ষুদ্র শিল্পের সফল উদ্যোক্তা কলেজ ছাত্র অপু ঘোষ ভাঙ্গুড়ায় নতুন ইউএনও’র যোগদান- জ্ঞানের নিষ্প্রভ বাতিঘর কি আবার আলোকিত হবে ? বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা

হাজারো মানুষের ভরসার সাঁকো!

অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ৬ মে, ২০২১
  • ২২৩ সময় দর্শন

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের চরখোর্দ্দা ও লাটশালা গ্রাম। তিস্তা নদী বিধৌত এ জনপদের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। কিন্তু সেই বাঁশের সাঁকোটিও এখন নরভরে ও ঝুঁকিপূর্ণ। বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হচ্ছে স্থানীয়রা।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, তিস্তা নদীর শাখা খালের উপর কয়েক বছর আগে স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ করা হয় কাঠের সেতু। কিন্তু দুই বছর আগে ভয়াবহ বন্যায় সেই সেতুটিও ভেঙে যায়। এতে বিচ্ছিন্ন হয় কয়েক হাজার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা। বাধ্য হয়ে আবারো বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয় সাঁকো। হাজারো মানুষের চলাচলের ফলে সেই সাঁকোটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। নরভরে আর ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও নিরুপায় হয়ে চলাচল করছেন স্থানীয়রা। দীর্ঘদিন ধরে একটি ব্রিজের দাবি তুললেও কোন ব্যবস্থা করেনি সংশ্লিষ্ট দপ্তর। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দ্বারস্থ হয়ে নানা সময় প্রতিশ্রুতি পেলেও আলোর মুখ দেখিনি সেতু। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন হাজারো মানুষ। এতে যেকোনো সময় ভেঙে গিয়ে বড় দুর্ঘটনায় আশঙ্কা করছেন পথচারীরা।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের খোদ্দা, চরখোর্দ্দা, লাটশালা, বৈরাগীপাড়া, মন্ডলপাড়া গ্রাম ও কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজড়া এবং গুনাইগাছ ইউনিয়নের চরবিরহীম, সাধুয়া, দামারহাট, নাগড়াকুড়া, কালপানি, হুকাডাঙ্গা ও থেথরাই গ্রামের কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষ প্রতি নিয়ত বুড়াইল সাঁকো দিয়ে চলাচল করে। দুই উপজেলার মানুষের সেতু বন্ধনের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে সাঁকোটি। এছাড়া হাজারও স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থী এবং দুই উপজেলায় সরকারি বেসরকারি চাকরিজীবীরা প্রতিদিন চলাচল করে থাকেন সাঁকোর উপর দিয়ে।

লাটশালা গ্রামের মানিক ব্যাপারী নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, গত কয়েক বছর ধরে আমরা একটা ব্রিজের দাবি করে আসছি। কিন্তু নানা সময়ে জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিলেও আজও সেটা বাস্তবায়ন হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছি।

একই গ্রামের বৃদ্ধ মজিবুর রহমান জানান, সাঁকোত উঠলে মোর কইলজা ধকধক করে বাপো। কখন যে ভাঙি পরোম সেই ভয় নিয়া হাঁটি আসনু। এতোদিন ধরি হামাক ব্রিজ করি দিবার চায়া ভোট নেয় আর ভোটে হইলে খোঁজ নেয় না।

এ ব্যাপারে তারাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর রাস্তাটি নির্মাণ করেছিলাম। আমি এ বছর ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের একটি সেতুর বরাদ্দে নাম অন্তর্ভুক্ত করেছি। ইতোমধ্যে মাটি পরীক্ষাও করা হয়েছে। আশা করছি এই বছরেই সেতুর কাজ শুরু হবে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd