বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সর্বজনীন পেনশন স্কিম- ভাঙ্গুড়ায় ৪ মাসে একাউন্ট ওপেন হয়েছে মাত্র ১৪২ ভাঙ্গুড়ায় প্রাণি সম্পদ বিভাগের জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপনী ঘটলো সেবা সপ্তাহের ভাঙ্গুড়ায় ৭ দিন ব্যাপি বই মেলা জমে উঠেছে উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর নির্দেশনা : ওবায়দুল কাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় দিন ১৮ এপ্রিল। হোসেন আলী ভারতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ান আজ ভাঙ্গুড়ায় দুগ্ধজাত ক্ষুদ্র শিল্পের সফল উদ্যোক্তা কলেজ ছাত্র অপু ঘোষ ভাঙ্গুড়ায় নতুন ইউএনও’র যোগদান- জ্ঞানের নিষ্প্রভ বাতিঘর কি আবার আলোকিত হবে ? বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা

করোনার মধ্যেও শক্তিশালী অবস্থানে টাকার মান

অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ৩ মে, ২০২১
  • ৪৪০ সময় দর্শন

করোনার মধ্যে অর্থনীতির অন্যান্য সূচকগুলো দুর্বল হয়ে পড়লেও বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে কাবু হয়নি টাকার মান। বরং প্রতিবেশী দেশ ভারতীয় রুপি, মার্কিন ডলারের চেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে টাকার মান। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর তদারকি, রেমিট্যান্স-প্রবাহের ঊর্ধ্বমুখী ধারাবাহিকতার বিপরীতে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে আমদানি ব্যয় হ্রাস পাওয়ায় ডলারের চাহিদা কমে গেছে। সব মিলেই বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করেছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে। জানা গেছে, গত বছরের ১৫ মার্চে প্রতি ডলার পেতে ব্যয় করতে হয়েছে ৮৪ টাকা ৯৫ পয়সা। গতকাল প্রতি ডলার পেতে ব্যয় করতে হয়েছে ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরো শক্তিশালী হয়েছে।এ দিকে প্রতিবেশী দেশ ভারতীয় রুপির বিপরীতেও শক্তিশালী হয়েছে টাকার মান। যেমন, গত ২৭ মার্চ বাংলাদেশের এক টাকা সমান ছিল ভারতীয় ১ দশমিক ১৭ রুপি। ৩০ মার্চ তা আরো কমে ১ দশমিক ১৫ রুপি হয়। ৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল সামান্য বেড়ে ২ এপ্রিল থেকে আবার কমতে শুরু করে। ৬ এপ্রিল থেকে টাকার বিপরীতে রুপির মান ধারাবাহিকভাবে কমে যাচ্ছে। গত ১৩ এপ্রিল কমে এক টাকার সমান ১ দশমিক ১৩ রুপি হয়। এভাবে গত ২০ এপ্রিলে তা আরো কমে হয় ১ দশমিক ১২ রুপি। আর ২৭ এপ্রিল আরো কমে ১ দশমকি ১১ রুপি হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করায় সে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। চিকিৎসা উপকরণসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানির চাহিদা বেড়ে গেছে। এতে বেড়ে গেছে ডলারের চাহিদা। ডলারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির দরপতন হয়েছে। এতে ভারতীয় মুদ্রা রুপির ব্যাপক দরপতন ঘটেছে। এ কারণে বাংলাদেশের টাকার পাশাপাশি মার্কিন ডলার ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের একক মুদ্রা ইউরোর বিপরীতেও দরপতন ঘটেছে। অন্য দিকে করোনা সংক্রমণের মধ্যেও বাংলাদেশের মুদ্রার মান বিভিন্ন দেশের মুদ্রার বিপরীতে স্থিতিশীল রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, মহামারী করোনার প্রাদুর্ভাবের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। করোনার প্রভাবে বাংলাদেশের শ্রমবাজার বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের মন্দা দেখা দেয়। এর ধকল কাটাতে বাংলাদেশী শ্রমিকরা ফিরে আসতে থাকে। গত বছরের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় পৌনে চার লাখ শ্রমিক ফিরে আসেন। এতে ধরেই নেয়া হয়েছিল রেমিট্যান্স-প্রবাহ কমে যাবে। কিন্তু এর পরেও গত বছর রেকর্ড রেমিট্যান্স আসে। এ বছরের শুরু থেকেও রেমিট্যান্স-প্রবাহের ধারা অব্যাহত রয়েছে। রেমিট্যান্স-প্রবাহের ধারা অব্যাহত থাকার কারণ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, বৈধ পথে কেউ রেমিট্যান্স পাঠালে ২ শতাংশ নগদ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এতে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স-প্রবাহ বেড়ে গেছে। কমে গেছে হুন্ডি তৎপরতা। অপর দিকে, বাজার থেকে বিপুল অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিনে নিয়েছে। গত বছর অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে যাওয়ায় বাজারে উদ্বৃত্ত ডলার থাকে। সাধারণত চাহিদা কমে গেলে ডলারের মান কমে যাওয়ার কথা; কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের মান ধরে রাখার জন্য বাজার থেকে উদ্বৃত্ত ডলার কিনে নেয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান মতে, চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার থেকে প্রায় সাড়ে ৫৮ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ৬৯০ ডলার কিনেছে। এর ফলে বাজারে ডলারের মূল্য বড় আকারে পতন হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছেন বলে মনে করেন ব্যাংকাররা। ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার না কিনলে প্রতি ডলারের দাম ৭০ টাকায় নেমে যেত। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হতেন প্রবাসীরা ও রফতানিকারকরা। মূলত রেমিট্যান্স-প্রবাহ ধরে রাখার জন্য এবং রফতানিকারকদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার থেকে ডলার কিনে নেয়। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের মজুদ যেমন শক্তিশালী হয়েছে, তেমনি বৈদেশিক মুদ্রাবাজারও স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে আমদানি ব্যয় আবারো কমতে শুরু করেছে। এতে রফতানি আয় কমলেও রেমিট্যান্স-প্রবাহ কমেনি, বরং বেড়ে গেছে। এমনি পরিস্থিতিতে বাজারে বৈদেশিক মুদ্রা উদ্বৃত্ত থাকলেও আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার থেকে ডলার কিনে নেবে। এতে ডলারের মান কমবে না, বরং স্থিতিশীল থাকবে বলে ওই সূত্র জানিয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd