পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের জরুরি নির্দেশনার বিষয়ে প্রচার-প্রচারণায় এসে স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়েছিলেন ইউএনও। পরে খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, কুয়াকাটা চৌরাস্তায় মোটরসাইকেল থাকা ইলিয়াস নামে এক যুবককে থামিয়ে তার পরিচয় জানতে চায় ইউএনও। এরপর ইলিয়াসকে ইউএনও মারধর করেছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এসময় ইউএনওকে অবরুদ্ধ করে ফেলেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয় স্থানীয়দের। পরে রাত ৯টার দিকে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক সরকার করোনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে ব্যবসায়ী এবং পথচারীদের ঘরে ফেরার তাগিদ দেন। এসময় কুয়াকাটা চৌরাস্তায় একটি পত্রিকার (তালাশ) স্টিকার লাগানো মোটরসাইকেলযোগে ইলিয়াস নামে এক যুবককে থামিয়ে তার পরিচয় জানতে চান ইউএনও। একই সঙ্গে সম্প্রতি ইয়াবাসহ ইলিয়াসকে আটকের বিষয়টি ইউএনও উল্লেখ করলে ওই যুবক উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এরপর ইলিয়াসকে ইউএনও মারধর করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের ছবি তোলা পেশায় নিয়োজিত প্রায় দুইশত ফটোগ্রাফার ও স্থানীয় জনতা চৌরাস্তায় এসে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে ইলিয়াসকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি কুয়াকাটা সৈকতে ফটোগ্রাফারদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে ইলিয়াস শেখ বলেন, কুয়াকাটা চৌরাস্তায় এলে ইউএনও আমার মোটরবাইক থামিয়ে পরিচয় জানতে চান। এসময় কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে মারধর শুরু করেন।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত লোকজনকে ঘরে ফেরার অনুরোধ জানালে তারা ফিরে যায়। বর্তমানে স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে।
ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক বলেন, চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার কর্তৃক কঠোর নিষেজ্ঞার জনসচেতনতার প্রচার প্রচারণা চালাতে ইলিয়াস শেখ বাধা দেন। এরপর আমাকে লাঞ্চিত করে গাড়িসহ অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করা হয়।