উল্লাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের শতাধিক কর্মচারী ২ মাসেরও বেশি সময় ধরে বেতন পাচ্ছেন না। এসব কর্মচারীর মধ্যে রয়েছে, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্যানেটারি ইন্সপেক্টর, এনপিআই, সহকারী স্বাস্থ্যকর্মীসহ অপর কর্মীরা। বৈশ্বিক করোনা মহামারীর চলমান সময়ে সম্মুখ যোদ্ধা এসব কর্মচারী বেতন না পেয়ে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক কষ্টে দিনপাত করছেন।
ভুক্তভোগী স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, বেতনের ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার তাগাদা দিলেও কোন কাজ হচ্ছে না। তারা অবিলম্বে তাদের বেতন পরিশোধের দাবি জানান। উল্লাপাড়া উপজেলা কমপেক্সের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক আব্দুল মজিদ জানান, সম্প্রতি তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৪৪দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এসময় তার প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়েছে। সরকার করোনা আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের অনুদান দেওয়ার ঘোষনা দিলেও এখন পর্যন্ত তিনি একটি পয়সাও পাননি। তার মতো উল্লাপাড়ায় আরো কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছে যারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন। এমতাবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করে গেলেও মাসিক বেতন বন্ধ থাকায় পরিবারে নেমে এসেছে চরম দুভোর্গ ।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি স্বাস্থ্য কর্মীদের বেতন বন্ধের কথা স্বীকার করে জানান, প্রতিবছর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে কর্মচারীদের বেতন, বাড়ি ভাড়া, সন্তানদের শিক্ষা ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতার অর্থ পৃথক বরাদ্দ প্রদান করা হয়। চলতি অর্থবছরে এখানে শিক্ষাখাতে বরাদ্দকৃত অর্থ কম থাকায় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের বেতন প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে বিষয়টি সংশিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে শিক্ষাখাতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার কথা রয়েছে। এই বরাদ্দ পেলে সকল কর্মচারীর বোকেয়া বেতন ভাতা প্রদান করা সম্ভব হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।