ঋতু বৈচিত্রের দেশ বাংলাদেশ, এদেশে ছয়টি ঋতুতে রয়েছে পৃথক আলাদা সৌন্দর্য। তার মধ্যে বসন্তকে ঋতুরাজ বলা হয়। বসন্ত এলেই প্রকৃতি সাজে অপরূপ সাজে। এ সৌন্দর্য দেখে মূগ্ধ হয়ে কবিগুর“ লিখলেন ‘ আহা ! আজি এ বসন্তে, এত ফুল ফুটে, এত বাঁশি বাজে , এত পাখি গায়’।
ঈশ্বরদী-ঢাকা রেলপথে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ঘাটিনা রেল সেতুর পূর্বপাড়ে সলপ রেল স্টেশন পর্যন্ত ২কিলোমিটার পথ। এ পথের ধারের সারি সারি শিমূল গাছে ফুটে থাকা ফুলের শোভা এখন এই জনপদের মানুষের কাছে আকর্ষনীয় হয়ে উঠেছে। শত শত গাছের শিমুল ফুলে বসা হাজার পাখিরা সমবেশ কলকাকলিতে এ এলাকা মূখরিত করে তুলেছে ।
প্রতিদিন অসংখ্য নারী পুর“ষ ও শিশু কিশোরা এই রেল পথের ধারের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য এখানে আসছেন। এখানে আসছেন বিভিন্ন মিডিয়ার কর্মীরা। তারা কেউ করছেন ভিডিও। আবার কেউ তুলছেন ছবি। সকাল ও বিকেলে ২ কিলোমিটার পথে অনেক লোকের সমাগম হচ্ছে। প্রতিবছর বসন্তকালে অন্তত: দু সপ্তাহ ধরে প্রকৃতিপ্রেমীদের এখানে আসতে দেখা যায়। এর পর ফুলগুলো শুকিয়ে ফলে রূপ নিলে তখন অন্য রূপ ধারণ করে। উক্ত রেল পথের নীচে সুন্দর পাকা রা¯—া থাকায় দুর থেকে ভ্রমন পিপাসুদের এখানে আসা বেশ সহজ হয়েছে। শনিবার ওই রেলপথে শিমূলফুলের ছবি তুলতে গেলে কথা হয় উলাপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়ার সাথে ।
সপরিবারে তিনি বেড়াতে এসেছিলেন প্রকৃতিতে বিরাজমান শিমুলের শোভা দেখতে। মাহবুবুর রহমান জানালেন, মানুষের মুখে এই স্থানের শিমুল ফুলের নান্দনিক শোভার কথা শুুনে তিনি নিজে পরিবার নিয়ে উপভোগ করতে এসেছেন এখানে। এমন দৃশ্য তিনি এর আগে দেখেননি বলে জানান। স্কুল শিক্ষিকা ছন্দা, শিউলী বললেন করোনার জন্য স্কুল বন্ধ তাই আমরা অনেকটা ঘরবন্দি হয়ে আছি। আজ এখানে এসেছি। কিছু¶ন আগে সারি সারি শিমুল গাছের পাশ দিয়ে রেলপথ দিয়ে চলে গেল আন্ত:নগর ট্রেন লীল সাগর। ট্রেনের শব্দ, শিমুল গাছে বসা পাখির কলকাকলি আর চলামান ট্রেনের বাতাসে শিমুল গাছে ফোটা ফুলগুলো যেন হেলে দুলে প্রকৃতি প্রেমি মানব সন্তানদের বসন্তের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছে।