মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ভাঙ্গুড়ায় প্রাণি সম্পদ বিভাগের জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপনী ঘটলো সেবা সপ্তাহের ভাঙ্গুড়ায় ৭ দিন ব্যাপি বই মেলা জমে উঠেছে উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর নির্দেশনা : ওবায়দুল কাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় দিন ১৮ এপ্রিল। হোসেন আলী ভারতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ান আজ ভাঙ্গুড়ায় দুগ্ধজাত ক্ষুদ্র শিল্পের সফল উদ্যোক্তা কলেজ ছাত্র অপু ঘোষ ভাঙ্গুড়ায় নতুন ইউএনও’র যোগদান- জ্ঞানের নিষ্প্রভ বাতিঘর কি আবার আলোকিত হবে ? বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা

শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ৬ মার্চ, ২০২১
  • ১৫১ সময় দর্শন

অনলাইন ডেস্ক : ধান আমাদের প্রধান শস্য। আর বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জন্মের প্রধান পুরুষ, জাতির জনক। তার জন্মশতবর্ষে বাংলার মাটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তার প্রতিকৃতি। এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে বগুড়ার প্রত্যন্ত গ্রাম বালেন্দা। এই গ্রামের মানুষের উৎসাহে মাটির ক্যানভাসে ধানের চারা দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে, আঁকা হয়েছে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’।

সুবজ ও ঘন বেগুনি ধানগাছের চারায় জেগে উঠেছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে ধানগাছ দিয়ে ১২০ বিঘা জমিতে পাখির চোখে রংতুলিতে আঁকা হয়েছে এটি। মাত্র ৩০ দিনেই ফুটে উঠেছে বঙ্গবন্ধুর মুখচ্ছবি। ধানগাছ দিয়ে বিশাল ক্যানভাসে আঁকা হয়েছে এই শস্যচিত্র।

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম বালেন্দার চোখজুড়ানো দিগন্ত বিস্তৃত মাঠেই তৈরি হয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহত্ ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর’ এই প্রতিকৃতি। এই ব্যতিক্রমী আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে ‘শস্যচিত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ’। এই আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকেয়ার।

চারা লাগানো হয়ে গেছে। এখন চলছে পরিচর্যার কাজ। গত মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আদিবাসী নারী-পুরুষ কাজ করছেন জমিতে। তারা সবুজ ও বেগুনি ধানের চারার মধ্যে থাকা আগাছা পরিষ্কার করছেন।

শিল্প-সমালোচক মঈনুদ্দীন খালেদ বলেন, ‘এটি একটি বিশাল ইন্সটলেশন আর্ট, বাংলায় যাকে বলা হয় স্থাপনা শিল্প। এভাবে ধানের চারা দিয়ে শিল্পসৃষ্টি একেবারেই নতুন ভাবনা। এটিকে নিউ মিডিয়া বলা যেতে পারে। এই স্থাপনা শিল্পে দেশের প্রধান শস্য ধানের সঙ্গে জাতির জনকের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে। মাটি আমাদের সম্পদ আর এই মাটি থেকেই মানুষটি উঠে এসেছেন যিনি বাংলাদেশের স্থপতি।’

এদিকে, ব্যক্তি উদ্যোগেও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি গড়ে তুলতে দেখা গেছে। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মুজিববর্ষ ও বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে ফসলের মাঠে অভাবনীয় শিল্পকর্ম এঁকেছেন কৃষক আবদুল কাদির। নিজ জমির ক্যানভাসে তিনি এঁকেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি, স্মৃতিসৌধ, জাতীয় ফুল শাপলা ও নৌকা। লালশাক ও সরিষা ক্ষেতকে ছবি আঁকার মাধ্যম হিসেবে তিনি ব্যবহার করেছেন।

উপজেলার আঠারবাড়ী ইউনিয়নের পাড়া খালবলা গ্রামের কৃষক কাদির ৩৩ শতক জমিতে তুলে ধরেছেন বাংলা ও বাঙালির প্রতিচ্ছবি। ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় ব্যাপক সাড়া পড়েছে।

‘শস্যচিত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং আহ্বায়ক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম জানান, বিশ্বের সবচেয়ে বড় শস্যচিত্র হিসেবে নতুন রেকর্ড গড়ার জন্য গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এরইমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ফি পরিশোধ করা হয়েছে। শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু-এর ভিডিওসহ প্রয়োজনীয় দলিল গিনেজ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। আগামী ১৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে নতুন বিশ্বরেকর্ড অর্জন উদ্যাপন করা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

চিত্রকর্মটি বাস্তবায়নকারী ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকেয়ারের ব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান বলেন, ২০১৯ সালে চীনে তৈরি শস্যচিত্রটির আয়তন ছিল ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৬ বর্গফুট। আর আমাদের এই শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির আয়তন হবে ১২ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট। শস্যচিত্রটির দৈর্ঘ্য ৪০০ মিটার এবং প্রস্থ ৩০০ মিটার। এই চিত্রকর্ম সম্পন্ন হলে বিশ্বের সর্ববৃহত্ শস্যচিত্র হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে এটি স্থান পাবে।

শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিত্রকর্মটি সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকেয়ারের কর্মকর্তা-কর্মচারী।

ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকেয়ারের সহকারী ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, জাতির জনকের জন্মশতবর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশেষ জাতের ধান চাষের মাধ্যমে এই কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের সদস্যদের নিয়ে এর লে-আউট তৈরি করা হয়। চারা লাগানোর জন্য নির্ধারিত মাঠ প্রস্তুত করা হয়। এই কাজে ১০০ বিএনসিসি সদস্যের দল অংশ নেয়। প্রতিদিন ১২০ থেকে ১৩০ জন শ্রমিক চারা রোপণের কাজ করেছেন।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd