ঢাকার ধামরাইয়ে প্রেমের টানে সীমা আক্তার সুমি নামে এক নারী ইউপি সদস্য স্বামীর ঘর ছেড়েছেন। সুয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের দুই বারের নির্বাচিত সংরক্ষিত নারী সদস্য তিনি।
এর আগে ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের নারী আসনের সদস্য হামিদা আক্তার গুদি ও প্রিয়শী আক্তার পরকীয়া প্রেমের টানে ঘর ছাড়েন।
এ নিয়ে এ ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী আসনের তিনজন সদস্য পরকীয়া প্রেমের টানে স্বামী-সন্তান ও সাজানো সংসার ছেড়ে অন্যের সঙ্গে নতুন করে ঘর বাঁধলেন।
এলাকাবাসী জানায়, সুয়াপুর ইউপির সাবেক চকিদার মো. আনোয়ার হোসেন ১৮ বছর আগে সীমা আক্তার সুমি নামে এক পোশাক শ্রমিককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর ওই নারী পোশাক শ্রমিক ২০১১ সালে প্রথম ও ২০১৬ সালে দ্বিতীয়বার সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন।
এরপর তার স্ত্রীর সঙ্গে অন্য ব্যক্তির পরকীয়া প্রেমের প্রতিবাদ করতে গিয়ে চাকুরিচ্যুত হন আনোয়ার। পরে তিনি সুয়াপুর বাজারের ব্রিজ পয়েন্টে চায়ের দোকান খুলে ব্যবসা শুরু করেন।
এ সুযোগে আনোয়ারের স্ত্রী সোমা আক্তার সুমি সাটুরিয়া থানার নয়াডিঙ্গি এলাকার বিদেশফেরত রাশেদ নামে এক যুবকের সঙ্গে নতুন করে পরকীয়া সম্পর্কে জড়ান। ঘটনাটি জানাজানি হলে স্ত্রীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় আনোয়ারের।
এরই জের ধরে সীমা আক্তার সুমি সোমবার রাতে তিন সন্তান ফেলে রেখে পরকীয়া প্রেমিক রাশেদের হাত ধরে স্বামীর ঘর ছাড়েন।
এদিকে ভুক্তভোগী চকিদার মো. আনোয়ার হোসেন নিশ্চিত করেছেন, মঙ্গলবার সকালে লোকমারফত তাকে তালাকের নোটিশ পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি রাস্তা থেকে নিয়ে একজন পোশাক শ্রমিককে বিয়ে করি। এরপর তাকে সংরক্ষিত নারী আসনে ২ বার মেম্বার বানাই। অথচ বারবার সে বিভিন্নজনের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ায়। শাসন-বারণ করায় অবশেষে তিন সন্তান ফেলে রেখেই পরকীয়া প্রেমিক রাশেদের সঙ্গে ঘর ছাড়ল। আবার আমাকে তালাক নোটিশ দিয়েছে। এর চেয়ে দুঃখ ও লজ্জার আর কি হতে পারে।
জানতে চাইলে সংরক্ষিত নারী সদস্য সুমি বলেন, মানুষের স্বাধীনতা বলে কিছু একটা আছে, আমার তাও ছিল না। আমার পূর্বের স্বামী আমার স্বাধীনতাটুকুও কেড়ে নিয়েছিল। কথায় কথায় আমাকে নির্যাতন করত। নানা বিষয়ে আমাকে দোষারোপ করত। কাজেই এবার বিদেশ ফেরত রাশেদের সঙ্গে ইচ্ছা করেই পরকীয়ায় জড়াই এবং স্বামীর ঘর ছাড়তে বাধ্য হই। আমি তাকে তালাকের নোটিশ পৌঁছে দিয়েছি। এখন আমি সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন হতে পেরেছি।