অনলাইন ডেস্ক: ২০২০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে এক বান্ধবীর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হন ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের দিয়াড় বাঘইল গ্রামের শশী খাতুন (১৬)। এরপর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন তিনি। গত ৫ মাসেও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি।
শশী খাতুন ঈশ্বরদী মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী এবং দিয়াড় বাঘইল গ্রামের মো. ইসমাইল হোসেনের মেয়ে।
শশীর বাবা ইসমাইল হোসেন জানান, গত বছর ১৯ সেপ্টেম্বর একই এলাকার এক বান্ধবীর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় শশী। এরপর আর তার খোঁজ মেলেনি। শশীর নিখোঁজ হওয়ার দিন সন্ধ্যায় ঈশ্বরদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
এদিকে নিখোঁজ হওয়ার আগে শশী তার বাবা-মায়ের উদ্দেশে তিন পৃষ্ঠার একটি চিঠি লিখে যান। অনিম নামের একটি ছেলেকে সে ভালোবাসে বলে চিঠিতে উল্লেখ করে। অনিম বাঘইল গ্রামেরই সাইদুল বিশ্বাসের ছেলে। এ ঘটনায় অনিমকে আসামি করে ঈশ্বরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শশীর মা আছিয়া বেগম কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, অনিমের সঙ্গে আমার মেয়ে শশীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অনিম বাড়িতেই রয়েছে, এলাকায় ঘোরাঘুরি করছে। অথচ আমার মেয়েটিকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এর মধ্যে কী ষড়যন্ত্র বা রহস্য লুকিয়ে আছে তা আমরা বুঝতে পারছি না।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে খোঁজ করেও শশীর সন্ধান পাইনি। তবে এখনও হাল ছাড়িনি।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির বলেন, আমরা শশীকে উদ্ধারের জন্য সর্বাত্বক চেষ্টা করে যাচ্ছি।