মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ভাঙ্গুড়ায় প্রাণি সম্পদ বিভাগের জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপনী ঘটলো সেবা সপ্তাহের ভাঙ্গুড়ায় ৭ দিন ব্যাপি বই মেলা জমে উঠেছে উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর নির্দেশনা : ওবায়দুল কাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় দিন ১৮ এপ্রিল। হোসেন আলী ভারতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ান আজ ভাঙ্গুড়ায় দুগ্ধজাত ক্ষুদ্র শিল্পের সফল উদ্যোক্তা কলেজ ছাত্র অপু ঘোষ ভাঙ্গুড়ায় নতুন ইউএনও’র যোগদান- জ্ঞানের নিষ্প্রভ বাতিঘর কি আবার আলোকিত হবে ? বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা

দেশের সদ্য সরকারি কলেজ আত্তীকরণে ৪ বছর পার:হতাশা ও অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারী!

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২১
  • ১৬১৩ সময় দর্শন

শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ এবং নিয়ম-শৃংখলা বজায় রাখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সদ্য সরকারি কলেজ শিক্ষক-কর্মচারীর দ্রুত  আত্তীকরণের কোনো বিকল্প নেই !

 

বিশেষ প্রতিবেদক :দেশের সদ্য সরকারি কলেজগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের আত্তীকরণে বছরের পর বছর অতিবাহিত হলেও এখনো কেউ বলতে পারছেনা কবে শেষ হবে এই প্রক্রিয়া। ইতোমধ্যে কলেজগুলোর বেশির ভাগ সিনিয়র শিক্ষক অবসরে চলে গেছেন। অনেকে আবার অপেক্ষায় থেকে থেকে চির বিদায় নিয়েছেন। তাদের পরিবার-পরিজনেরাও অর্থাভাবে দিশেহারা। নন-এমপিও শিক্ষকরাও বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না দীর্ঘদিন। ফলে মানুষ গড়ার কারিগরদের জীবনে নেমে এসেছে হতাশা ও ভয়াবহ বিষন্নতা! এ অবস্থা চলতে থাকলে এসব কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থা অচিরেই মুখ থুবরে পড়বে বলে অভিজ্ঞমহল আশংকা করছেন।

এখন থেকে চার বছর আগে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কলেজ সরকারিকরণের জন্য সরকার চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে। সে অনুযায়ী সরাসরি কলেজে ডিজি প্রতিনিধিদের যাচাই-বাছাইয়ের পর ডিড অফ গিফটের মাধমে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সরকারের নামে রেজিষ্ট্রি করে দেওয়া হয়। অতপর গত ২০১৮ সালের আগষ্ট মাসে কলেজগুলো সরকারি ঘোষনা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন ও গেজেট প্রকাশ করে। তখন থেকেই কলেজগুলো সরকারি এবং চলছেও সরকারি নিয়মে। অথচ অদ্যাবধি শিক্ষক-কর্মচারীদের আত্তীকরণ হয়নি বরং আত্তীকরণের নামে চলছে দীর্ঘকালিন যাচাই-বাছাই ও নানামুখী কালক্ষেপন।

বেসরকারি কলেজ সরকারিকরণে বাধা প্রদানকারী শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ডিজি অফিসে পুনরায় যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্ব দেওয়ায় যেখানে সূঁচ চলে না সেখানে তারা পেরেক চালিয়েছেন। এতে মুল বিষয় পাশ কাটিয়ে তুচ্ছ বিষয়ে হাজারো মন্তব্য লিখে অহেতুক জটিলতা তৈরী করা হয়েছে বলে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে এখাধিকবার অভিযোগ উঠেছে। ফলে মন্ত্রণালয়ে কাজটি সম্পাদনে আরো জটিলতা তৈরী হয়েছে। এ কারণেই নাকি এগুচ্ছেনা আত্তীকরণ প্রক্রিয়া। ডিজি অফিসের চিহ্নিত ৫০টি সমস্যা নিরসনে বার বার কাগজপত্র যাচাই করতে হচ্ছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছায় ৩০৫টি সরকারি হওয়া কলেজের এহেন অবস্থা দেখে শিক্ষার্থী এবং অভিভাকরাও এখন ক্ষুব্দ। কারণ আত্তীকরণের দীর্ঘসুত্রীতায় উপজেলায় বসবাসকারী মানুষের সন্তানদের লেখাপড়া এখন বিপর্যায়ের মুখে পড়েছে।
একটি পরিসংখ্যানে জানা যায়,সদ্য সরকারি কলেজের তিন-চতুর্থাংশ সহকারী অধ্যাপক ইতোমধ্যে অবসরে চলে গেছেন। অনেক অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষরাও বিদায় হয়েছেন। সরকারিকরণের ফলে শূন্যপদে নতুন করে নিয়োগের সুযোগ নেই। আবার এসব কলেজে শুণ্য পদে শিক্ষা ক্যাডার থেকেও পদায়ন দেওয়া হচ্ছেনা।

এছাড়া এসব বেশির ভাগ কলেজে পুর্ব থেকে কিছু অনিয়ম রয়েছে। পুর্বের অনেক অধ্যক্ষ সরকারি এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মানার ক্ষেত্রেও অনিয়ম করেছেন। এখনো সেগুলো অব্যাহত রয়েছে। আবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সরকারিকরণের প্রজ্ঞাপন-গেজেট মানেন না। কারণ তারা এখন পর্যন্ত সদ্য সরকারিকৃত কলেজগুলোর নামের সাথে সরকারি কথাটি লেখেন না। যা চরম অন্যায়।
অনার্স বিভাগের শিক্ষকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না। সেমিনারের টাকা সেমিনারে না দিয়ে ব্যবহার করেন অধ্যক্ষ। সেমিনারের নামে ব্যাংক হিসাবও খুলতে দেননি অনেক অধ্যক্ষ। অথচ সরকারি কলেজের বিধিতেও পরিষ্কার ভাবে সেমিনারের টাকা অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানের যৌথ ¯^াক্ষরে পরিচালনার কথা বলা হয়েছে। অনেক অধ্যক্ষ এই নিয়ম মানছেন না। ইউএনওরাও বেতন বিলে ¯^াক্ষর ছাড়া বিধি অনুযায়ী কলেজ চলছে কিনা তা কখনো তারা দেখেন না। ফলে কলেজ চলছে হযবরল।
অনার্স শিক্ষার্থীদের বেতনের টাকা ওই শিক্ষকদের না দিয়ে ব্যয় করা হয়েছে অন্য খাতে। বেশির ভাগ কলেজে নন-এমপিও শিক্ষকরা কোনো না কোনো অনার্স বিভাগের শিক্ষক। অথচ অনার্স এর শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে আদায় করা অর্থ তাদের দেওয়া হয়নি। এতেও শিক্ষকদের মাঝে ব্যাপক অসন্তোষ রয়েছে।

তাই শিক্ষা ক্যাডারের অধ্যাপক বা সহযোগী অধ্যাপকগণ কে সদ্য সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পদে পদায়ন দিলে বেশ কিছু জটিলতা দূর হবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। তখন কলেজগুলো পুরাপুরি সরকারি ফ্রেম ওয়ার্কের আওতায় আসবে। এছাড়া এখন সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে ইউএনও’রা কলেজের আর্থিক বিষয়ে কর্তৃত্ব করছেন। তিনি এবং অধ্যক্ষের যৌথ স্বাক্ষরেই এখন সকলের বেতন বিল হয়। অধ্যক্ষ হিসাবে ক্যাডার সার্ভিসের লোক এলে এসব কলেজে তখন ইউএনও’র কর্তৃত্বের অবসান হবে। সেই সঙ্গে সরকারি নিয়মের ব্যত্যয়ও তারা করবেন না। কারণ তারা ভালো করেই জানেন যে, কোনো খরচই অডিটের আওতামুক্ত নয়।

তাই এসব কলেজের শিক্ষার পরিবেশ অক্ষুন্ন রাখতে এবং নিয়ম-শৃংখলা বজায় রাখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দ্রুত আত্তীকরণের কোনো বিকল্প নেই বলে অভিজ্ঞমহল মনে করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd