শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর নির্দেশনা : ওবায়দুল কাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় দিন ১৮ এপ্রিল। হোসেন আলী ভারতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ান আজ ভাঙ্গুড়ায় দুগ্ধজাত ক্ষুদ্র শিল্পের সফল উদ্যোক্তা কলেজ ছাত্র অপু ঘোষ ভাঙ্গুড়ায় নতুন ইউএনও’র যোগদান- জ্ঞানের নিষ্প্রভ বাতিঘর কি আবার আলোকিত হবে ? বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা ভাঙ্গুড়া প্রাণি সম্পদ অফিসের নানা জনপ্রিয় কর্মসুচী !

গত বছরের চেয়ে এবার প্রবৃদ্ধি ২.১০ শতাংশ

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২১
  • ৩৮১ সময় দর্শন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চলতি অর্থবছরের (২০২০-২১) প্রথম ছয় মাসে (জুলাই থেকে ডিসেম্বর) রাজস্ব আয়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৩ শতাংশ পিছিয়ে রয়েছে। যা টাকার অঙ্কে যা প্রায় ৩৩ হাজার কোটি। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রাজস্ব আদায়ে ২ দশমিক ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। আলোচ্য সময়ে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ৪১ হাজার ২২৫ কোটি ১১ লাখ টাকা। বিপরীতে আদায় হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৪৭১ কোটি ৭১ লাখ টাকা। চলমান করোনা মহামারীর কারণে রাজস্ব আদায়ে এ ঘাটতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনবিআর’র কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, বছরের শুরুতে এমনিতেই রাজস্ব আদায়ে ধীরগতি থাকে। এবার এর সঙ্গে যোগ হয়েছে করোনা পরিস্থিতি। দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা বিরাজ করছে। অন্যদিকে মহামারী সামাল দিতে খাদ্যসহ ভোগ্যপণ্য, সুরক্ষাপণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ভ্যাট-ট্যাক্সে ছাড় দেয়া হয়েছে। তবে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করায় সামনের দিনগুলোতে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির প্রত্যাশা করছেন তারা। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার এই সময়ে ব্যবসা বাণিজ্যের গতি টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। গত অর্থবছর যেখানে ঋণাত্বক প্রবৃদ্ধি দিয়ে শেষ হয়েছে, সেখানে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে পজিটিভ প্রবৃদ্ধি নিঃসন্দেহে অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।

 

এই ধারা অব্যাহত রাখতে ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে। অন্যদিকে সরকার নিজস্ব খেয়ালমতো বাজেট করায় রাজস্ব আদায়ে মোটা অংকের ঘাটতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, এ বছর রাজস্ব আহরণে বিশাল একটা ঘাটতি হবে এটা আমরা জানতাম। তার পরও সরকার নিজস্ব খেয়ালমতো বাজেট করে। সবাই বলেছিল এটা অর্জন সম্ভব নয়। এখন সেটাই প্রমাণ হচ্ছে। আমাদের হিসাবে অর্থবছর শেষে ৮০ থেকে ৯০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি হবে। রাজস্বে গতি আনতে বর্তমানে নতুন করে কিছু করার নেই। এ সময়ে অর্থনীতি খুব দুর্বল অবস্থায় রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। এনবিআরের রাজস্ব আহরণের সাময়িক বিবরণীর তথ্য বলছে, ছয় মাসে আমদানি ও রফতানি পর্যায়ে রাজস্ব খাতে ৪৬ হাজার ১৯৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৩৩ হাজার ৬০৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৭ দশমিক ২৫ শতাংশ কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ। স্থানীয় পর্যায়ে মূসক খাতে ৫২ হাজার ৮৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৪০ হাজার ৬২৪ কোটি ২২ লাখ টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৩ দশমিক ১২ শতাংশ রাজস্ব আদায় কম হয়েছে। এমনকি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায়ও এক্ষেত্রে রাজস্ব কমেছে ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ। আয়কর ও ভ্রমণ কর বাবদ ৪২ হাজার ১৮৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয়েছে ৩৪ হাজার ২৩৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ রাজস্ব কম আদায় হয়েছে। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এনবিআর চেয়ারম্যান রহমাতুল মুনিম সম্পতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পিছিয়ে আছি। তবে করোনাজনিত পরিস্থিতিতে অর্থনীতির যে অবস্থা, তাতে গত বছরের চেয়ে এগিয়ে আছি, সেটা আশাব্যঞ্জক।

 

আশা করছি ভবিষ্যতে প্রবৃদ্ধি আরো ভালো হবে। অন্যদিকে অর্থনীতির গতি কমে যাওয়ার কারণেই রাজস্ব আহরণ কমেছে বলে মনে করেন এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ। তিনি বলেন, করোনার মধ্যেই চলতি বাজেট দেয়া হলেও রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। বৈশ্বিক মহামারীকে বিবেচনায় নিয়ে একটা অন্তবরর্তীকালীন বাজেট দেয়ার কথা উঠলেই শেষ পর্যন্ত স্বাভাবিক বাজেটই দেয়া হয়। সরকার মনে করেছিল অল্প দিনেই করোনা চলে যাবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি, এখনো করোনা বিদ্যমান। করোনায় মানুষের আয় কমেছে, একেবারে যেটুকু না কিনলেই নয় সেটুকু কিনছে। ফলে অর্থনীতিতে কোনো গতি নেই। তাই রাজস্বও কম আদায় হচ্ছে। তিনি বলেন, অর্থনীতিতে গতি সঞ্চারের জন্য প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। কিন্তু সে প্রণোদনা শুধু বড় ব্যবসায়ীরাই পাচ্ছেন। ব্যাংকগুলো প্রান্তিক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রণোদনার ঋণ দিচ্ছে না। প্রণোদনার আওতায় সিএমএসএমই খাতে চলতি মূলধন দেয়ার জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও সেগুলো ঠিকমতো বিতরণ হচ্ছে না। ফলে অর্থনীতিতে গতি আসছে না বলে মনে করেন তিনি। উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরে সরকারের মোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ১৩ কোটি টাকা। এখান থেকে এনবিআরকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয় ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd