বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সর্বজনীন পেনশন স্কিম- ভাঙ্গুড়ায় ৪ মাসে একাউন্ট ওপেন হয়েছে মাত্র ১৪২ ভাঙ্গুড়ায় প্রাণি সম্পদ বিভাগের জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপনী ঘটলো সেবা সপ্তাহের ভাঙ্গুড়ায় ৭ দিন ব্যাপি বই মেলা জমে উঠেছে উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর নির্দেশনা : ওবায়দুল কাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় দিন ১৮ এপ্রিল। হোসেন আলী ভারতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ান আজ ভাঙ্গুড়ায় দুগ্ধজাত ক্ষুদ্র শিল্পের সফল উদ্যোক্তা কলেজ ছাত্র অপু ঘোষ ভাঙ্গুড়ায় নতুন ইউএনও’র যোগদান- জ্ঞানের নিষ্প্রভ বাতিঘর কি আবার আলোকিত হবে ? বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা

বিধর্মী হত্যা করে বিধর্মীদের দেশেই আশ্রয় নেয় জিহাদীরা : তসলিমা

অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২১
  • ৪২৮ সময় দর্শন

উদারতার সীমা থাকা উচিত। জিহাদি মেয়েদের সিরিয়ার  আইসিস ক্যাম্প থেকে জার্মানি আর ফিনল্যান্ড নিয়ে আসা হয়েছে। অসভ্যদের সভ্য জায়গায় স্থানান্তরিত। ভালো কাজ হতো যদি এদের মগজ থেকে জিহাদি ভাবনা দূর হতো। কিন্তু তা তো হয়নি। এই মেয়েরাও জিহাদি জঙ্গি। মনে আছে শামীমার কথা, ১৫ বছর বয়সে লণ্ডন থেকে চলে এসেছিল সিরিয়ায় আইসিসের খাতায় নাম লেখাতে, জিহাদি পুরুষদের যৌন সঙ্গী হতে, যেন যৌন জীবনে তৃপ্ত হয়ে পুরুষগুলো ঠাণ্ডা মাথায় জিহাদ করতে পারে, ধ্বংস করতে পারে প্রাচীন স্থাপত্য, বিধর্মীদের  মুণ্ডু কেটে নিতে পারে।

শামীমা বলেছিল সে এইসব বিধর্মী হত্যায় বিশ্বাস করে, এবং  রাস্তার ডাস্টবিনে বিধর্মীদের  কাটা মুণ্ডু দেখতে তার এতটুকু খারাপ লাগে না, বরং ভালো লাগে, কারণ আল্লাহ  বলেছেন  বিধর্মীদের হত্যা করতে।  সেই শামীমা আইসিসের পতনের পর লন্ডনে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে, তাকে ফেরানোর জন্য কত যে মানবাধিকার কর্মী লড়ছেন। আমি বুঝি না জিহাদি পুরুষ এবং নারীতে পার্থক্য কোথায়? কোনো জিহাদি নারীকে অস্ত্র হাতে খুন করতে দেখা যায়নি বলে? কিন্তু ওরা তো খুন করতে জানে, ওরা মগজ ধোলাই করতেও জানে। তাহলে ওদের ক্ষতিকর মনে করা হচ্ছে না কেন? এত জিহাদি সন্ত্রাসের  শিকার হয়েও ইউরোপের শিক্ষা হয়নি।

বেলজিয়ামই একমাত্র দেশ- জিহাদি মেয়েদের ঘরে ফেরাতে রাজি হয়নি। জার্মানি বোধহয় মানবাধিকারের ক্ষেত্রে  বিশ্বের এক নম্বর হওয়ার পণ করেছে। ১০ লক্ষ সিরিয়ার শরণার্থীকে তো আশ্রয় দিয়েছে জার্মানি। ভেবেছিল এরা বুঝি আইসিসের ভয়ে পালিয়েছে। একেবারেই না, আইসিসের অত্যাচারের বদলে তারা সিরিয়ার সরকারের অত্যাচারের কথা বলেছে। আইসিসকে বরং অধিকাংশই  সমর্থন করেছে। ইউরোপে জিহাদি হামলা শেষ হবে না মোটেও, চলতেই থাকবে। ইউরোপকে আর নিরাপদ জায়গা বলে মনে করার কারণও নেই কোনো।

বিধর্মী হত্যার  জিহাদে অংশ নিয়েও আবার বিধর্মীদের দেশে ফেরত আসা যায়। এটি মানুষকে আরও বেশি উৎসাহিত করবে জিহাদি হতে। কিছুই তো হারাবার নেই। শাস্তিও নেই কোনো। সবচেয়ে ভালো হতো এই জিহাদিগুলো যদি ক্যাম্পেই থেকে যেত।

-তসলিমা নাসরিনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd