বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ভাঙ্গুড়ায় প্রাণি সম্পদ বিভাগের জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপনী ঘটলো সেবা সপ্তাহের ভাঙ্গুড়ায় ৭ দিন ব্যাপি বই মেলা জমে উঠেছে উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর নির্দেশনা : ওবায়দুল কাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় দিন ১৮ এপ্রিল। হোসেন আলী ভারতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ান আজ ভাঙ্গুড়ায় দুগ্ধজাত ক্ষুদ্র শিল্পের সফল উদ্যোক্তা কলেজ ছাত্র অপু ঘোষ ভাঙ্গুড়ায় নতুন ইউএনও’র যোগদান- জ্ঞানের নিষ্প্রভ বাতিঘর কি আবার আলোকিত হবে ? বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা

রেলওয়ে ডিজিটালাইজেশনে সাশ্রয় হতে পারে শত কোটি

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২১
  • ৩৪৬ সময় দর্শন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এবং বাস-ট্রেনের টিকিট পাওয়া নিয়ে গ্রাহকের ভোগান্তির ইতি টানতেই সরকার ই-টিকেটিংয়ে নজর দিয়েছে। এবার রেলপথের টিকিট কাটার প্রক্রিয়া আরো সহজ এবং আধুনিক করে তুলতে কাজ করছে সরকার। বাংলাদেশ রেলওয়েকে আধুনিক করে তোলার এ প্রক্রিয়ায় সরকার কর্তৃক দরপত্র আহ্বান করা হয়। যাতে অংশ নিয়েছে দেশি-বিদেশি বেশ কিছু প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। সব ধরনের বাছাই পর্ব শেষে উৎরে যেতে পারলেই মিলবে রেলপথের টিকেটিং সিস্টেম আধুনিকায়ন করা নিয়ে সরকারের সঙ্গে কাজের চুক্তিপত্র। তবে দেশি-বিদেশি নামী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সবচেয়ে এগিয়ে আছে দেশিয় প্রতিষ্ঠান। এতে অংশ নিয়েছে দেশের অন্যতম প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘সহজ ডটকম’ ও ‘সিনেসিস আইটি’র যৌথ কনসোর্টিয়াম। সংশ্লিষ্টদের দাবি, দেশিয় যৌথ উদ্যোগ চুক্তিবদ্ধ হলে সরকারের প্রায় ১০০ কোটি টাকা সাশ্রয় সম্ভব।

 

সহজের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিহা মালেক কাদির বলেন, ‘সহজ বাংলাদেশে সর্বপ্রথম টিকিট সেবা নিয়েছে আসে এবং বর্তমানে বাস, লঞ্চ, সিনেমাসহ যেকোনো টিকেটিং সংক্রান্ত বিষয়ে সেবা প্রদান করছে। আমরা আশা করি এ প্রকল্পে কাজের সুযোগ পেলে আমাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে জনগণকে সর্বোত্তম সেবা প্রদান করতে পারব।’ তিনি জানান, টিকিট সংক্রান্ত সেবার ক্ষেত্রে সহজ বাংলাদেশে অগ্রগামী এক নাম। বাস, লঞ্চ, সিনেমাসহ যেকোনো টিকেটিং সংক্রান্ত বিষয়ে দীর্ঘ সময় ধরে সেবা প্রদান করে আসছে তারা। প্রতিবছর সহজের একটি সফটওয়্যার থেকেই গ্রাহকদের কয়েক কোটি টিকিট ইস্যু করে থাকে এবং এক শ’র বেশি পরিবহন কম্পানি যেমন: হানিফ, এনা ট্রান্সপোর্ট, নাবিল পরিবহন, এস আর ট্র্যাভেলের মতো কম্পানি এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে গ্রাহকদের টিকিট দিচ্ছে। পাশাপাশি সহজ ফুড, সহজ ট্রাকসহ রাইড শেয়ারিং সেবাও চালু রয়েছে তাদের। এছাড়া করোনাকালীন সময়ে করোনা ট্রেসার বিডি নামে একটি অ্যাপ নিয়ে সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে তারা।

 

এসব উদ্যোগ ডিজিটাইজেশন নিশ্চিত করেছে এবং টিকিট কেনা ও যাত্রাকে আরো সহজ করেছে বলে জানান তিনি। সিনেসিস আইটি ১৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহরাব আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে কাজ করে আসছি এবং আমরা আনন্দিত হব যদি এ প্রকল্পে আমরা কাজের সুযোগ পাই। আমরা আশা করি এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে তা জনগণের জন্য বিশেষ উপকারি হবে।’ তিনি জানান, সিনেসিস আইটি ই-গভর্নেন্স, টেলি-হেলথ এবং কল সেন্টার সমাধান পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সিনেসিস আইটি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, টেলিযোগাযোগ, অর্থ, স্থানীয় সরকার, শক্তি ও বিদ্যুৎ এবং বিপিও খাতকে প্রভাবিত করছে। এছাড়া সিবিভিএমপি, ই-টিআইএন, অনলাইন জিডি, একপে, বিপিও, স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩, কভিড-১৯ টেলি-হেলথ সেন্টার, মা টেলি-হেলথ সেন্টার, ভোক্তা বাতায়নসহ প্রায় ১৫০ এরও অধিক সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সকল ডিজিটাল সেবা নিয়ে কাজ করেছে সিনেসিস আইটি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ একটি সূত্র জানায়, বর্তমানে ব্যবহৃত সফটওয়্যারটির উন্নয়ন ও আপগ্রেড করার বিষয়টিতে জোর দিয়ে রেলওয়ের টিকিট ব্যবস্থার সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজেশনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে তারা কাজ হচ্ছে।

 

এর ফলে যাত্রীবাহী পরিষেবা উন্নত হবে এবং টিকেট ছাড়া ভ্রমণের সংখ্যা শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। রেলওয়ে টিকিট ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশনের জন্য পাঁচ বছরব্যাপী এ চুক্তিতে একাধিক বিদেশি কম্পানি অংশ নিয়েছে বলে জানা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ে কর্মকর্তা জানান, এ ধরনের প্রকল্প বাংলাদেশে আগেও হয়েছে তবে যেটা পরিলক্ষিত হয় তা হচ্ছে-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ শেষ করতে পারে না, কখনোবা অসম্পূর্ণ থেকে যায় ফলে শেষ হতে দেরি হয়। শুধু তাই নয়, তারা স্থানীয় ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনীয় চাহিদা সঠিকভাবে বুঝতে পারে না। এ ধরনের প্রকল্প সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়সারা কাজের উদাহরণ আছে। ফলে দেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করাই ভালো সমাধান। তিনি আরো উল্লেখ করেন, পাঁচ বছরের চুক্তি দেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে করা হলে এটা শুধু যে সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে কমাবে তা নয়, এ খাত থেকে সঞ্চয়ীকরণের মাধ্যমে এ অর্থ দিয়েই পরবর্তীতে রেলওয়ে অবকাঠামোকে আধুনিকীকরণ করা সম্ভব।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd