ফরিদপুর(পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় সিনিয়র উপজেলা মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে ৫০ জন দরিদ্র মৎস্যজীবীর মাঝে বিনামূলে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।
মঙ্গলবার সকাল ১০ ঘটিকায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে উক্ত সেলাই মেশিন বিতরণে উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য অফিসার মোঃ আয়নাল হক, উক্ত প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক মোঃ সেলিম আক্তার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহম্মদ আলী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম হোসেন গোলাপ, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল ইসলাম কুদ্দুস, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ নাসরিন পারভীন মুক্তি, পাবনা সদরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ কামরুল হাসান সরকার, ফরিদপুরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ আব্দুল মতিন, ফরিদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ সারোয়ার হোসেন, বিএলবাড়ি ইউনিয়র পরিষদের চেয়ারম্যান, সুফলভোগী দরিদ্র জেলে ও তাদের পরিবার।
প্রধান অতিথির বক্তবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান সরকার সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী নিয়ে সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে কাছ করে যাচেছ। সেই লক্ষ্যে দরিদ্র জেলে পরিবারের মাঝে সম্পূন্ন বিনামূল্যে শুকনো মৌসুমে যাতে জেলেরা তাদের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে বাস করতে পারে সেই লক্ষ্যে বিকল্প আয়বর্ধক কর্মসূচীর আওতায় ৫০ টি জেলে পরিবারের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হচ্ছে। শুধু সেলাই মেশিনই নয়, তার সাথে কাপড় কাটার স্ট্রান্ড, কাচি, সুতা ও কাপড় এর পুরো প্যাকেজই দেওয়া হচ্ছে। যাতে আপনারা আজ থেকেই কাছ শুরু করতে পারেন নিজেদের কোন টাকা পায়সা ছাড়াই।
তিনি আরো বলেন,বর্তমান সরকার গরীব দুঃখীর সরকার, বর্তমান সরকার সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সরকার, বর্তমান সরকার সোনার বাংলা গড়ার সরকার।
প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক বলেন, রাজশাহী বিভাগে মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দরিদ্র জেলেদের বিকল্প আয়বর্ধক কর্মসূচীর আওতায় এ কাযর্ক্রম পরিচালিত হচ্ছে। উক্ত প্রকল্পের আওতায় ফরিদপুর উপজেলায় নতুনভাবে পাঁচটি মৎস্য অভয়াশ্রম তৈরি করা হয়েছে যাতে চলনবিলে একসময় যাতে মিঠা পানির মাছের উৎস হিসাবে সারা বাংলাদেশ পরিচিত ছিল, সেটি যেন আবার প্রতিষ্টিত হয় এবং চলনবিলে আবার মিঠা পানির মাছের উৎস হিসাবে গড়ে ওঠে।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ আব্দুল মতিন বলেন ফরিদপুর উপজেলায় ৩৮২৪ জন মৎস্য অধিদপ্তরের নিবন্ধিত মৎস্যজীবি রয়েছে তাদের মধ্য থেকে ৫০ জন মৎস্যজীবির মাঝে এই সেলাই মেশিনের প্যাকেজ দেওয়া হচ্ছে।
সভাপতির বক্তেব্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহম্মদ আলী বলেন আপনারা যারা সেলাই মেশিন পাচ্ছেন তাদেরকে উপজেলা থেকে যে সেলাইমেশিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, সেই প্রশিক্ষণে আপনাদের আগ্রধীকার দেওয়া হবে। তবে আপনাদের যদি ইচ্ছা থাকে তবে আপনারা নিজের উদ্দেগ্যেই সেলাই মেশিনের কাছ শিখে নিয়ে পরিবারের আয়ের একটি বিকল্প আয়ের উৎস তৈরি করতে পাবরেন।