সংবাদ ডেস্ক: রাজধানীর কলাবাগানের ডলফিন গলি এলাকায় ধানমন্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলের এক শিক্ষার্থীকে পর অভিযোগ পাওয়া গেছে তার বয়ফ্রেন্ড ফারদিন ইফতেখার দিহান ও তিন সহপাঠীর বিরুদ্ধে।
ইমেইল বার্তায় দিহানের মা লিখেছেন, গত ৭ জানুয়ারি আমা’র বাসায় আমার ছেলে দিহান ও ওর বান্ধবী অরনা আমিন-এর ঘটনায় আমি হতবাক। একজন মা ও নারী হিসেবে এ ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া খুবই ক’ষ্ট’কর। এরপর গত দু’দিন আমি কোনো সংবাদমাধ্যমে কথা বলিনি। কারণ, আমি পুরো ঘটনাটিকে প্রথমে বোঝার চেষ্টা করেছি। দিহানের বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে , তা মা হিসেবে জানার চেষ্টা করেছি। কারণ, একজন নারী হিসেবে কোনো কি’শোরীর অসম্মান হোক সেটা কখনো চাই না।
হঠাৎ দুপুর ১টা ২৫ মিনিটের দিকে দিহান আমাকে ফোন দিয়ে কাঁদো কাঁদো স্বরে কথা বলে। জীবনে ওকে আমি কখনও কা’ন্না করতে দেখিনি। ফোন দিয়ে বলে, ‘ভাইয়া বাসায় বান্ধবীকে নিয়ে এসেছিলাম। অ’জ্ঞান হয়ে গেছে। হাসপাতা’লে নিয়ে যাচ্ছি। তুমি আসো, তুমি ছাড়া আমাকে কেউ বাঁ’চাতে পারবে না।
দিহানের ভাই আরও বলেন, আমি ভয় পেয়ে যাই। তখনই আমা’র কর্মস্থল থেকে বের হয়ে এসেছি। দিহান বারবার ফোন দিচ্ছে ‘ভাইয়া তুমি দ্রুত আসো।’ পরে দুপুর ১টা ৫০-এর দিকে আবার ফোন করে। তখন বলে, ‘ভাইয়া ও তো মা’রা গেছে’। তখন আমি বলি, ‘কে মা’রা গেল ঠিকঠাক মতো বলো’। দিহান বলে, ‘তুমি হাসপাতা’লে চলে আসো দ্রুত।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই তরুণী (১৭) ও লেভেলের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার নাম আনুশকাহ নূর আমিন।
নি’হত শিক্ষার্থীর বোন জামাই শরীফ বলেন, সে স’ম্পর্কে আমা’র চাচাতো শ্যালিকা। এ বছর মাস্টারমাইন্ড স্কুল থেকে ও-লেভেল পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটার দিকে কলাবাগানের ডলফিন গলিতে কোচিং করতে গেলে এ সময় তার এক বান্ধবী মিথ্যা প্রলো’ভন দেখিয়ে একটি বাসায় নিয়ে যায়। এ সময় ওই বাসাতে চারজন মিলে তাকে করে।
যখন প্রচন্ড র’ক্তপাত শুরু হয় তখন অ’ভিযু’ক্ত ফারদিন ইফতেখার দিহান তাকে ধানমন্ডির আনোয়ার খান ম’র্ডান হাসপাতা’লে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিকাল পাঁচটায় হাসপাতা’লে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। ম’রদেহ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লের ম’র্গে রয়েছে। এ বিষয়ে আম’রা মা’মলা করেছি।