জানা যায়, স্কুলে বছরের পর বছর ধরে অনুপস্থিত থাকায় ২০১৯ সালে বৈরাগী পুঞ্জি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনা খাতুন ঝুনু, সহকারী শিক্ষিকা সীমা নাথ, মো. আজাদ হাসান চৌধুরী, মোছা: হেনা আক্তারসহ ৪ শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলে অনুপস্থিতির অভিযোগে বিভাগীয় মামলা করে শিক্ষা অধিদফতর।
তাদের দাবী স্কুলে তেমন ছাত্র নেই এবং দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় যেতে ভয় করে এমন অজুহাতে তারা স্থানীয় এক দপ্তরীকে মাসোয়ারা দিয়ে ও শিক্ষা অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের ‘ম্যানেজ’ করে বছরের পর বছর ধরে এ অনিয়ম চালিয়ে আসছিলেন। স্থানীয়দের অভিযোগের পর তারা কেন স্কুলে নিয়মিত যান না সে বিষয়ে উপযুক্ত কারণ দর্শাতে বলা হয়। কিন্তু তারা সুনির্দিষ্ট কোন ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।
ঘটনার পরপরই তাদের বেতন ও সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা বন্ধের সুপারিশ করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। পরে অভিযোগের বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করা হয়। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আমেনা বেগমের বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়। এ মামলায় তার দুই বছরের বার্ষিক বেতনবৃদ্ধি স্থগিত করা হয়। এর মধ্যে বাকী শিক্ষকরা তদবির ও শীর্ষ পর্যায়ে লবিং করে আনিত অভিযোগ থেকে মুক্তি পান।
বৈরাগীপুঞ্জি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আমেনা খাতুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি তার জানা নেই বলে জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মাসুদ রানা বলেন, গত ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি ৪ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। এ প্রেক্ষিতে স্কুল ফাঁকির বিষয়টি বিগত ২১ জানুয়ারি তৎকালীন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মাসুদ রানাসহ তাদের প্রতিনিধি দল স্কুলে গিয়ে তালাবন্ধ দেখতে পান। এরপর তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু হয়। ইতিমধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে পর্যায়ক্রমে সকলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।