বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সর্বজনীন পেনশন স্কিম- ভাঙ্গুড়ায় ৪ মাসে একাউন্ট ওপেন হয়েছে মাত্র ১৪২ ভাঙ্গুড়ায় প্রাণি সম্পদ বিভাগের জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপনী ঘটলো সেবা সপ্তাহের ভাঙ্গুড়ায় ৭ দিন ব্যাপি বই মেলা জমে উঠেছে উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর নির্দেশনা : ওবায়দুল কাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় দিন ১৮ এপ্রিল। হোসেন আলী ভারতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ান আজ ভাঙ্গুড়ায় দুগ্ধজাত ক্ষুদ্র শিল্পের সফল উদ্যোক্তা কলেজ ছাত্র অপু ঘোষ ভাঙ্গুড়ায় নতুন ইউএনও’র যোগদান- জ্ঞানের নিষ্প্রভ বাতিঘর কি আবার আলোকিত হবে ? বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা

শিশু সামিউল হত্যা: পরকীয়া প্রেমিকসহ মায়ের মৃত্যুদণ্ড

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৩৮১ সময় দর্শন

সংবাদ ডেস্ক: শিশু খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফি (৫) হত্যা মামলায় সামিউলের মা আয়েশা হুমায়রা এশা ও এশার পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ রবিবার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে দুই আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মামলার দুই আসামি আয়েশা হুমায়রা এশা ও তাঁর পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কু জামিনে গিয়ে পলাতক থাকায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তাঁদের অনুপস্থিতিতে বিচারক বেলা ১২টা ৩৩ মিনিটে রায় পড়া শুরু করেন। বেলা ১২টা ৫৮ মিনিটে বিচারক দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।

এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর এ মামলার রায়ের জন্য ধার্য ছিল। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আদালত রায়ের দিন পিছিয়ে ২০ ডিসেম্বর ধার্য করেন। তার আগে গত ২৩ নভেম্বর আদালত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহান হক ২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর সামিউলের মা আয়েশা হুমায়রা এশা ও এশার পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলাটিতে ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। বর্তমানে মামলার দুই আসামি বাক্কু ও এশা পলাতক। এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন আসামি এশা জামিন নেন। এরপর তিনি আর আদালতে হাজির হননি। পরে আদালত পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১০ সালের ২৩ জুন রাজধানীর আদাবরের নবোদয় হাউজিং এলাকায় পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর সঙ্গে মায়ের অনৈতিক কোনো ঘটনা দেখে ফেলায় সামিউলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুম করতে ফ্রিজে ঢোকানো হয়। পরে লাশটি বস্তায় ঢুকিয়ে ২০১০ সালের ২৪ জুন রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। একইদিন ওই এলাকা থেকে সামিউলের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়।

ওই ঘটনায় সামিউলের পিতা কে এ আজম বাদী হয়ে ওইদিন আদাবর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় এশা এবং বাক্কু উভয়েই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আদালতে। এরপর জামিন নিয়ে আর আদালতে হাজির হননি দুই আসামি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd