সংবাদ ডেস্ক: ঢাকাই সিনেমায় নন্দিত চিত্রনায়িকা শাবনূর জীবনের আরেকটি বসন্ত পার করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) ৪২ বছরে পা দিয়েছেন তিনি। শাবনূরের প্রকৃত নাম কাজী শারমীন নাহিদ নূপুর। ১৯৭৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর যশোর জেলার শার্শা উপজেলার নাভারণে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
চলচ্চিত্রে শাবনূরের যাত্রা শুরু হয় গত শতকের নব্বইয়ের দশকে। ১৯৯৩ সালে প্রয়াত প্রখ্যাত পরিচালক এহতেশামের ‘চাঁদনী রাতে’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তাঁর। এই চলচ্চিত্রে শাবনূরের বিপরীতে অভিনয় করেন সাব্বির। আজকের এই বিশেষ দিনে শাবনূর নিজের ফেসবুকে একটি কবিতা লিখে প্রকাশ করেছেন।
‘জীবনের রং বড় বিচিত্র,
কখনো লাল কখনো নীল।
কখনো মুক্ত পাখির মতো।
কখনো আবার চুপসে যাওয়া ফুলের মতো।
হারিয়ে যায় কত চেনা মুখ।
থেকে যায় শুধু অনাবিল সুখ।’
ঢাকাই চলিচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। আজ তাঁর জন্মদিন। বিশেষ দিনে কবিতাটি নিজের ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় থেকে দূরে থাকা শাবনূর দেশ থেকেও দূরে আছেন। ২০১১ সাল থেকে নিয়মিত অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন তিনি।
১৯৭৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর যশোরে জন্মগ্রহণ করেন শাবনূর। প্রয়াত নির্মাতা এহতেশামের ‘চাঁদনী রাতে’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্রে আসেন। ১৯৯৩ সালের ১৫ অক্টোবর ছবিটি মুক্তি পায়।
১৯৯৪ সালে জহিরুল হক পরিচালিত ‘তুমি আমার’ ছবিটি দিয়ে অভিনয়ে নিয়মিত হন এই অভিনেত্রী। সালমান শাহর সঙ্গে জুটি হয়ে ১৪টি ছবিতে অভিনয় করেছেন শাবনূর। দর্শকরা দারুণভাবে গ্রহণ করে এই জুটির ছবিগুলো।
১৯৯৪ সালে পরিচালক শাহ আলম কিরণের ‘রঙিন সুজন সখী’-তে অভিনয়ের পর ১৯৯৫ সালে ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ১৯৯৬ সালে ‘স্বপ্নের পৃথিবী’ ও ‘তোমাকে চাই’, ১৯৯৭ সালে ‘আনন্দ অশ্রু’-তে অভিনয় করে তারকা খ্যাতি পান শাবনূর। পরে রিয়াজের সঙ্গে জুটি হয়ে ‘মন মানে না’ ও ‘তুমি শুধু তুমি’, ‘ভালোবাসি তোমাকে’ ও ‘বিয়ের ফুল’-এ অভিনয় করেন তিনি। ছবিগুলো দর্শকপ্রিয়তা পায়।
সালমান শাহ ও রিয়াজ ছাড়া ওমর সানী, ফেরদৌস, অমিত হাসান, আমিন খান ও বাপ্পারাজের সঙ্গে অভিনয় করে সফলতা পান শাবনূর।
শাবনূর ২০০৫ সালে ‘দুই নয়নের আলো’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করার জন্য পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এ বছরই স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয় শাবনূরের। একমাত্র সন্তান আইজান নিহানকে নিয়ে এখন ব্যস্ত তিনি।