আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনাভাইরাস মহামারি আকারে শুরু হওয়ার জেরে আগামীকাল বুধবার থেকে তৃতীয়বারের মতো লকডাউনে যাচ্ছে গ্রেটার লন্ডন সিটির ৩২ টি বারোসহ (প্রশাসনিক বিভাগ) আশেপাশের বেশ কিছু এলাকা।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে অ্যাসেক্স এবং হার্ডফোর্ডশায়ারের কিছু অংশসহ লন্ডনে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টা থেকে আরোপিত হবে করোনার সর্বোচ্চ বিধি-নিষেধ টিয়ার থ্রি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, লন্ডনে এক সপ্তাহে প্রতি এক লাখ মানুষে ২৪১ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ইংল্যান্ডের যে কোনো অঞ্চলের তুলনায় এই সংক্রমণ সর্বাধিক।
লন্ডনে টিয়ার থ্রি আরোপের মাধ্যমে নতুন করে ইংল্যান্ডের প্রায় ১০ মিলিয়ন মানুষ এই শীতে টিয়ার থ্রির কবলে পড়বে। এ নিয়ে ইংল্যান্ডের ৬০ শতাংশের বেশি অর্থাৎ প্রায় ৩৪ মিলিয়ন মানুষকে এই শীতে করোনার সর্বোচ্চ বিধি-নিষেধ টিয়ার থ্রির সঙ্গে বসবাস করতে হবে।
এদিকে ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে করোনার নতুন রূপে সন্ধান মিলেছে। নতুন এই ভাইরাসে দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত ৬০ টি এলাকায় ১ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন, হেলথ সেক্রেটারী মেট হ্যানকক।
বুধবার থেকেই কার্যকর হওয়া নতুন এই বিধিনিষেধে, পরিবারের সদস্য নয় এমন ৬ জন ঘরের ভিতরে, প্রাইভেট গার্ডেনে, আউটডোর ভেন্যুতে মিলিত হতে পারবে না। তবে বাইরের খোলা জায়গায় যেমন পার্কে, সমূদ্র সৈকতে মিলিত হতে পারবেন।
দোকানপাট, জিম, ব্যক্তিগত কেয়ার সার্ভিস, সেলুন খোলা থাকবে। তবে বার, পাব, ক্যাফে এবং রেস্টুরেন্ট সার্ভিস বন্ধ থাকবে। শুধু টেইকওয়ে সার্ভিস দেয়া যাবে। অভ্যন্তরীন ভেন্যু থিয়েটার বন্ধ থাকবে।
জনসাধারণকে টিয়ার থ্রি এলাকায় ভ্রমণে না আসার অনুরোধ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ইতিহাসে এবারই প্রথম ঘরবন্দী ক্রিসমাস ও নিউ ইয়ার পালন করবে লন্ডনের মানুষ।