বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সর্বজনীন পেনশন স্কিম- ভাঙ্গুড়ায় ৪ মাসে একাউন্ট ওপেন হয়েছে মাত্র ১৪২ ভাঙ্গুড়ায় প্রাণি সম্পদ বিভাগের জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপনী ঘটলো সেবা সপ্তাহের ভাঙ্গুড়ায় ৭ দিন ব্যাপি বই মেলা জমে উঠেছে উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর নির্দেশনা : ওবায়দুল কাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় দিন ১৮ এপ্রিল। হোসেন আলী ভারতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ান আজ ভাঙ্গুড়ায় দুগ্ধজাত ক্ষুদ্র শিল্পের সফল উদ্যোক্তা কলেজ ছাত্র অপু ঘোষ ভাঙ্গুড়ায় নতুন ইউএনও’র যোগদান- জ্ঞানের নিষ্প্রভ বাতিঘর কি আবার আলোকিত হবে ? বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা

অনিয়মিত ঘুমে হতে পারে যেসব সমস্যা

অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২০
  • ৪৫৯ সময় দর্শন

একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের দিনের তিন ভাগের দু’ভাগ কাজকর্মের জন্য, বাকি একভাগ ঘুমের জন্য বরাদ্দ। ওই একভাগের উপরে নির্ভর করছে বাকি দু’ভাগ। কারণ ঘুম মস্তিষ্ক ও শরীরকে পূর্ণ বিশ্রাম দেয়। দিনে ষোলো ঘণ্টা ঠিকমতো পরিশ্রম করার জন্য আট ঘণ্টার ঘুম যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, অনিদ্রার মতো কষ্টে যারা আছেন তারা বুঝতে পারবেন। অনিদ্রা মানে ঘুম না আসা, ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলে ইনসমনিয়া।

আমাদের ঘুম পায়, কারণ ক্রমাগত কাজ করার ফলে আমাদের শরীরের এটিপি অ্যাডিনোসিন ট্রাইফসফেট অর্থাৎ শক্তি খরচ হয়। শরীর এই ঘাটতি পূরণ করার জন্য একটু সময় নেয়। এই সময়টাই হল ঘুমের সময়। তখনই শরীর এটিপি বা শক্তির পুনরুৎপাদন করে নেয়। প্রকৃতি আমাদের মস্তিষ্ক থেকে একটি রাসায়নিকের ক্ষরণ ঘটায়, যার নাম মেলাটোনিন। এই মেলাটোনিন শরীরে ঘুমের সাইকেল বা চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে। এই মেলাটোনিন সব সময়ে তৈরি হয় ঠিকই, কিন্তু আলোর উপস্থিতিতে নষ্ট হয়ে যায়। তাই উজ্জ্বল আলোয় ঘুম পায় না। এখন অনেকেই দীর্ঘক্ষণ ল্যাপটপ বা মোবাইলে কাজ করেন, চোখের সামনে উজ্জ্বল আলো তাদের মেলাটোনিন নষ্ট করে ঘুমের সমস্যা তৈরি করে। ফলে অল্টার্ড স্লিপ হ্যাবিট দেখা যায়। ভোর চারটে অবধি জেগে দুপুর এগারটা পর্যন্ত ঘুমালেন এতে করে ঘুমের সাইকেল উল্টে যায়।

রাতে ঘুম না হওয়া নানা রোগের প্রধান লক্ষণ। তবে এর সঙ্গে সঙ্গে যে সব উপসর্গ দেখা দিতে পারে, সেগুলো হল, দিনের বেলা ঘুম ঘুম ভাব কিন্তু ঘুম না আসা, সর্বক্ষণ গভীর ক্লান্তি, খারাপ মেজাজ, কাজে মন না বসা, ইত্যাদি। এ সব উপসর্গ দীর্ঘস্থায়ীও হতে পারে। তবে দৈনিক কতটা ঘুম প্রয়োজন, তার মাপ কিন্তু বয়স অনুযায়ী এক রকম নয়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এই মেলাটোনিন সংশ্লেষ ক্রমশ কমে আসতে থাকে। জন্মের পর এক মাস পর্যন্ত যেমন বাচ্চারা তেইশ ঘণ্টা পর্যন্ত ঘুমোয়, কারণ তখন মেলাটোনিন সংশ্লেষ সবচেয়ে বেশি। একজন স্কুলে পড়া বাচ্চার (ক্লাস এইট পর্যন্ত) দিনে ঘুম দরকার অন্তত ন’ঘণ্টা। বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে সেটা গিয়ে দাঁড়ায় পাঁচ ঘণ্টায়, কারণ মেলাটোনিন সংশ্লেষ তখন সবচেয়ে কম। যার যতটা ঘুম প্রয়োজন, তার কোটা পূরণ না হওয়াই অনিদ্রা রোগের লক্ষণ।

ইনসমনিয়া দু’ধরনের। কখনও এটি হয় অ্যাকিউট বা সাময়িক। কেউ হয়তো রাস্তায় কোনও খারাপ দৃশ্য দেখেছেন বা কারও হয়তো সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছে, সেই কারণ রাতে ঘুম এল না। এ ক্ষেত্রে ঘটনাটি মস্তিষ্ক নিজেই ধীরে ধীরে ভুলে যাবে, তাতেই অনিদ্রা এক সময়ে কেটে যাবে। কিন্তু কারও যদি ক্রনিক বা দীর্ঘস্থায়ী অনিদ্রা রোগ থাকে, তা হলে তার চিকিৎসা প্রয়োজন। অ্যাংজাইটি না ডিপ্রেশন, নাকি অন্য কোনও কারণ কী কারণে তার ঘুম আসছে না, সেই কারণটিকে চিহ্নিত করে চিকিৎসা করতে পারলেই অনিদ্রার সমাধান সম্ভব হয়।

প্রথমেই মনে রাখতে হবে, নিজে নিজে বা অন্য কারও কথা শুনে ঘুমের ওষুধ কিনে খাবেন না। ডাক্তার দেখিয়ে নির্দিষ্ট মাত্রার ঘুমের ওষুধই খাওয়া উচিত। কী ভাবে সে ওষুধ ধীরে ধীরে বন্ধ হবে, সে ব্যাপারেও চিকিৎসকের মতামতই শেষ কথা।  স্থায়ী অনিদ্রা রোগের বেশিরভাগ কারণই সেকেন্ডারি বা গৌণ। প্রাইমারি কারণেও স্থায়ী অনিদ্রা হতে পারে, যেমন কারও ডিভোর্স হয়েছে, কিংবা বাড়িতে কোনও মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটেছে— এর প্রভাব গিয়ে সরাসরি পড়েছে ঘুমের উপর। গৌণ কারণ হচ্ছে, অন্য কোনও রোগ, যেমন হাঁপানির কষ্ট, ক্যানসারের যন্ত্রণা ইত্যাদি। এ ক্ষেত্রে সেই রোগের চিকিৎসা করতে হবে।

স্বাভাবিক ঘুমের অভ্যেস ফিরে পেতে অকারণ দুশ্চিন্তা এবং যে কোনও ধরনের নেশা থেকে দূরে থাকুন। সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপনের মধ্যেই রয়েছে পর্যাপ্ত ঘুমের চাবিকাঠি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd