ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধি :
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় কলেজ ছাত্রী টানা দু’দিন শ্বশুরবাড়ি অবস্থানের পর অবশেষে পুত্রবধুর স্বীকৃতি পেল মেহরিন সুলতানা। বুধবার রাতে থানায় সালিশি বৈঠকের পর স্বামী খাইরুল ও তার শ্বশুর আকবর আলী পুত্রবধু মেহরিনকে স্বসম্মানে বাড়ি নিয়ে গেছে। ফলে এনিয়ে কয়েকদিনের নাটকীয়তার অবসান ঘটলো।
সম্প্রতি মেহরিন ও খাইরুল কোর্ট ম্যারেজ করে কিন্তু স্বামী খাইরুল তাকে নিজ বাড়িতে না নেওয়ায় মেহরিন নিজেকে পুত্রবধু স্বীকৃতির দাবিতে গত মঙ্গলবার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেয়। এমনকি স্বীকৃতি না পেলে সে আত্মহত্যারও হুমকি দেয়। এরপরও তাকে মেনে না নেওয়ায় মেহরিন আজ বুধবার সন্ধ্যায় ভাঙ্গুড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি অভিযোগ দায়ের করে। ফলে রাতেই তার স্বামী খাইরুল ইসলাম ও শ্বশুর আকবর আলীকে পুলিশ আটক করে।
বিষয়টি শাস্তিযোগ্য অপরাধ বুঝতে পেরে আকবর আলী পুত্রবধুকে মেনে নিতে রাজি হন। পরে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মো: বাকি বিল্লাহ,পৌরসভার মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আজিদা পারভিন পাখি প্রমুখ ব্যক্তিবর্গের মধ্যস্থতায় সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের জন্য অনুরোধ করেন। উক্ত জনপ্রতিনিধিরাও তার ডাকে এগিয়ে আসেন এবং পক্ষদ্বয়ের মধ্যে সৃষ্ট ভুলবোঝাবুঝি দুর করেন। ফলে দু’দিনের নাটকয়িতার যবনিকাপাত ঘটে।
সেই সাথে নবদম্পতির সুখ-সমৃদ্ধির কথা ভেবে পুলিশও জনপ্রতিনিধিদের রায়কে সম্মান প্রদর্শন করে আটক ব্যক্তিদের ছেড়ে দিয়েছে বলে জানাগেছে।
বুধবার রাত সোয়া দশটায় মেহরিন সুলতানা ডিডিএননিউজ কে ফোন করে জানায়,পুলিশি হস্তক্ষেপের ফলে স্বামী খাইরুল ও শ্বশুর তাদের জিদ থেকে সরে আসেন এবং তাকে মেনে নিয়েছেন।