বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সর্বজনীন পেনশন স্কিম- ভাঙ্গুড়ায় ৪ মাসে একাউন্ট ওপেন হয়েছে মাত্র ১৪২ ভাঙ্গুড়ায় প্রাণি সম্পদ বিভাগের জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপনী ঘটলো সেবা সপ্তাহের ভাঙ্গুড়ায় ৭ দিন ব্যাপি বই মেলা জমে উঠেছে উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর নির্দেশনা : ওবায়দুল কাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় দিন ১৮ এপ্রিল। হোসেন আলী ভারতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ান আজ ভাঙ্গুড়ায় দুগ্ধজাত ক্ষুদ্র শিল্পের সফল উদ্যোক্তা কলেজ ছাত্র অপু ঘোষ ভাঙ্গুড়ায় নতুন ইউএনও’র যোগদান- জ্ঞানের নিষ্প্রভ বাতিঘর কি আবার আলোকিত হবে ? বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা

আটঘরিয়ায় বিনাচাষে রসুন আবাদে ব্যস্ত কৃষাণ কৃষানীরা

পাবনা প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২০
  • ৫০৭ সময় দর্শন

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় কৃষকেরা বিনাচাষে রসুন আবাদে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কৃষাণ কৃষানীরা। একদিকে যেমন ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে অন্য দিকে মাঠজুড়ে চলছে রসুনের বীজ রোপনে।

এর মধ্যে অধিকাংশই নিচু জমিতে রসুনের বীজ বপন করা শুরু হয়েছে। তবে আটঘরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ রসুন আবাদ প্রধান অর্থকারি ফসল এখন রসুন হিসেবে ব্যাপক আবাদ শুরু করেছে। একটি পৌরসভা ও পাঁটি ইউনিয়নের মাঠজুড়ে চলছে কৃষকের ব্যাপক প্রস্ততি। ইতোমধ্যে রসুন সরিষা খেসারী আলূ ভুট্রাসহ বিভিন্ন রবিশস্য রোপন কাজ শুরু করেছে কৃষকেরা।

উপজেলার একদন্ত ও লক্ষীপুর ইউনিয়নের কৃষক জালাল হোসেন ও আব্দুল কাদের সহ অনেকেই জানান, মাঠ থেকে পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে তারা জমিতে রবিশস্য আবাদ শুরু করেছেন। রবি ফসল উৎপাদনে খরচ কম কিন্তু লাভ বেশি হওয়ায় তারা ধানের চেয়ে এই চিকন আবাদে বেশি আগ্রহ দেখা দিয়েছে। একদন্ত ইউনিয়নের কৃষক জালাল উদ্দিন জানান, গত বছর ভালো ফলন ভাল হয়েছে। দামও বেশি পেয়েছি। এবছর নিজ জমিতে চাষ করায় বিঘা প্রতি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খচর হচ্ছে। তবে উৎপাদিত রসুনের দাম ভাল পেয়ে আগামিতে আরও বেশি রসুনের চাষ করবেন বলে তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন।

কুষ্টিয়াপাড়া এলাকার কৃষক আব্দুল মান্নান জানান, পানি নেমে যাবার পর আমি জমি চাষ না কওে নরম কাঁদামাটিতে সার ছিটিয়ে রসুন এর কোয়া অর্ধেক মাটির উপর পুতে দেওয়া হয়। এরপর খড় কচুরীপানা দিয়ে পরো জমি ঢেকে দেই। গত বছর রসুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এবছর আমি ৪ বিঘা জমিতে রসুন আবাদ করছি। বিঘা প্রতি ৩০হাজার টাকা সবমিলিয়ে খরচ হয়। গত বছরের ন্যায় এবারও ভালো ফলন পেলে আগামীতে আরও বেশি পরিমান রসুন আবাদ করব বলে এই কৃষক জানান।

আটঘরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার রোখশানা কামরুনাহার বলেন, একদন্ত ও লক্ষীপুর ইউনিয়নে বেশি বিনাচাষে রসুন আবাদ হচ্ছে। এই উপজেলা গত ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে বিনাচাষে রসুন আবাদ হয়েছে। তবে আরও বেশি রসুন আবাদ হবে বলে মনে করছেন এই কর্মকতা। তিনি বারও বলেন, কৃষকরা বীজ ক্রয় করতে যেন কোনো মতে প্রতারিত না হয় সেক্ষেত্রে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন ছাষাবাদে অল্প খরছে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকদের লাভবান হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd