পাবনার ভাঙ্গুড়ায় দিন দিন ইন্টারনেট ফাইটিং পাবজি ও ফ্রি ফায়ার গেমসে ঝুঁকছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অলস সময়ে এ গেমসে জড়িয়ে পড়ছে তারা। জানা গেছে, উপজেলার উঠতি বয়সের শিক্ষার্থীসহ যুব সমাজ দিন দিন পাবজি ও ফ্রি ফায়ার নামক গেমের নেশায় জড়িয়ে পড়ছে। যে সময় তাদের ব্যস্ত থাকার কথা নিয়মিত পড়ালেখা ও খেলার মাঠে ক্রীড়া চর্চার মধ্যে, সেখানে তারা ডিজিটাল তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে জড়িয়ে পড়েছে পাবজি ও ফ্রি ফায়ারের মত মরণ নেশায়।
উঠতি বয়সের যুবকরা প্রতিনিয়ত অ্যান্ড্রয়েড ফোন ও কম্পিউটার দিয়ে এসব গেইমে আসক্ত হচ্ছেন। এসব বিদেশী গেম থেকে শিক্ষার্থী বা তরুণ প্রজন্মকে ফিরিয়ে আনতে না পারলে বড় ধরণের ক্ষতির আশঙ্কা দেখছেন সচেতন মহল। শুধু খেলায় ক্ষান্ত হলে সমস্যা ছিলনা কিন্তু ইউসি ক্রয় ও ডায়মন্ড টপ আপের নামে বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে পাবজি ও ফ্রি ফায়ার নামক গেমস।
একজন অসচ্ছল পরিবারের সন্তান ডায়মন্ড ও ইউসি কেনার টাকা যোগান দিতে জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অপকর্মে। মাদক বিক্রয় ও কিছু টাকার বিনিময়ে মাদক সেবিদের কাছে মাদক পৌছে দেওয়া তার মধ্যে অন্যতম মাধ্যম। কোমল মতি শিশুদের ১০/২০ টাকা জমিয়ে যেখানে ক্রিকেট বল ফুটবল কেনার কথা, সেখানে তারা টাকা জমিয়ে রাখছে ইউসি ও ডায়মন্ড কেনার জন্য।
পাবজি ও ফ্রি ফায়ার গেমসে অনুরাগীরা জানান, প্রথম তাদের কাছে পাবজি ও ফ্রি ফায়ার গেমস ভালো লাগত না। কিছুদিন বন্ধুদের দেখাদেখি খেলতে গিয়ে এখন তারা আসক্ত হয়ে গেছেন। এখন গেমস না খেলে তাদের অস্বস্তিকর মনে হয়। একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী আতিক হাসান রাজু ও দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী সুজন আলী জানায়, তারা পূর্বে গেমস সম্পর্কে কিছু জানত না। এখন নিয়মিত পাবজি ও ফ্রি ফায়ার গেমস খেলেন। মাঝে মধ্যে গেমস খেলতে না পারলে মুঠোফোন ভেঙে ফেলার ইচ্ছাও হয়। তারা আরো বলেন, পাবজি ও ফ্রি ফায়ার গেমস যে একবার খেলবে সে আর ছাড়তে পারবে না বলে দাবি করেন তারা। পাবজি ও ফ্রি ফায়ার নামক গেমসকে মাদকদ্রব্যর নেশার চেয়ে ভয়ঙ্কর বলে উল্লেখ করছেন ভাঙ্গুড়ার সচেতন মহল।
গ্রাম-গঞ্জে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রুপ গেমস মহামারী আকার ধারণ করেছে। শিক্ষার্থীরা অনেকে পড়ার টেবিল ছেড়ে খেলছে মোবাইল গেমস। এতে একদিকে তাদের ভবিষ্যৎ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, অন্যদিকে অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। তাই কিশোর-কিশোরীদের মা-বাবাসহ সমাজের সবারই খেয়াল রাখতে হবে, যেন তারা মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহার না করে। প্রতিটি মা-বাবা তাদের সন্তানকে পাবজি ও ফ্রি ফায়ার নামক গেমস থেকে দুরে রাখার জোর দাবি জানিয়েছেন উপজেলার সচেতন মহল ।