ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা অভাবে একটি শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শিশুটির নাম হাসান,বয়স প্রায় এক বছর। ওর বাবা রুহুল আমীন উপজেলার পাথরঘাটা গ্রামের বাসিন্দা।
শিশুর বাবা রুহুল আমীন জানান, রবিবার সকালে অসুস্থ অবস্থায় ছেলেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত মেডিক্যাল অফিসাররের অনুপস্থিতিতে উপসহকারী কম্যুনিটি মেডিকেল অফিসার(স্যাকমো) মাসুদ রানা শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য আগে বহি: র্বিভাগ থেকে টিকিট আনতে বলেন। বহি:বিভাগের লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটতে দীর্ঘক্ষণ সময় নষ্ট হওয়ায় শিশুটির অবস্থা আরো খারাপ হয়ে পড়ে। তখনও কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসারকে না পাওয়ায় বাইরে প্রাইভেট চেম্বারে একজন স্যাকমো ডাক্তারকে দেখানো হয়। ওই চিকিৎসক রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে দ্রæত অক্সিজেন দেওয়ার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবার ফেরত পাঠান। তখনও মেডিক্যাল অফিসার না থাকায় শিশুটিকে ভর্তি না করে অক্সিজেন দিতে বিলম্ব করেন ওই উপসহকারী মেডিকেল অফিসার। এভাবে দু’ঘণ্টা হাসপাতালে ঘোরাঘুরির পর শিশুটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যায়। পরে ডা: সওগাত এহসান সাম্য হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে এসে শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপসহকারী মেডিকেল অফিসার মাসুদ রানা বলেন,শিশুটির অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, তিনি চিকিৎসা দিতে সাহস পাননি।
কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার সওগাত এহসান সাম্য বলেন,আমি দুপুরে হাসপাতালের অন্ত:বিভাগের ওয়ার্ড রাউন্ডে ছিলাম। খবর পেয়েই জরুরি বিভাগে যাই কিন্তু তার আগেই শিশুটি মারা যায় বলে তিনি দাবি করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম বলেন,প্রথমে শিশুটিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয় শুনেছি কিন্তু রুবেল নামের এক স্যাকমো চিকিৎসকের পরামর্শে শিশুকে প্রথমে বাইরের কোনো ডাক্তারকে দেখানো হয়। পরে ক্রিটিক্যাল অবস্থায় রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। তিনি আরো বলেন,গতকাল থেকে বাচ্চাটির প্র¯্রাব বন্ধ ছিল জরুরি বিভাগে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের কাছে পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয়নি। ঘটনার সময় জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা: সাম্য ওয়ার্ডে ছিলেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন,এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি।