মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ভাঙ্গুড়ায় প্রাণি সম্পদ বিভাগের জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপনী ঘটলো সেবা সপ্তাহের ভাঙ্গুড়ায় ৭ দিন ব্যাপি বই মেলা জমে উঠেছে উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর নির্দেশনা : ওবায়দুল কাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় দিন ১৮ এপ্রিল। হোসেন আলী ভারতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ান আজ ভাঙ্গুড়ায় দুগ্ধজাত ক্ষুদ্র শিল্পের সফল উদ্যোক্তা কলেজ ছাত্র অপু ঘোষ ভাঙ্গুড়ায় নতুন ইউএনও’র যোগদান- জ্ঞানের নিষ্প্রভ বাতিঘর কি আবার আলোকিত হবে ? বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা

কবি নাসিমা খাতুনের কবিতা গুচ্ছ

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২০
  • ১০৭১ সময় দর্শন

লেখিকা পরিচিতি :

নাম- মোছা: নাছিমা খাতুন

পিতার নাম- মঈন উদ্দিন সরকার

মাতার নাম- জোবায়দা খাতুন

গ্রাম – টেংঙ্গরজানি

থানা- চাটমোহর

জেলা – পাবনা

লেখাপড়া – পঞ্চম শ্রেণী পাস।

পুর্বপুরুষ জমিদার ছিলেন।

 

লেখিকার কথা –

আমার এক ভাই এক বোন, ভাই এক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। ভাই মারা যাওয়ার ছয় মাস পর মা মারা যায়। তার ছয় মাস পর আমার বাবাও মারা যায়। থখন আমি একদম একা হয়ে যাই। আমার জন্ম সাল ১০ ই ফেব্রæয়ারী ১৯৮৫। বাবা মা ভাই বোন যখন মারা যায় তখন আমার বয়স মাত্র দুই বছর। আমার সৎ ভাই বোন ছিল। তারা ছিল তিন ভাই ছয় বোন। তারা আমাকে লারন পালন করেছে। কিন্তু আমার লেখা পড়ার সুযোগ ছিলনা। অনেক ষ্টে বড় হয়েছি। তারপর যখন আমার বয়স ১৭ বছর তখন আমাকে পড়াশুনা না করিয়ে বিয়ে দিয়ে দেয়। বিয়ে হয়েছে ০৬ ই জুন ২০০২ সাল। বিয়ের এক বছর পর আমার প্রথম সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। আমার প্রথম সন্তান মেয়ে তার নাম রুকাইয়া, তার সাত বছর পর আমার আরেক মেয়ে জন্ম গ্রহণ করে তার নাম রাখা হয় রেশমা। তার ১০ বছর পর একটা ছেলে জন্ম গ্রহণ করে তার ১৮ মাস পর আমার আরেকটি ছেলে সন্তান জন্ম গ্রহন করে। আমার দুই মেয়ে দুই ছেলে। ১৬ ই ডিসেম্বর ২০১৯ সাল থেকে আমার লেখালেখি শুরু হয়। আমার প্রথম কবিতার নাম “যুদ্ধের বিজয়”। এছাড়া আরো অনেক কবিতা আছে “মমতাময়ী মা”, “বসন্তের বাহার” ইত্যাদী ২০২০ সালে যখন করোনা ভাইরাস, কোভিড ১৯ বের হয় তখন আমি করোনা দিয়ে একটি কবিতা লেখি কবিতার নাম করোনায় ভয়। আমি বর্তমানে ভাঙ্গুড়া গার্লস স্কুলে ভর্তি হয়ে পড়াশুনা শুরু করেছি।

মুক্তি কামনা / মুক্তি চাই –

বাবা তুমি দুই হাত, জোর হাতে চাইছি আমি মাফ।
আমায় মাফ করে দাও।
খারাপ বন্ধুদের সঙ্গে মিশবো না আমি !
ঘরে বন্দি করে রেখোনা আমায় আর।
বাইরের দরজা খুলে দাও আমায় !
দেখবো খোলা আকাশের নিচে শুভ্র আলো !
প্রাণ ভরে নেব নিশ্বাস ।
পায়ে হেটে দেখবো সবুজ মাঠ।
নদীতে দেখবো ভরা জল খোলা আকাশের নিচে।
পাখির শুনবো কিচির মিচির গান।
মনে রইবে না কোন দুঃখ আর !
বাবা তুমি কথা রাখো আমার
প্রান ভরে শ্বাস নিতে
আমাকে মুক্তি দাও।।

 

যুদ্ধের বিজয় –

মা পাকিস্তান আর বাংলাদেশ লেগেছে যুদ্ধ।
মাগো তোমার যুবক সন্তান আমি
পাকিস্তানীদের ভয়ে তুমি,
রেখেছো আমায় আচঁলের নিচে লুকিয়ে।
মাগো আমি যুদ্ধে যাবো।
শক্ত হয়ে অস্ত্র তুলে দাও মাগো আমার হাতে।
মাগো আমি যুদ্ধে যাব তোমার দোয়া নিয়ে।
যুদ্ধ করে যেন বিজয়ী হতে পারি।
তুমি দোয়া করো মা।
রক্ত মাখা অস্ত্র নিয়ে, ফিরবো মা গো তোমারই বুকে।
সবুজের বুকে লাল পতাকা থাকবেই মাগো
তুমি প্রাণ ভরে চেয়ে দেখো।।

 

ছোট্ট মনির ডাক –

ও আমার জন্ম দাতা বাবা গর্ভধারিনী মা।
কোথায় তোমরা ঘুমিয়ে আছো মাটির বিছানায়
মাগো তোমার ছোট্টমনি অবুঝ মনে,
আমি ডাকি বারে বারে।
তুমি কেন আমার ডাকে সারা দাও না।
ওমা তোমায় না ডাকলে আমার,
প্রাণ জুরায় না।
তোমার এই ছোট্ট মনি কোথায় যাবে বলনা তোমরা
হে খোদা এই ছোট্ট মনির দোয়ায়
আমার মা বাবাকে ভালো রেখ।।

 

ছোট্ট বেলার খেলার সাথী –

ওরে তুই আমার ছোট্ট বেলার খেলার সাথীরে।
কোথায় চলে গেলি তুই ?
হারিয়ে গেলি রে।
কতো খেলতাম পুতুল খেলা তোর সঙ্গে আমি।
সবই ভ‚লে গেলি তুই পাষানী।
এ কেমন করলি খেলা ?
কেন এতো করলি অবহেলা ?
তোর বাবা শহরের চকারি করে রে।
আমি গ্রামের কৃষকের মাইয়া বুঝিরে।
তাই কি করছিস হেলা।।

 

একটি গ্রাম –

ঐ দেখা যায় একটি গ্রাম।
ঐ গ্রামে আছে একটি অনেক বড় পুকুর।
পুকুরের পাড়ে আছে ছোট্ট একটি বাড়ী।
ঐ বাড়ীর ভাই পুকুরের ধরে মাছ।
গ্রামের লোকে বলে আরে ও ভাই।
কী মাছ ধরেছেন ভাই ?
আমাদেরকে দিবেন।
অনেক কষ্ট করে ধরেছি মাছ দেওয়া হবেনা ভাই !
চিংড়ি, পুটি, মওশি মাছ মায়ের হাতে দেব তুলে।
মা চিকন ঝালে পাতলা ঝোলে করবে রান্না।
খেতে বড় মজা লাগবে।

 

পেটের খুদার জ্বালা –

ভাস্তে ডাকে চাচ্চুকে।
চাচ্চু গো চাচ্চু কোথায় যাচ্ছো ?
চাচ্চু বড় পেটের খুধায় যাচ্ছি আমি নদীতে নাও নিয়ে।
ফেলবো জাল নদীতে, মাছ ধরবো ঝাকা ভরে।
মাছ করবো হাটে বিক্রি
টাকা নিয়ে কিনবো চাউল
দেব বউয়ের হাতে।
বউ করবে রান্না হাঁড়িতে
খাবো আমি পেট ভরে।
তুমিও খাবে আমার সাথে।

 

 

শিশুর অভিলাষ

আমি বাবা মায়ের একটি মেয়ে।
যখন খুবই ছোট একটি শিশু ছিলাম,
তখন আমার বাবা-মা আমায় ছেড়ে
পৃথিবী থেকে চলে গেলেন।
যখন আমি বুঝতে শিখলাম
লেখা পড়া করে আমি একদিন বড় হবো।
মায়ের পেটের ভাই-বোন কেউ আমার নেই।
আত্মীয় স্বজন পাশে দঁড়াবার কেউ আমার নেই।
লেখা পড়া না করে কাজে হয়েছি বড়।
বাবার বাড়ী- জমি সবই ছিল লোকে নিল কেড়ে।
ইচ্ছে হয় লোককে আমি পুলিশে দিয়ে ধরে
আমি দিয়ে দেই জেলে।

 

 

 

 

 

মমতাময়ী মা

আমার মা সবার চেয়ে প্রিয়, আমার প্রাণের চেয়েও।
তোমার গর্ভে ধরেছি আমি, দেখেছি সুন্দর পৃথিবীর আলো
এসেছি সুন্দর পৃথিবীতে
যখন আমি ছোট খুকি ছিলাম
আমার বাবা মাকে খোদা নিয়ে গেছেন,
হয়ে গেলাম আমি একা।
কত পথ চেয়ে থাকি।
তবু পাইনা মা তোমার দেখা আমি।
তোমার গর্ভে ধরেছি মা আমি,
আমার বুদ্ধিতে দেখিনি দুচোখের দৃষ্টি দিয়ে।
দেখেছি শুধু স্বপ্নে ঘুমের ঘোরে,
তুমি এসেছিলে আমার পাশে।
আমি ঘুমিয়ে ছিলাম, ভাঙ্গা চকির উপরে
শীতে থরথর করে কাঁপছিলাম
মা আমার গায়ে কাঁথা দিয়েছিল।
মাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাচ্ছিলাম !
ভোল বেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি, মা আমার পাশে নেই।
একলা বসে আমি ভাবি
একালে নাপাই দেখা সেকালে পাবো দেখা।
এই আমার প্রাণের আম্মা।

 

বসন্তের বাহার

বসন্তকাল এসেছে, কোকিল উড়ে গাছে বসে।
দেখতে রং কালো।
মিষ্টি কন্ঠে গায় গান, শুনতে লাগে ভালো।
কালো কোকিল পাখি আমি
মিষ্টি কন্ঠে গান গেয়ে শুনাতে পারি ভালো।
আমি যখন মিষ্টি কন্ঠে গান গাই,
তখন তোমরা কেন, আমায় ভাই
মুখ ভাংগাতে থাকো ?
রেগে গেলে আমি ভাই নিয়ে নেই আড়ি।
মিষ্টি কন্ঠে গান গেয়ে শোনাতে মনটা হয়ে যায় ভারি।
সারা বছর গাই না গান, উধাও হয়ে যাই।
বসন্তকাল বলেই তো মিষ্টি কন্ঠে গান গেয়ে,
শোনায় গাছে গাছে উড়ে।

করোনার ভয়-

ও করনা ও করনা ও করনা রে
সুন্দর পৃথিবীতে তুই আসলি কোথা থেকে।
লক্ষ কোটি মানুষের প্রাণ আর নিসনা কাড়িয়ে।
তুই চলে যা চলে যা রে।
তোমরা কেন লোকজন আমায় চলে যেতে বল।
করনা ভাইরাস বলে আবার গালাগালি কর।
খোদা পাঠিয়েছে হুকুম দিয়ে এসেছি পৃথিবীতে।
খোদা যখন দিবে হুকুম চলে যাব রে।
ও করান ও করনা রে খোদার কাছে হাজার শুকরিয়া আদায় করিরে।
তুই চলে যা চলে যা রে।
খোদা আর কত কাল থাকবো আমরা লকডাউনে।
কামাই কাজি বন্ধ দিয়ে ঘরে বসিয়ে।
সারা বিশ্বের সবাই মিলে দুই হাত তুলিয়ে,
আমাদের ভ‚লের চাইছি ক্ষমা যে ক্ষমা করে দাও।
এই ভাইরাসটিকে তুমি তুলে নিয়ে নাও।
খোদা এমন মৃত্যু দিয়োনা তুমি বান্দাকে।
এমন মৃত্যু দেখলে সবাই ভয়ে পালিয়ে যায়।
শেষ গোসল করিয়ে দিতে চায়না কবরে শুইয়ে
নিজের আপনজন তাও ভয়ে পালিয়ে যায়।
কষ্টে অন্তর ফেটে যায়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

চাঁদ মামা

আকাশেতে লক্ষ কোটি তারা ফুটেছে।
অন্ধকার রাতে আবার করে ঝলমল।
চাঁদমামা উঠে বলে লক্ষ তারার সাথী আছে।
আমার সাথী নেই তাই চাঁদমামা হয়ে আমি জেগে থাকি।
আকাশেও তাই।
পৃথিবী বইয়ে যাবে যতদিন
চাঁদমামা হয়ে আমি থেকে যাবো ততদিন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ফুলের বাগান

ঐ দেখা যায় একটি বড় ফুলের বাগান
ঐ বাগানে ফোঠে অনেক রং বিরংয়ের শতশত ফুল।
ঐ বাগানে যাবো আমরা সবাই মিলেমিশে।
ফুল তুলবো আমরা গাঁথবো মালা।
ছোট বড় সকলের গলায় দেব পড়িয়ে।
ফুলের বাগানে বাঁশি বাজায় কে মালি ভাই।
ফুলের গন্ধে মাতাল হওয়াই পাগলা বাঁশি বাজাওনা ভাই
তোমার বাঁশির সূরে আমরা সবাই ছুটে চলে যাই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

গুরু জনের আদেশ

আমরা দুই ভাই বোন ।
মা আমাদের নাম রেখেছেন খোকন খুকি নাম।
মা আমাদের আদেশ করেন ভোর হয়েছে।
পড়ছি নামাজ খোকন খুকি সোনামনি,
তোমরা সবাই ওঠো।
হাত মুখ ধোত লেখা পড়া কর।
লেখা পড়া করে তোমরা নাস্তা খাও।
নাস্তা খেয়ে তোমরা স্কুলে যাও।
স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করে হতে হবে বড়।
চাকরি করে টাকা এনে মা-বাবার হাতে তোমরা দিবে।
মা-বাবা মাথায় হাত বুলিয়ে বলবে।
তোমরা সবাই হাজার বছর থাকো বেঁচে।
পাড়ার সবাই মিলেমিশে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কবিতা

ও বন্ধু তোমরা আমায় ডাকাডাকি করনা।
তোমার ডাকে বন্ধু আমি সারা দিব না।
বাবার কড়া শাসন আমি মেনে নিয়ে চলব।
মায়ের ¯েœহ ভালোবাসা ধরে আমি রাখব।
মায়ের আঁচলের বাধন আমি ছিড়ে যাবনা।
বন্ধু তুমি আমাকে আর ডাকাডাকি করনা।
বন্ধু আমার মনের আবেগে আকছি ছবি যে।
তোমার ছবি রাখছি ধরে আমার মনের গভিরে।
তুমি এসেছিলে প্রেম জোয়ারে আবার
আমায় ভাসিয়ে দিচ্ছো কেন নদীর জোয়ারে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জেরীর গল্প

আমাদের বাড়ীর পাশে একটি বউ ছিল। বউটির বিয়ে হয়েছে সাত বছর। বউটির কোন পোলাপান হয়না। তার খুব ইচ্ছা যদি একটি পোলাপান হতো খুব আদর যতœ দিয়ে মানুষ করতাম। বেচারী মনের দুঃখে একটি বিড়ালের বাচ্চা ধরে এনছে। বিড়ালের বাচ্চা এনে নাম রেখেছে জেরী। জেরীর হাতের পায়ের নখ কেটে দিয়েছে, জনসন সাবান শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করিয়ে দিয়েছে। জেরী চিৎকার করছে আর বউটি বলছে হয়ে গেছে হয়ে গেছে বাবা থাম। তারপর তোয়ালে দিয়ে গা মুছিয়ে দিয়েছে। জেরীর চিরুনী দিয়ে শরীর চিরুনী করে দিয়েছে। জেরীর মুখে লোশন গায়ে বডিস্প্রে দিয়েছে। জেরীকে মুরগীর রান, মাছ দিয়ে ভাত খেতে দেয়। জেরীকে বালিশে মাথা দিয়ে গায়ে লেপ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেয়। জেরীর ঘুম থেকে ওঠে বিকাল বেলা ওর গেরস্তের সাথে হাটে। জেরীর বাড়ীর সামনে আম গাছ থেকে পাশের বাড়ীর বড়ই গাছে লাফ দেয় আর ওর গেরস্ত চিৎকার দেয়। জেরীর গেরস্ত বলে নাম নাম বাবা নাম পড়ে যাবি। কিন্তু জেরী নামে না খেলতেই থাকে। জেরী টিনের বেড়ার উপর লাফ দেয় । আর জেরীর মা চিৎকার করে বলে পড়ে যাবি বাবা নাম কিছু একটা হয়ে যাবে তোর। তারপর জেরী কিছুক্ষণ চুপচাপ শুয়ে থাকে আর জেরীর মা বলে বাবা তোর তো কিছু হয়নি। আমি আমি বলি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান, পাশের দোকানদার খোকন বলে ভাবী ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান জেরীর গা ফেটে গেছে কিন্তু জেরীর মা বলে না আমার জেরীর কিছুই হয়নি।

 

 

ইদুঁর গারস্তের গল্প

ইদুঁর ছোচা ইদুঁর ছোচা আমি হচ্ছে গারস্ত বাবু। আমার বাড়ীর সামনে দিয়ে যাচ্ছো কোথায় লুকিয়ে তুমি। পেটে আমার ক্ষুধার জ্বালা গারস্ত বাড়ী ঢুকবো আমি। গোলা ভরা ধান চাল খাব আমি পেটের ক্ষিধা মিটবে আমার সারা রাত জেগে থেকে গারস্ত বাবুর কাপুর চোপর করব কুচি কুচি এবার ভোর হলে দেখবে মজা সারা বাড়ী চেচিয়ে জড় করবে লোক। হয়ে যাবে মাথা গরম। আমি ইদুঁর ছোচা দেখবো মজা লাগে কেমন তোমার। আমি গারস্ত বাবু আমি ইদুঁর ছোচা তোমায় দেখাচ্ছি মজা। জামাই আদরের মত করে পিরিজে করে বাদাম দিয়ে বিষ মাখিয়ে দেব আমি খাবে তুমি মজা করে। খেয়েদেয়ে হয়ে যাবে চিৎ তোমার সাথে খেলা আমার হয়ে যাবে শেষ এবার আমি আরাম করে ঘুমাতে পারবো বেশ।

 

মুক্তি কামনা / মুক্তি চাই

বাবা তুমি দুই হাত, জোর হাতে চাইছি আমি মাফ।
আমায় মাফ করে দাও।
খারাপ বন্ধুদের সঙ্গে মিশবো না আমি !
ঘরে বন্দি করে রেখোনা আমায় আর।
বাইরের দরজা খুলে দাও আমায় !
দেখবো খোলা আকাশের নিচে শুভ্র আলো !
প্রাণ ভরে নেব নিশ্বাস ।
পায়ে হেটে দেখবো সবুজ মাঠ।
নদীতে দেখবো ভরা জল খোলা আকাশের নিচে।
পাখির শুনবো কিচির মিচির গান।
মনে রইবে না কোন দুঃখ আর !
বাবা তুমি কথা রাখো আমার
প্রান ভরে শ্বাস নিতে
আমাকে মুক্তি দাও।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যুদ্ধের বিজয়

মা পাকিস্তান আর বাংলাদেশ লেগেছে যুদ্ধ।
মাগো তোমার যুবক সন্তান আমি
পাকিস্তানীদের ভয়ে তুমি,
রেখেছো আমায় আচঁলের নিচে লুকিয়ে।
মাগো আমি যুদ্ধে যাবো।
শক্ত হয়ে অস্ত্র তুলে দাও মাগো আমার হাতে।
মাগো আমি যুদ্ধে যাব তোমার দোয়া নিয়ে।
যুদ্ধ করে যেন বিজয়ী হতে পারি।
তুমি দোয়া করো মা।
রক্ত মাখা অস্ত্র নিয়ে, ফিরবো মা গো তোমারই বুকে।
সবুজের বুকে লাল পতাকা থাকবেই মাগো
তুমি প্রাণ ভরে চেয়ে দেখো।।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ছোট্ট মনির ডাক

ও আমার জন্ম দাতা বাবা গর্ভধারিনী মা।
কোথায় তোমরা ঘুমিয়ে আছো মাটির বিছানায়
মাগো তোমার ছোট্টমনি অবুঝ মনে,
আমি ডাকি বারে বারে।
তুমি কেন আমার ডাকে সারা দাও না।
ওমা তোমায় না ডাকলে আমার,
প্রাণ জুরায় না।
তোমার এই ছোট্ট মনি কোথায় যাবে বলনা তোমরা
হে খোদা এই ছোট্ট মনির দোয়ায়
আমার মা বাবাকে ভালো রেখ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ছোট্ট বেলার খেলার সাথী

ওরে তুই আমার ছোট্ট বেলার খেলার সাথীরে।
কোথায় চলে গেলি তুই ?
হারিয়ে গেলি রে।
কতো খেলতাম পুতুল খেলা তোর সঙ্গে আমি।
সবই ভ‚লে গেলি তুই পাষানী।
এ কেমন করলি খেলা ?
কেন এতো করলি অবহেলা ?
তোর বাবা শহরের চকারি করে রে।
আমি গ্রামের কৃষকের মাইয়া বুঝিরে।
তাই কি করছিস হেলা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

একটি গ্রাম

ঐ দেখা যায় একটি গ্রাম।
ঐ গ্রামে আছে একটি অনেক বড় পুকুর।
পুকুরের পাড়ে আছে ছোট্ট একটি বাড়ী।
ঐ বাড়ীর ভাই পুকুরের ধরে মাছ।
গ্রামের লোকে বলে আরে ও ভাই।
কী মাছ ধরেছেন ভাই ?
আমাদেরকে দিবেন।
অনেক কষ্ট করে ধরেছি মাছ দেওয়া হবেনা ভাই !
চিংড়ি, পুটি, মওশি মাছ মায়ের হাতে দেব তুলে।
মা চিকন ঝালে পাতলা ঝোলে করবে রান্না।
খেতে বড় মজা লাগবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পেটের খুদার জ্বালা

ভাস্তে ডাকে চাচ্চুকে।
চাচ্চু গো চাচ্চু কোথায় যাচ্ছো ?
চাচ্চু বড় পেটের খুধায় যাচ্ছি আমি নদীতে নাও নিয়ে।
ফেলবো জাল নদীতে, মাছ ধরবো ঝাকা ভরে।
মাছ করবো হাটে বিক্রি
টাকা নিয়ে কিনবো চাউল
দেব বউয়ের হাতে।
বউ করবে রান্না হাঁড়িতে
খাবো আমি পেট ভরে।
তুমিও খাবে আমার সাথে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

শিশুর অভিলাষ

আমি বাবা মায়ের একটি মেয়ে।
যখন খুবই ছোট একটি শিশু ছিলাম,
তখন আমার বাবা-মা আমায় ছেড়ে
পৃথিবী থেকে চলে গেলেন।
যখন আমি বুঝতে শিখলাম
লেখা পড়া করে আমি একদিন বড় হবো।
মায়ের পেটের ভাই-বোন কেউ আমার নেই।
আত্মীয় স্বজন পাশে দঁড়াবার কেউ আমার নেই।
লেখা পড়া না করে কাজে হয়েছি বড়।
বাবার বাড়ী- জমি সবই ছিল লোকে নিল কেড়ে।
ইচ্ছে হয় লোককে আমি পুলিশে দিয়ে ধরে
আমি দিয়ে দেই জেলে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মমতাময়ী মা

আমার মা সবার চেয়ে প্রিয়, আমার প্রাণের চেয়েও।
তোমার গর্ভে ধরেছি আমি, দেখেছি সুন্দর পৃথিবীর আলো
এসেছি সুন্দর পৃথিবীতে
যখন আমি ছোট খুকি ছিলাম
আমার বাবা মাকে খোদা নিয়ে গেছেন,
হয়ে গেলাম আমি একা।
কত পথ চেয়ে থাকি।
তবু পাইনা মা তোমার দেখা আমি।
তোমার গর্ভে ধরেছি মা আমি,
আমার বুদ্ধিতে দেখিনি দুচোখের দৃষ্টি দিয়ে।
দেখেছি শুধু স্বপ্নে ঘুমের ঘোরে,
তুমি এসেছিলে আমার পাশে।
আমি ঘুমিয়ে ছিলাম, ভাঙ্গা চকির উপরে
শীতে থরথর করে কাঁপছিলাম
মা আমার গায়ে কাঁথা দিয়েছিল।
মাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাচ্ছিলাম !
ভোল বেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি, মা আমার পাশে নেই।
একলা বসে আমি ভাবি
একালে নাপাই দেখা সেকালে পাবো দেখা।
এই আমার প্রাণের আম্মা।

 

 

 

 

 

 

 

 

বসন্তের বাহার

বসন্তকাল এসেছে, কোকিল উড়ে গাছে বসে।
দেখতে রং কালো।
মিষ্টি কন্ঠে গায় গান, শুনতে লাগে ভালো।
কালো কোকিল পাখি আমি
মিষ্টি কন্ঠে গান গেয়ে শুনাতে পারি ভালো।
আমি যখন মিষ্টি কন্ঠে গান গাই,
তখন তোমরা কেন, আমায় ভাই
মুখ ভাংগাতে থাকো ?
রেগে গেলে আমি ভাই নিয়ে নেই আড়ি।
মিষ্টি কন্ঠে গান গেয়ে শোনাতে মনটা হয়ে যায় ভারি।
সারা বছর গাই না গান, উধাও হয়ে যাই।
বসন্তকাল বলেই তো মিষ্টি কন্ঠে গান গেয়ে,
শোনায় গাছে গাছে উড়ে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

করনার ভয়

ও করনা ও করনা ও করনা রে
সুন্দর পৃথিবীতে তুই আসলি কোথা থেকে।
লক্ষ কোটি মানুষের প্রাণ আর নিসনা কাড়িয়ে।
তুই চলে যা চলে যা রে।
তোমরা কেন লোকজন আমায় চলে যেতে বল।
করনা ভাইরাস বলে আবার গালাগালি কর।
খোদা পাঠিয়েছে হুকুম দিয়ে এসেছি পৃথিবীতে।
খোদা যখন দিবে হুকুম চলে যাব রে।
ও করান ও করনা রে খোদার কাছে হাজার শুকরিয়া আদায় করিরে।
তুই চলে যা চলে যা রে।
খোদা আর কত কাল থাকবো আমরা লকডাউনে।
কামাই কাজি বন্ধ দিয়ে ঘরে বসিয়ে।
সারা বিশ্বের সবাই মিলে দুই হাত তুলিয়ে,
আমাদের ভ‚লের চাইছি ক্ষমা যে ক্ষমা করে দাও।
এই ভাইরাসটিকে তুমি তুলে নিয়ে নাও।
খোদা এমন মৃত্যু দিয়োনা তুমি বান্দাকে।
এমন মৃত্যু দেখলে সবাই ভয়ে পালিয়ে যায়।
শেষ গোসল করিয়ে দিতে চায়না কবরে শুইয়ে
নিজের আপনজন তাও ভয়ে পালিয়ে যায়।
কষ্টে অন্তর ফেটে যায়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

চাঁদ মামা

আকাশেতে লক্ষ কোটি তারা ফুটেছে।
অন্ধকার রাতে আবার করে ঝলমল।
চাঁদমামা উঠে বলে লক্ষ তারার সাথী আছে।
আমার সাথী নেই তাই চাঁদমামা হয়ে আমি জেগে থাকি।
আকাশেও তাই।
পৃথিবী বইয়ে যাবে যতদিন
চাঁদমামা হয়ে আমি থেকে যাবো ততদিন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ফুলের বাগান

ঐ দেখা যায় একটি বড় ফুলের বাগান
ঐ বাগানে ফোঠে অনেক রং বিরংয়ের শতশত ফুল।
ঐ বাগানে যাবো আমরা সবাই মিলেমিশে।
ফুল তুলবো আমরা গাঁথবো মালা।
ছোট বড় সকলের গলায় দেব পড়িয়ে।
ফুলের বাগানে বাঁশি বাজায় কে মালি ভাই।
ফুলের গন্ধে মাতাল হওয়াই পাগলা বাঁশি বাজাওনা ভাই
তোমার বাঁশির সূরে আমরা সবাই ছুটে চলে যাই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

গুরু জনের আদেশ

আমরা দুই ভাই বোন ।
মা আমাদের নাম রেখেছেন খোকন খুকি নাম।
মা আমাদের আদেশ করেন ভোর হয়েছে।
পড়ছি নামাজ খোকন খুকি সোনামনি,
তোমরা সবাই ওঠো।
হাত মুখ ধোত লেখা পড়া কর।
লেখা পড়া করে তোমরা নাস্তা খাও।
নাস্তা খেয়ে তোমরা স্কুলে যাও।
স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করে হতে হবে বড়।
চাকরি করে টাকা এনে মা-বাবার হাতে তোমরা দিবে।
মা-বাবা মাথায় হাত বুলিয়ে বলবে।
তোমরা সবাই হাজার বছর থাকো বেঁচে।
পাড়ার সবাই মিলেমিশে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কবিতা

ও বন্ধু তোমরা আমায় ডাকাডাকি করনা।
তোমার ডাকে বন্ধু আমি সারা দিব না।
বাবার কড়া শাসন আমি মেনে নিয়ে চলব।
মায়ের ¯েœহ ভালোবাসা ধরে আমি রাখব।
মায়ের আঁচলের বাধন আমি ছিড়ে যাবনা।
বন্ধু তুমি আমাকে আর ডাকাডাকি করনা।
বন্ধু আমার মনের আবেগে আকছি ছবি যে।
তোমার ছবি রাখছি ধরে আমার মনের গভিরে।
তুমি এসেছিলে প্রেম জোয়ারে আবার
আমায় ভাসিয়ে দিচ্ছো কেন নদীর জোয়ারে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জেরীর গল্প

আমাদের বাড়ীর পাশে একটি বউ ছিল। বউটির বিয়ে হয়েছে সাত বছর। বউটির কোন পোলাপান হয়না। তার খুব ইচ্ছা যদি একটি পোলাপান হতো খুব আদর যতœ দিয়ে মানুষ করতাম। বেচারী মনের দুঃখে একটি বিড়ালের বাচ্চা ধরে এনছে। বিড়ালের বাচ্চা এনে নাম রেখেছে জেরী। জেরীর হাতের পায়ের নখ কেটে দিয়েছে, জনসন সাবান শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করিয়ে দিয়েছে। জেরী চিৎকার করছে আর বউটি বলছে হয়ে গেছে হয়ে গেছে বাবা থাম। তারপর তোয়ালে দিয়ে গা মুছিয়ে দিয়েছে। জেরীর চিরুনী দিয়ে শরীর চিরুনী করে দিয়েছে। জেরীর মুখে লোশন গায়ে বডিস্প্রে দিয়েছে। জেরীকে মুরগীর রান, মাছ দিয়ে ভাত খেতে দেয়। জেরীকে বালিশে মাথা দিয়ে গায়ে লেপ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেয়। জেরীর ঘুম থেকে ওঠে বিকাল বেলা ওর গেরস্তের সাথে হাটে। জেরীর বাড়ীর সামনে আম গাছ থেকে পাশের বাড়ীর বড়ই গাছে লাফ দেয় আর ওর গেরস্ত চিৎকার দেয়। জেরীর গেরস্ত বলে নাম নাম বাবা নাম পড়ে যাবি। কিন্তু জেরী নামে না খেলতেই থাকে। জেরী টিনের বেড়ার উপর লাফ দেয় । আর জেরীর মা চিৎকার করে বলে পড়ে যাবি বাবা নাম কিছু একটা হয়ে যাবে তোর। তারপর জেরী কিছুক্ষণ চুপচাপ শুয়ে থাকে আর জেরীর মা বলে বাবা তোর তো কিছু হয়নি। আমি আমি বলি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান, পাশের দোকানদার খোকন বলে ভাবী ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান জেরীর গা ফেটে গেছে কিন্তু জেরীর মা বলে না আমার জেরীর কিছুই হয়নি।

 

 

ইদুঁর গারস্তের গল্প

ইদুঁর ছোচা ইদুঁর ছোচা আমি হচ্ছে গারস্ত বাবু। আমার বাড়ীর সামনে দিয়ে যাচ্ছো কোথায় লুকিয়ে তুমি। পেটে আমার ক্ষুধার জ্বালা গারস্ত বাড়ী ঢুকবো আমি। গোলা ভরা ধান চাল খাব আমি পেটের ক্ষিধা মিটবে আমার সারা রাত জেগে থেকে গারস্ত বাবুর কাপুর চোপর করব কুচি কুচি এবার ভোর হলে দেখবে মজা সারা বাড়ী চেচিয়ে জড় করবে লোক। হয়ে যাবে মাথা গরম। আমি ইদুঁর ছোচা দেখবো মজা লাগে কেমন তোমার। আমি গারস্ত বাবু আমি ইদুঁর ছোচা তোমায় দেখাচ্ছি মজা। জামাই আদরের মত করে পিরিজে করে বাদাম দিয়ে বিষ মাখিয়ে দেব আমি খাবে তুমি মজা করে। খেয়েদেয়ে হয়ে যাবে চিৎ তোমার সাথে খেলা আমার হয়ে যাবে শেষ এবার আমি আরাম করে ঘুমাতে পারবো বেশ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd