শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর নির্দেশনা : ওবায়দুল কাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় দিন ১৮ এপ্রিল। হোসেন আলী ভারতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ান আজ ভাঙ্গুড়ায় দুগ্ধজাত ক্ষুদ্র শিল্পের সফল উদ্যোক্তা কলেজ ছাত্র অপু ঘোষ ভাঙ্গুড়ায় নতুন ইউএনও’র যোগদান- জ্ঞানের নিষ্প্রভ বাতিঘর কি আবার আলোকিত হবে ? বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা ভাঙ্গুড়া প্রাণি সম্পদ অফিসের নানা জনপ্রিয় কর্মসুচী !

ভাঙ্গুড়ায় স্থানীয় সরকারের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রতিনিধি হয়ে উঠলেন টুকুন

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২০
  • ৮০২ সময় দর্শন

বিশেষ প্রতিবেদক,ভাঙ্গুড়া : পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় স্থানীয় সরকারে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রতিনিধি হিসাবে যার নামটি উঠে এসেছে তিনি হলেন গোলাম ফারুক টুকুন। যিনি বয়সে তরুণ,ব্যবসার পাশাপাশি কয়েক বছর ধরে নিয়মিত ভাবে করে গেছেন জনসেবা। ফলে আপামর জনসাধারণের মাঝে তিনি কখন যে মিলে গেছেন কেউ বুঝতেও পারেনি। তাই জনগণই এবার দল,ক্ষমতা,প্রতিপত্তি সবকিছু ডিঙ্গিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে তাকে জযী করে ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে বসালেন।


গত ২০ অক্টোবর এখানে জনসাধারণের স্বস্ফুর্ত অংশ গ্রহনে উৎসবমুখর পরিবেশে ভাঙ্গুড়া ইউপি’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফলে দেখা যায়,স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম ফারুক টুকুন তার ঘোড়া প্রতীকে ৫০৪৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি জাহাঙ্গীর আলম বিদ্যুত (ধানের শীষ মার্কা) পেয়েছেন ২৩৯৪ ভোট। স্বতন্ত্র অপর প্রার্থী ঁজাহিদুজ্জামান জিন্নাহ তার আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৭৫০ ভোট। সেখানে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন খান পেয়েছেন ১৪৭৯ ভোট। ভোটের এই জরিপ থেকে বেরিয়ে আসেন স্থানীয় সরকারের সবচেয়ে জনপ্রিয় চেয়ারম্যানের নাম।
এলাকার ভোটাররা বলেন,টুকুন ভাই অনেক পুর্বেই আমাদের মনের সাপোর্ট পেয়ে গিয়েছিলেন,ভোট ছিল উপলক্ষ্য মাত্র।

ঝি:কলকতি গ্রামের তরুণ ভোটার মিলন বলেন,করোনা কালে গ্রামের অনেক অসহায় মানুষের পাশে খাদ্য সহায়তা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন টুকুন ভাই। একই গ্রামের সুরুজ ভাই বলেন,গরুর খাদ্য ছিল না ঘরে,তখন গো-খাদ্য সহায়তা দিয়েছিলেন টুকুন ভাই।

আলম সরদার বলেন,বন্যায় ঝিনাইগাড়ি কলকতি ফুট ব্রিজের দুই পাড়ের মাটি সরে গিয়ে গ্রামের মানুষ যখন পারাপার হতে পারছিল না। নারী,শিশু ও বৃদ্ধদের কষ্টের সীমা ছিলনা। তখন টুকুন ভাই নিজ খরচে বালির বস্তা ও মাটি ফেলে চলাপলের উপযোগী করে দিয়েছেন। এসব মানুষের দোয়ার প্রতিফলই ঘটেছে ইউপি নির্বাচনে। এছাড়া একজন প্রকৃত জনসেবকের পরিচিতি তিনি অনেক আগেই অর্জন করেছেন। মানুষ এমন জনপ্রতিনিধিই সবসময় আশা করেন বলেও তারা মন্তব্য করেন।

টুকুনের নানাও ছিলেন এজন জনসেবক। বাবা আলহাজ মো: এমদাদ হোসেন ছিলেন একজন আদর্শ শিক্ষক।
মা ছিলেন একজন পরোপকারী,গুণি ও মহিয়সী নারী। গ্রামের মানুষের বিপদে এগিয়ে যাওয়া,অসুস্থকে চিকিৎসা সেবা দান করা,গরীব ঘরের কারো মেয়ের বিয়েতে রান্নার সকল আয়োজন সম্পন্ন করে দেওয়া প্রভৃতি ছিল তার চরিত্রের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট। পাশাপাশি তিনি ছিলেন একজন ধর্মপরায়ণ এবং পর্দানশীল গৃহিনী। সম্প্রতি উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে স্বামী আলহাজ এমদান হোসেন ও সন্তান-সন্ততি ছেড়ে মহান আল্লাহ পাকের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি চলে যান। তিনি জীবিত থাকতে ছোট ছেলে গোলাম ফারুক টুকুনকে তার বাবার ন্যায় জনসেবার জন্য আশীর্বাদ করেন বলে জানা গেছে। মায়ের সেই দোয়া বৃথা যায়নি।

টুকুনের নানাজী হাজী মুহম্মদ মহসীন আলী চলনবিলের একজন দানশীল,সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি ছিলেন। দীর্ঘসময় ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি গড়েছেন অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এলাকার উন্নয়নের জন্য ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নকে থানায় পরিণত করাই ছিল তার স্বপ্ন। যার সুদক্ষ নেতৃত্বে এবং অক্লান্ত প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত ১৯৮১ সালে ভাঙ্গুড়ায় থানা প্রতিষ্ঠা হয়। সেই মহান পুরুষের দৌহিত্র হিসাবে ওই চেয়ারেই আসীন হলেন গোলাম ফারুক টুকুন।
গোলাম ফারুক টুকুন অল্প বয়সে স্থানীয় সরকারের ওই সংস্থায় জনসেবার দায়িত্ব পেলেও এটি অত্যন্ত জটিল কাজ তা বোধকরি ইতোমধ্যে তিনি উপলব্দি করতে পেরেছেন।


তিনি ডিডিএন নিউজকে জানান-“আমার অবৈধ টাকার দরকার নেই। আমি ঘুষ ঘৃনা করি। আমি মানুষের প্রাপ্যতা বুঝিয়ে দিতে চাই। গৃহহীনদের ঘর,বয়স্ক ভাতা,বিধবা ভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতা যত রকম সুবিধা বাংলাদেশ সরকার তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আসবে তার প্রতিটি কণা সততার সাথে প্রকৃত ভুক্তভোগীদের হাতে পৌঁছায়ে দেওয়াই হবে আমার অঙ্গীকার”।
তিনি নির্লোভ থেকে এ কাজটি যাতে যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে পারেন সেজন্য সকলের নিকট দোয়া কামনা করেছেন।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd