বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০১ পূর্বাহ্ন

তাড়াশে বাদলা রোগে ১৫টি গরুর মৃত্যু

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২০
  • ২৮৫ সময় দর্শন

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বাদলা রোগে গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন গ্রামে অন্তত কৃষকের ১৫টি বাছুর গরু মারা গেছে।
এদিকে উপজেলা প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে বাদলা রোগে প্রতিষেধক থাকলেও তাদের উদাসীনতায় কৃষকের গবাদী পশুর জন্য সরকারীভাবে বরাদ্দকৃত প্রতিষেধক ঠিক মত পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন ওয়াশীন গ্রামের কৃষক আলামিন সহ আরো অনেক গবাদী পশুর মালিক ।

খোঁজ জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ধাপ ওয়াশিন গ্রামে কৃষক ফনির ১টি, বড় পুকুর পাড়ের হুজাইফার ১টি, বেত্রাশিন গ্রামের আলাউদ্দিনের ১টি, ওয়াশীন গ্রামের আলামিনের ১টি একই গ্রামের দুলাল ও শহিদুল ইসলাম মনির ১টি সহ বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ১৫টির মত গবাদী প্রাণী বাছুর মারা গেছে।

যাদের বাছুর মারা গেছে সে সকল কৃষকেরা জানান , প্রথমে বাছুরের মুখে ঘা হয়, তীব্র জ্বর আসে , পেট পেঁপে যাওয়ার পাশাপাশি খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং এক পর্যায়ে বাছুর গুলো মারা যায়।
এটাকে বাদলা রোগ বলে জানান তাড়াশ প্রাণী সম্পদ হাসপাতালের ভ্যাটেনারী সার্জন শরিফুল ইসলাম।

এদিকে তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের একাধিক কৃষক অভিযোগ করে বলেন , প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে বাদলা রোগের প্রতিষেধক থাকলেও  তাড়াশ প্রাণী সম্পদ বিভাগ ঠিকমত গ্রামে গ্রামে বাদলা রোগের প্রতিষেধক দিতে পারছেন না।
এমনকি সংশ্লিষ্ট ভ্যাটেনারী সার্জন তৃণমুলে না গিয়ে অফিস চলাকালীন সময়ে তার অফিসে বসে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধিদের সাথে দেন দরবার করে সময় কাটান বলে আরো অভিয্গো করেন।

তাড়াশ উপজেলা প্রাণী সম্পদ হাসপাতালের ভ্যাটেনারী সার্জন শরিফুল ইসলাম জানান , তার অফিসে ভিএফএ কর্মীর পদ তিনটি এর মধ্যে দুটিই শুন্য রয়েছে।  ফলে সব জায়গায় একার পক্ষে কাজ করা সম্ভব না। তাপরও পর্যায়ক্রমে মাইকিং করে বিভিন্ন গ্রামে কৃষকের গবাদী পশুকে বর্তমানে বাদলা ও ক্ষুরা রোগের প্রতিষেধক দেয়া হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd