বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:৩৮ অপরাহ্ন

সহসভাপতিদের ছায়াতলে জেলা ফুটবল

খেলা ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২০
  • ৩১৬ সময় দর্শন

ফুটবল ফেডারেশনের প্রথম সভায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে এক যুগের ‘উপেক্ষিত’ জেলা ফুটবল। জেলার ফুটবলকে সচল করে কিভাবে সামগ্রিক ফুটবল উন্নয়নের পথে হাঁটা যায়, সেই ফর্মুলা বের হতে পারে আজ বাফুফের নবনির্বাচিত কমিটির প্রথম সভায়।

চতুর্থ মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন জেলার সংগঠকদের কঠোর সিদ্ধান্তের ঘোষণা দিয়েছেন। টানা দুই বছর লিগ করতে না পারলে বাতিল হয়ে যাবে ওই জেলার কাউন্সিলরশিপ। জেলা পর্যায়ে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া হলেও এটাকে নিয়মে রূপ দিতে গেলে বিশেষ সাধারণ সভার অনুমোদন লাগবে। আজ প্রথম সভায় এ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এবার জেলা ফুটবল যে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। গুরুত্বহীন থাকার কারণেই জেলার প্রায় ৮০ শতাংশ কাউন্সিলর বাফুফের বাইরের সংগঠক তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিনের অনুসারী হয়ে গিয়েছিলেন। তাইতো নির্বাচনকে ঘিরে এত চাপ-তাপের গল্প রচিত হয়েছিল।

এ জন্য চার সহসভাপতিকে জেলা ফুটবলের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার কথা ভাবছে বাফুফে। দুই দিন আগে সংবাদমাধ্যমে সিনিয়র সহসভাপতি সালাম মুর্শেদী বলেছেন, ‘জেলাগুলোকে চার সহসভাপতির মধ্যে ভাগ করে দিলে জেলা ফুটবলের প্রতি আমাদের সরাসরি নজর থাকবে এবং ওখানকার ফুটবল সচল থাকবে।’ আগে ছিল বাফুফের জেলা ফুটবল মনিটরিং কমিটি; যদিও এর কোনো কর্মকাণ্ড দেখা যায়নি। তাই এবার সহসভাপতিদের সম্পৃক্ত করার নতুন উদ্যোগ প্রথম সভায় অনুমোদন পেতে পারে। বাফুফের নতুন সহসভাপতি ইমরুল হাসানও এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন, ‘চার সহসভাপতিকে আট বিভাগ ভাগ করে দেওয়া হতে পারে। তাঁদের কাজ কী হবে, সেটা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে এটা সহসভাপতিদের মধ্যেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করবে। কার বিভাগ ভালো কাজ করেছে, কোনগুলো করেনি।’ তা ছাড়া প্রতিটি জেলাকে বাফুফে থেকে বার্ষিক পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা সভাপতি এরই মধ্যে দিয়েছেন।

এ ছাড়া প্রথম সভায় আরো কয়েকটি কমিটি গঠিত হতে পারে। নির্বাচনে বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছে পেশাদার লিগ কমিটি। এক যুগ ধরে সালাম মুর্শেদী এই কমিটির প্রধান এবং প্রিমিয়ার লিগও চলেছে জোড়াতালি দিয়ে। কখনো ঘোর বর্ষায়, কখনো ভাদ্রের কাঠফাটা রোদে। সত্যি বললে, এর কোনো পেশাদার পরিকাঠামো এখনো দাঁড়ায়নি। এই কমিটিকে নিয়ে যত সমালোচনাই থাক বৈঠা শেষ পর্যন্ত হাতছাড়া করতে চাইবেন না সালাম। তেমনি কাজী নাবিল আহমেদের জাতীয় দল কমিটিকে নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায়। বাংলাদেশ দলের মাঠের ফল ভালো নয়, তারা সাফের সেমিফাইনালেও পৌঁছতে পারে না এখন। এর পরও জাতীয় দল কমিটিতে পরিবর্তনের কথা কেউ হলফ করে বলতে পারছে না।

এ ছাড়া আছে ফুটবল ডেভেলপমেন্ট কমিটি, মিডিয়া কমিটিসহ আরো কয়েকটি কমিটি। তবে সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত সহসভাপতি ইমরুল হাসানও ফুটবল ফেডারেশনে গেছেন কাজ করার মানসিকতা নিয়ে। স্বাভাবিকভাবে বসুন্ধরা কিংসের সভাপতির মনেও নির্দিষ্ট চিন্তা আছে, ‘দেখি প্রথম সভায় কী আলোচনা হয়। কাজের জন্য আমার নিজস্ব কিছু পছন্দের জায়গা আছে, তবে সভায় আলোচনার ওপর সব কিছু নির্ভর করে।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd