শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর নির্দেশনা : ওবায়দুল কাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় দিন ১৮ এপ্রিল। হোসেন আলী ভারতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ান আজ ভাঙ্গুড়ায় দুগ্ধজাত ক্ষুদ্র শিল্পের সফল উদ্যোক্তা কলেজ ছাত্র অপু ঘোষ ভাঙ্গুড়ায় নতুন ইউএনও’র যোগদান- জ্ঞানের নিষ্প্রভ বাতিঘর কি আবার আলোকিত হবে ? বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা ভাঙ্গুড়া প্রাণি সম্পদ অফিসের নানা জনপ্রিয় কর্মসুচী !

যে খাদ্যাভ্যাস মানুষকে রোগমুক্ত রাখে

অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২০
  • ৩১২ সময় দর্শন

বাদশাহ হারুন-উর-রশিদ ভারত, রোম, ইরাক ও আবিসিনিয়া থেকে চারজন বড় বড় ডাক্তার ডেকে এনে বলেন, আপনারা এমন চিকিৎসার কথা বলুন, যার ফলে মানুষ কখনো রোগাক্রান্ত হবে না। ডাক্তাররা সবাই চিন্তায় পড়ে গেলেন। ভারতীয় ডাক্তার গভীর চিন্তা করে বলেন, নিয়মিত  হরীতকী খেলে মানুষ কখনো রোগাক্রান্ত হবে না।

ইরাকি ডাক্তার বলেন একটি শাকের নাম, যা খেলে মানুষ রোগাক্রান্ত হবে না।

রোমের ডাক্তার বলেন, নিয়মিত গরম পানি সেবন করলে মানুষ সর্ববিধ রোগব্যাধি থেকে নিরাপদ থাকবে।

আগত চারজন ডাক্তারের মধ্যে সর্বাধিক অভিজ্ঞ ছিলেন আবিসিনিয়ার ডাক্তার। সবাই মতামত দেওয়ার পর তিনি বলেন, নিয়মিত হরীতকী খেলে পেট সংকীর্ণ হয়ে যেতে পারে। এতে শারীরিক সমস্যা হতে পারে। শাক খেলে পেট নরম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর নিয়মিত গরম পানি খেলে পাকস্থলীর ইনফেকশন হতে পারে।

বাদশাহ আবিসিনিয়ার ডাক্তারকে বলেন, তাহলে আপনার মতে সেরা চিকিৎসা কোনটি? জবাবে ডাক্তার বলেন, আমার মতে, যে নিয়ম মেনে চললে মানুষ রোগাক্রান্ত হবে না, তা হলো প্রচণ্ড ক্ষুধা লাগার পর মানুষ খাবার গ্রহণ করবে এবং ক্ষুধা শেষ হওয়ার আগেই খাওয়া বন্ধ করবে।

আবিসিনিয়ার ডাক্তারের মন্তব্য শোনার পর উপস্থিত সবাই তা সমর্থন করেন।

 

কম খাওয়ার কিছু উপকারিতা

♦ আত্মার পরিচ্ছন্নতা, স্বভাবের তীক্ষতা, চিন্তার গভীরতা এবং অন্তর্দৃষ্টি পূর্ণতা লাভ করে।

♦ অন্তরের কোমলতা বৃদ্ধি ও জিকিরে স্বাদ অনুভব।

♦ আল্লাহর আনুগত্য ও বিনয় অর্জন এবং অহংকার ও দর্প চূর্ণ হয়।

♦ আল্লাহর আজাব, দরিদ্র ও বিপদগ্রস্তদের কথা স্মরণ হয়।

♦ নফসে আম্মারা (কুপ্রবৃত্তি) দমন হয়।

♦ অতিরিক্ত নিদ্রা থেকে বাঁচা যায়।

♦ ইবাদত অব্যাহত রাখা যায়। অলসতা কম হয়।

♦ রোগব্যাধি থেকে মুক্ত থেকে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা যায়।

♦ অর্থ ও সময় বাঁচে।

♦ স্বল্পাহারের উপকারিতা হলো, বেঁচে যাওয়া খাবার এতিম-মিসকিন ও অভাবীদের দান করা যায়। এতে পরকালের জন্য পাথেয় সঞ্চয় হয়।

 

বেশি খাবার খাওয়ার অপকারিতা

♦ সুলাইমান দারনি (রহ.) বলেন, নিয়মিত পেট ভরে বা অতিরিক্ত আহার করলে বহু ক্ষতির শিকার হতে হবে।

♦ মোনাজাতের স্বাদ অনুভব হবে না।

♦ হিকমত ও প্রজ্ঞা থেকে বঞ্চিত হবে।

♦ সৃষ্টির প্রতি দয়া অনুভব হবে না।

♦ ইবাদত কষ্টকর মনে হবে।

♦ নফসে আম্মারার তথা কুপ্রবৃত্তির চাহিদা প্রবল হবে। এতে জিনার মতো জঘন্য পাপেও পতিত হতে পারে।

♦ ঈমানদাররা যখন মসজিদে অবস্থান করবে, অতিভোজনকারী তখন দুনিয়ার কোনো নিকৃষ্ট জায়গায় অবস্থান করবে।

♦ কম আহারের অনেক ফজিলত রয়েছে। সব নবী ও অলিদের কয়েকটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য ছিল—

১. কম খাওয়া

২. কম ঘুমানো

৩. কম কথা বলা

৪. নির্জনে থাকা।

এ জন্য নবী করিম (সা.) বলেছেন, তোমাদের অন্তর কম হাসি ও কম তৃপ্তি দ্বারা জিন্দা করো। এবং ক্ষুধা দ্বারা পবিত্র করো। এর ফলে তোমাদের অন্তর স্বচ্ছ ও কোমল হবে।

নবী করিম (সা.) আরো বলেন, ‘তোমরা জিহাদ করো নফসের বিরুদ্ধে ক্ষুধা ও পিপাসা দ্বারা, এতে আল্লাহর পথে মুজাহিদের মতো সওয়াব লাভ করবে। আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষুধা ও পিপাসার চেয়ে অধিক প্রিয় কোনো আমল নেই।

কম খাওয়ার ব্যাপারে আরেকটি হাদিস বলেই শেষ করব। নবী করিম (সা.) বলেন, তোমরা সর্বদা জান্নাতের ফটকের কড়া নাড়তে থাকো। তোমাদের জন্য তা খুলে দেওয়া হবে। আম্মাজান আয়েশা (রা.) বলেন, সর্বদা জান্নাতের ফটকের কড়া নাড়ব কিভাবে? রাসুল (সা.) বলেন, তোমাদের ক্ষুধা ও পিপাসা দ্বারা, সুবহানআল্লাহ।

খাওয়ার ব্যাপারে রাসুল (সা.)-এর এর কত সুন্দর নিয়ম ছিল। পূর্বসূরি মুসলিম মনীষীরা কত ত্যাগ স্বীকার করছেন! বর্তমানে আলেম ও সাধারণ মানুষ খাওয়ার ব্যাপারে উদাসীন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন গড়ার তাওফিক দান করুক।

যারা বেশি খেতে অভ্যস্ত, তারা হঠাৎ করে আবার খাবার কমিয়ে দিলে দুর্বল হয়ে পড়বেন। ইবাদতে ব্যাঘাত ঘটবে। পরিকল্পনা করে তিন মাস থেকে ছয় মাসে আমরা আমাদের খাবারের অতিরিক্ত চাহিদা কমাতে পারি।

আসুন, আমরা সুন্নাহ অনুযায়ী আমাদের জীবন গড়ে তুলি। হইকাল ও পরকালে মুক্তির পথ সহজ করি।

 

[ইমাম গাজালি (রহ.) রচিত ইহইয়াউ উলুমিদ্দিন অবলম্বনে]

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd