শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর নির্দেশনা : ওবায়দুল কাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় দিন ১৮ এপ্রিল। হোসেন আলী ভারতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ান আজ ভাঙ্গুড়ায় দুগ্ধজাত ক্ষুদ্র শিল্পের সফল উদ্যোক্তা কলেজ ছাত্র অপু ঘোষ ভাঙ্গুড়ায় নতুন ইউএনও’র যোগদান- জ্ঞানের নিষ্প্রভ বাতিঘর কি আবার আলোকিত হবে ? বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা ভাঙ্গুড়া প্রাণি সম্পদ অফিসের নানা জনপ্রিয় কর্মসুচী !

চলনবিলে পদ্ম ফুলে নয়নাভিরাম দৃশ্য

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ১৪৫ সময় দর্শন

দীর্ঘ ৩৫ থেকে ৪০ বছর আবারো চলনবিলে ফুটেছে পদ্ম ফুল, যাকে জলজ ফুলের রানী বলা হয়। সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় এ বছর সারি সারি মাঠে ফুটেছে অপরূপ সৌন্দর্যের পদ্ম ফুল। আর এ ফুল দেখতে আসছেন পর্যটক আর প্রকৃতি প্রেমীরা। রুপবৈচিত্র্য দেখে প্রকাশ করছেন তাদের মুগ্ধতা। ভাদ্রের মাঝামাঝি সময়ে কলি থেকে ফুল ফোটা শুরু হয়ে এখন আশ্বিনের শুরুতেও তা চলমান রয়েছে। শীত আসা পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন জলজ উদ্ভিদ গবেষকরা। তাড়াশ উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের দোবিলা ও ঘরগ্রামের মাঠে ফুটেছে এই পদ্ম ফুল।

তাড়াশ প্রেসক্লাবের সভাপতি সনাতন দাস বলেন, চলনবিলে এ পদ্ম ফুটেছে দীর্ঘ প্রায় চার দশক পরে। হারিয়ে যাওয়া পদ্ম ফিরে আসায় উচ্ছ্বসিত চলনবিলবাসী। শুধু তাড়াশ নয়, পার্শ্ববর্তী গুরুদাসপুর উপজেলার হাড়িভাঙা বিলেও ফুটেছে পদ্ম ফুল। খবর পেয়ে ইতিমধ্যেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের একদল গবেষক সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার দোবিলা পদ্মফোটা বিল পরিদর্শন করেছেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. মো. জামালের গবেষণাতেও প্রায় একই চিত্র উঠে এসেছে। তিনি ১৯৮৫ সাল থেকে ৮৭ সাল পর্যন্ত চলনবিল নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। সেখানে তিনি তাড়াশ উপজেলায় বিলে পদ্ম দেখেছেন। কিন্তু এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের গবেষকরা এ অঞ্চলে আর কোনো পদ্ম ফুল দেখতে পাননি, বলছিলেন অধ্যাপক ড. সাবরিনা নাজ।

তাড়াশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গাজী আব্দুর রহমান চলনবিল নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, এক সময় চলনবিলে হরেক রকম জলজ উদ্ভিদ পাওয়া যেতো। বিলের বিভিন্ন প্রান্তরে ফুটে থাকতো শাপলা ও পদ্ম। পদ্ম ফোটার সেই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য মানুষকে আবেগ তাড়িত করতো। বিলের মানুষ পদ্মপাতায় ভাত খেতো। হাট থেকে লবণ, জিলেপি ও গুড় পদ্মপাতায় মুড়িয়ে নিয়ে আসতো। বিলের জলাধার দিনের পর দিন কমতে থাকায় ধীরে ধীরে তা হারিয়ে যায়।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পদ্ম ফুল জন্মে। এগুলোকে বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী দুটি প্রজাতিতে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে একটি হচ্ছে এশিয়ান বা ইন্ডিয়ান পদ্ম। অন্যটি হচ্ছে আমেরিকান বা ইয়োলো লোটাস। এশিয়ান পদ্ম আবার দুই রঙে দেখা যায়, একটি মসৃণ সাদা, অন্যটি হালকা গোলাপি।

আমাদের দেশে যেসব পদ্মফুল দেখতে পাওয়া যায় সেগুলো এশিয়ান বা ইন্ডিয়ান লোটাস বলে জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাবরিনা নাজ।

অধ্যাপক সাবরিনা প্রায় চার দশক পরে চলনবিলে পদ্ম ফিরে আসা প্রসঙ্গে বলেন, পদ্ম একটি বহুবর্ষজীবি জলজ উদ্ভিদ। পদ্ম ফুলের একটি পরিপক্ষ বীজ এক হাজার বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। অনুকূল পরিবেশ পেলে সে আবারও বংশ বিস্তার করে থাকে। চলনবিলে ফোটা পদ্মের ক্ষেত্রেও সেটিই হয়েছে।

চলনবিলের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন নামে এক হাজার ৭৫৭ হেক্টর আয়তনের ৩৯টি বিল। এ সব বিলে পদ্ম, শাপলা, মাখনা, সিঙ্গট, গেচু, চেচুয়া, ভাতসোলাসহ বহু প্রজাতির সপুষ্পক, ফার্ন, মস ও শৈবাল পাওয়া যেতো। এর মধ্যে অনেকগুলোই বিপন্ন এবং বেশ কিছু প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd