মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শর্ত তুলে নিলো সৌদি, হজ পালনে থাকছে না বয়সসীমা ভাঙ্গুড়ায় নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় কৃষি প্রযুক্তি মেলা প্রাথমিকের বৃত্তির ফল স্থগিত ভাঙ্গুড়ায় প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত : পশু-পাখিতে ভরে ওঠে ষ্টল ! অতিরিক্ত আইজিপি পদমর্যাদার ১৪ কর্মকর্তার বদলি পাকিস্তান ‘দেউলিয়া’, এ জন্য ক্ষমতাচক্র, আমলাতন্ত্র, রাজনীতিবিদেরা দায়ী: প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা মারা গেছেন ভাঙ্গুড়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে এএসপি সার্কেলের মত বিনিময় : পুলিশের পাশে থাকার আহবান ভাঙ্গুড়ায় ইউএনও’র ভাষা চর্চা ক্লাবে শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড়! ভাঙ্গুড়ায় গ্রাহকের সঞ্চয়ের টাকা নিয়ে উধাও এনজিও

টুংটাং শব্দে মুখরিত ভাঙ্গুড়ার কামারপাড়া

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০২০
  • ২৮৯ সময় দর্শন

মানিক হোসেন, ভাঙ্গুড়া(পাবনা) : আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পাবনার ভাঙ্গুড়ায় লোহার বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামার শিল্পীরা। টুংটাং শব্দই বলছে ঈদ লেগেছে কামার দোকানে।

সরেজমিনে উপজেলার ভাঙ্গুড়া বাজার,শরৎনগর বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজারের কামারপাড়াগুলো ঘুরে দেখা গেছে, আগুনে পোড়ানো নরম লোহায় হাতুড়ি পিটিয়ে দিন-রাত্রি কঠোর পরিশ্রম করে দা, বঁটি, ছেনি, চাপাতি, চাকু, কুঠারসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি তৈরি করছেন কামার শিল্পীরা। এগুলো তৈরি করে পসরা সাজিয়ে বিক্রির আশায় বসে আছেন। এখন পর্যন্ত বিক্রি তেমন শুরু না হলেও কয়েক দিন পর শুরু হবে। এখন দু’চার জন ক্রেতা এলেও তারা দর কসাকসি করে পছন্দের দা, বঁটি, ছেনি, চাপাতি, চাকু, কুঠারসহ যন্ত্রপাতি কিনে নিচ্ছেন। আবার অনেকে তাদের দা, চাকু, বঁটিসহ পুরাতন যন্ত্রপাতি মেরামত করে নিয়ে যাচ্ছেন।

জানা গেছে,কামার শিল্পীরা তাদের নিখুঁত হাতের কারুকার্যের মাধ্যমে বর্তমান আধুনিক যান্ত্রপাতির মাঝেও এখনো টিকিয়ে রেয়েছেন এই শিল্পকে। প্রতিবছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কামাররা ব্যস্ত সময় পার করেন। সরকারি কোন সাহায্য সহযোগিতা না থাকায় তাদের জীবন জীবিকার তাগিদে আদি এই ক্ষুদ্র লৌহজাত শিল্পকে টিকিয়ে রেখে তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে অতি কষ্টে বেঁচে রয়েছেন। মানভেদে নতুন চাপাতি দা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, ছুরি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, বটি ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়, জবাই ছুরি ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ভাঙ্গুড়ার প্রবীণ কামার আবুৃল হোসেন জানান, বাপ-দাদার পৈত্রিক পেশাকে আমি ধরে রেখেছি। সারা বছর কাজের চাপ থাকে না। ঈদের আগে চাপ বেশি বেড়ে যায়, তাই রাত দিন কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। এই বৃদ্ধ বয়সে অনেক কষ্ট হয় তারপরও এ কাজ করে যাচ্ছি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd